শেখ জাবেরুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসের বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দের প্রতিটি খাতেই অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী কৃষকদের ভর্তুকির সার ও বীজ লোপাট করেছেন। এতে উপজেলার কৃষকেরা সরকারের দেওয়া ভর্তুকি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কৃষকদের অনেকেই বেশি দামে বাজার থেকে সার ও বীজ কিনে চাষাবাদ করতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।
অভিযোগ উঠেছে, কৃষি অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী কৃষক প্রশিক্ষণ, মাঠ দিবস, কৃষি যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকি ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বরাদ্দসহ বিভিন্ন খাতের মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাঁরা কৃষকদের নিয়ে একটি ফসলের মাঠ দিবসের অনুষ্ঠান করে ব্যানার টাঙিয়ে ছবি তুলে রেখেই বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন। এ ছাড়া প্রতিটি বরাদ্দের কলাম ফাঁকা রেখেই স্টক-রেজিস্টারে নেওয়া হয় কৃষকদের স্বাক্ষর।
সরেজমিনে এসব অভিযোগের সত্যতার খোঁজে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রদর্শনীতে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কৃষকদের জন্য বরাদ্দের চার ভাগের তিন ভাগই চলে যাচ্ছে কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের পকেটে। বরাদ্দ অনুযায়ী যেখানে ৪ কেজি বীজ এবং ৩৩৮ কেজি ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি ও জৈব সার পাওয়ার কথা, সেখানে কৃষকেরা প্লটপ্রতি পেয়েছেন ১ কেজি বীজ এবং ৬০ কেজি অন্যান্য সার। চিনাবাদামের প্রদর্শনী প্লটে কৃষক পেয়েছেন ১২ কেজি বীজ এবং সব মিলিয়ে ৭০ কেজি সার। অথচ সেখানে প্লটপ্রতি বরাদ্দ রয়েছে ৫০ কেজি বীজ এবং ৩৫৯ কেজি সার। অর্থাৎ সরকারি বরাদ্দের এক-চতুর্থাংশও কৃষকেরা পাননি।
বেশির ভাগ কৃষকই জানেন না, তাঁদের জন্য সরকার কী পরিমাণ বরাদ্দ দিচ্ছে এবং কৃষকেরা পাচ্ছেন কতটুকু। তাঁরা বলছেন, ‘আমরা তো এত কিছু জানিও না, আর বুঝিও না। কৃষি অফিসে বরাদ্দের পরিমাণ জানতে চাইলে পরে আর কিছুই দেয় না।’
কৃষি অফিস বলছে, বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সরিষা, খেসারি, মসুর, চিনাবাদামসহ বিভিন্ন ফসলের প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে এবং কৃষকদের সব বরাদ্দ পূর্ণভাবে বণ্টন করা হয়েছে। কিন্তু নাম-পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ওই অফিসের একটি সূত্র বলছে, উন্নত মানের ধান, গম, পাট ও ভুট্টার বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণের নামে ৫ বছরের একটি প্রকল্প রয়েছে। যে প্রকল্পের মাধ্যমে ১৫ জন কৃষককে ৫ একরের একটি করে প্রদর্শনী প্লট দেওয়ার কথা। প্রতিটি গ্রুপে ১৫ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয় না। হেক্টরপ্রতি কৃষকের জন্য যে পরিমাণ বীজ, সার, কীটনাশক, টাকাসহ যেসব উপকরণ দেওয়ার কথা, তা-ও দেওয়া হয়েছে নামমাত্র।
এ ছাড়া জিকেবিএসপি, কন্দাল ফসল, এনএটিপি-২, তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের মাধ্যমে রয়েছে কৃষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। প্রতিটি প্রশিক্ষণে অংশ নেন ৩০ জন কৃষক। ওই প্রশিক্ষণে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থী কৃষকের জন্য খাবার বাবদ বরাদ্দ ৪০০ টাকা এবং ব্যাগ বাবদ ৬৫০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও কৃষকদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় ১০০ টাকা দামের ১ প্যাকেট বিরিয়ানি আর ১০০ থেকে ১৫০ টাকার একটি ব্যাগ।
এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে উপজেলা কৃষি অফিসে তথ্য অধিকার আইনে তথ্যের জন্য সাংবাদিকেরা লিখিত আবেদন করলে অসম্পূর্ণ ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়। বরাদ্দের বিষয়ে অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, ‘কৃষক বরাদ্দের কোনো কপি আমাদের দেওয়া হয় না। অফিস থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয়, আমরা ডায়েরিতে নোট করে নিই।’
এ বিষয়ে কথা বলতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সেকেন্দার শেখের সঙ্গে মোবাইলে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি অভিযোগের বিষয়গুলো শুনে এ বিষয়ে কোনো কথা না বলে ‘ধন্যবাদ, ভালো থাকুন’ বলে ফোন রেখে দেন।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসের বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দের প্রতিটি খাতেই অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী কৃষকদের ভর্তুকির সার ও বীজ লোপাট করেছেন। এতে উপজেলার কৃষকেরা সরকারের দেওয়া ভর্তুকি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কৃষকদের অনেকেই বেশি দামে বাজার থেকে সার ও বীজ কিনে চাষাবাদ করতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।
অভিযোগ উঠেছে, কৃষি অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী কৃষক প্রশিক্ষণ, মাঠ দিবস, কৃষি যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকি ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বরাদ্দসহ বিভিন্ন খাতের মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাঁরা কৃষকদের নিয়ে একটি ফসলের মাঠ দিবসের অনুষ্ঠান করে ব্যানার টাঙিয়ে ছবি তুলে রেখেই বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন। এ ছাড়া প্রতিটি বরাদ্দের কলাম ফাঁকা রেখেই স্টক-রেজিস্টারে নেওয়া হয় কৃষকদের স্বাক্ষর।
সরেজমিনে এসব অভিযোগের সত্যতার খোঁজে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রদর্শনীতে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কৃষকদের জন্য বরাদ্দের চার ভাগের তিন ভাগই চলে যাচ্ছে কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের পকেটে। বরাদ্দ অনুযায়ী যেখানে ৪ কেজি বীজ এবং ৩৩৮ কেজি ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি ও জৈব সার পাওয়ার কথা, সেখানে কৃষকেরা প্লটপ্রতি পেয়েছেন ১ কেজি বীজ এবং ৬০ কেজি অন্যান্য সার। চিনাবাদামের প্রদর্শনী প্লটে কৃষক পেয়েছেন ১২ কেজি বীজ এবং সব মিলিয়ে ৭০ কেজি সার। অথচ সেখানে প্লটপ্রতি বরাদ্দ রয়েছে ৫০ কেজি বীজ এবং ৩৫৯ কেজি সার। অর্থাৎ সরকারি বরাদ্দের এক-চতুর্থাংশও কৃষকেরা পাননি।
বেশির ভাগ কৃষকই জানেন না, তাঁদের জন্য সরকার কী পরিমাণ বরাদ্দ দিচ্ছে এবং কৃষকেরা পাচ্ছেন কতটুকু। তাঁরা বলছেন, ‘আমরা তো এত কিছু জানিও না, আর বুঝিও না। কৃষি অফিসে বরাদ্দের পরিমাণ জানতে চাইলে পরে আর কিছুই দেয় না।’
কৃষি অফিস বলছে, বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সরিষা, খেসারি, মসুর, চিনাবাদামসহ বিভিন্ন ফসলের প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে এবং কৃষকদের সব বরাদ্দ পূর্ণভাবে বণ্টন করা হয়েছে। কিন্তু নাম-পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ওই অফিসের একটি সূত্র বলছে, উন্নত মানের ধান, গম, পাট ও ভুট্টার বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণের নামে ৫ বছরের একটি প্রকল্প রয়েছে। যে প্রকল্পের মাধ্যমে ১৫ জন কৃষককে ৫ একরের একটি করে প্রদর্শনী প্লট দেওয়ার কথা। প্রতিটি গ্রুপে ১৫ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয় না। হেক্টরপ্রতি কৃষকের জন্য যে পরিমাণ বীজ, সার, কীটনাশক, টাকাসহ যেসব উপকরণ দেওয়ার কথা, তা-ও দেওয়া হয়েছে নামমাত্র।
এ ছাড়া জিকেবিএসপি, কন্দাল ফসল, এনএটিপি-২, তেলজাতীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের মাধ্যমে রয়েছে কৃষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। প্রতিটি প্রশিক্ষণে অংশ নেন ৩০ জন কৃষক। ওই প্রশিক্ষণে প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থী কৃষকের জন্য খাবার বাবদ বরাদ্দ ৪০০ টাকা এবং ব্যাগ বাবদ ৬৫০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও কৃষকদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় ১০০ টাকা দামের ১ প্যাকেট বিরিয়ানি আর ১০০ থেকে ১৫০ টাকার একটি ব্যাগ।
এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে উপজেলা কৃষি অফিসে তথ্য অধিকার আইনে তথ্যের জন্য সাংবাদিকেরা লিখিত আবেদন করলে অসম্পূর্ণ ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়। বরাদ্দের বিষয়ে অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, ‘কৃষক বরাদ্দের কোনো কপি আমাদের দেওয়া হয় না। অফিস থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয়, আমরা ডায়েরিতে নোট করে নিই।’
এ বিষয়ে কথা বলতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সেকেন্দার শেখের সঙ্গে মোবাইলে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি অভিযোগের বিষয়গুলো শুনে এ বিষয়ে কোনো কথা না বলে ‘ধন্যবাদ, ভালো থাকুন’ বলে ফোন রেখে দেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে