আজাদুল আদনান, ঢাকা
রক্তে ক্যানসার নিয়ে রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন কুড়িগ্রামের শেফালি আক্তার (৫৮)। প্রতিবার কেমোথেরাপি নেওয়ার পর বয়োবৃদ্ধ এই রোগীকে করোনা পরীক্ষা করাতে বলতেন চিকিৎসক। কিন্তু ওই হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় অন্য হাসপাতালে নমুনা দিয়ে তিন-চার দিন অপেক্ষা করতে হতো তাঁকে। এভাবে চিকিৎসা চলার একপর্যায়ে গত বছরের নভেম্বরে করোনায় আক্রান্ত হন। ফলে থেরাপি দেওয়া বন্ধ রেখে করোনা চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয় তাঁকে। পরে সেখান থেকে ক্যানসার নিয়েই গ্রামের বাড়িতে ফিরে যান এই নারী।
শুধু শেফালি নন, করোনার কারণে ক্যানসারের চিকিৎসায় এমন বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় এমন অসংখ্য রোগীকে। এতে হাল ছেড়ে চিকিৎসা শেষ না করেই বাড়ি ফিরেছেন কেউ না কেউ। আবার কেউ বাড়িতে থেকেই ক্যানসারে ধুঁকছেন। এ ছাড়া রাজধানীকেন্দ্রিক চিকিৎসাব্যবস্থা হওয়ায় সেবা পেতে জটিলতা এবং মাত্রাতিরিক্ত চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে না পেরে অকালেই ঝরে যাচ্ছে বহু ক্যানসারের রোগী। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব ক্যানসার দিবস।
জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, করোনা মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ক্যানসারের রোগী কমেছে ৫০ শতাংশ। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা হানা দেওয়ার পর ওই বছর ক্যানসারের চিকিৎসা শেষ না করেই ৩০ শতাংশ রোগী হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে গেছেন। চিকিৎসা শেষ না করা এসব রোগীর ৭৫ শতাংশই এক বছরের মধ্যে মারা গেছেন বলে প্রতিষ্ঠানটির এক গবেষণায় উঠে আসছে। এ ছাড়া করোনায় আক্রান্ত হওয়া রোগীর শরীরে ক্যানসারের জটিলতা বাড়ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান গ্লোবোক্যানের ২০২০ সালের তথ্য বলছে, দেশে প্রতিবছর দেড় লাখের বেশি মানুষ ক্যানসারের শিকার হয়। এর মধ্যে মারা যায় প্রায় এক লাখ ৯ হাজার। সেই হিসাবে গত দুই বছরে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২ লাখ ১৮ হাজার মানুষ মারা গেছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে করোনায় ক্যানসারের রোগীর মৃত্যু বেড়েছে।
তবে দেশে প্রতিবছর কী পরিমাণ মানুষ প্রকৃতপক্ষেই আক্রান্ত ও মারা যাচ্ছে, মাঠপর্যায়ের সেই তথ্য নেই সরকারের কাছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে কেবল অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার আছে, যা ৬৭ শতাংশ।
ক্যানসার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনাভাইরাস সংকট শুরু হওয়ার পর ক্যানসার আক্রান্তদের যত্নের ওপর তীব্র প্রভাব পড়েছে। মহামারির কারণে বিশ্বের অনেক দেশে ক্যানসার রোগীদের সেবা আংশিক বা পুরোপুরি বিঘ্নিত হয়েছে। ক্যানসার নির্ণয়ে বিলম্ব হওয়া এখন স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে।
রক্তে ক্যানসার নিয়ে রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন কুড়িগ্রামের শেফালি আক্তার (৫৮)। প্রতিবার কেমোথেরাপি নেওয়ার পর বয়োবৃদ্ধ এই রোগীকে করোনা পরীক্ষা করাতে বলতেন চিকিৎসক। কিন্তু ওই হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় অন্য হাসপাতালে নমুনা দিয়ে তিন-চার দিন অপেক্ষা করতে হতো তাঁকে। এভাবে চিকিৎসা চলার একপর্যায়ে গত বছরের নভেম্বরে করোনায় আক্রান্ত হন। ফলে থেরাপি দেওয়া বন্ধ রেখে করোনা চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয় তাঁকে। পরে সেখান থেকে ক্যানসার নিয়েই গ্রামের বাড়িতে ফিরে যান এই নারী।
শুধু শেফালি নন, করোনার কারণে ক্যানসারের চিকিৎসায় এমন বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় এমন অসংখ্য রোগীকে। এতে হাল ছেড়ে চিকিৎসা শেষ না করেই বাড়ি ফিরেছেন কেউ না কেউ। আবার কেউ বাড়িতে থেকেই ক্যানসারে ধুঁকছেন। এ ছাড়া রাজধানীকেন্দ্রিক চিকিৎসাব্যবস্থা হওয়ায় সেবা পেতে জটিলতা এবং মাত্রাতিরিক্ত চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে না পেরে অকালেই ঝরে যাচ্ছে বহু ক্যানসারের রোগী। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব ক্যানসার দিবস।
জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, করোনা মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ক্যানসারের রোগী কমেছে ৫০ শতাংশ। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা হানা দেওয়ার পর ওই বছর ক্যানসারের চিকিৎসা শেষ না করেই ৩০ শতাংশ রোগী হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে গেছেন। চিকিৎসা শেষ না করা এসব রোগীর ৭৫ শতাংশই এক বছরের মধ্যে মারা গেছেন বলে প্রতিষ্ঠানটির এক গবেষণায় উঠে আসছে। এ ছাড়া করোনায় আক্রান্ত হওয়া রোগীর শরীরে ক্যানসারের জটিলতা বাড়ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠান গ্লোবোক্যানের ২০২০ সালের তথ্য বলছে, দেশে প্রতিবছর দেড় লাখের বেশি মানুষ ক্যানসারের শিকার হয়। এর মধ্যে মারা যায় প্রায় এক লাখ ৯ হাজার। সেই হিসাবে গত দুই বছরে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২ লাখ ১৮ হাজার মানুষ মারা গেছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে করোনায় ক্যানসারের রোগীর মৃত্যু বেড়েছে।
তবে দেশে প্রতিবছর কী পরিমাণ মানুষ প্রকৃতপক্ষেই আক্রান্ত ও মারা যাচ্ছে, মাঠপর্যায়ের সেই তথ্য নেই সরকারের কাছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে কেবল অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার আছে, যা ৬৭ শতাংশ।
ক্যানসার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনাভাইরাস সংকট শুরু হওয়ার পর ক্যানসার আক্রান্তদের যত্নের ওপর তীব্র প্রভাব পড়েছে। মহামারির কারণে বিশ্বের অনেক দেশে ক্যানসার রোগীদের সেবা আংশিক বা পুরোপুরি বিঘ্নিত হয়েছে। ক্যানসার নির্ণয়ে বিলম্ব হওয়া এখন স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১১ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে