শৈত্যপ্রবাহে কষ্টে গরিব মানুষ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ৩৩
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৪৫

গত দুই দিন ধরে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এতে কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন মানুষ। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষেরা দুর্ভোগে পড়েছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

নীলফামারী: সৈয়দপুরের বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস গতকাল শনিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে। গত শুক্রবার ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। শনিবার দুপুর থেকে সূর্যের দেখা মিললেও রোদে নেই কোনো উত্তাপ। ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষদের দিনের বেলায় খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে। শীত থেকে রক্ষা করতে গবাদিপশুর শরীর চটের বস্তা ও মোটা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।

নীলফামারী শহরের ভ্যানচালক আশরাফ আলী জানান, ঠান্ডার কারণে সকাল সকাল দোকানপাট খুলছে না। ফলে শহরে মানুষজনের আনাগোনা অনেক কম। দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা মিললে তবেই মানুষের দেখা মিলে। তিনি জানান, সন্ধ্যার পরেই শহরের ও গ্রামের হাট-বাজারে দোকানগুলো ক্রেতা সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।

সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, হালকা কুয়াশার সঙ্গে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যাওয়ায় তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

দিনাজপুর: দিনাজপুরে গত দুই দিনে তাপমাত্রা অপরিবর্তিত রয়েছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। গতকাল শনিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাস্তায় মানুষের চলাচল একবারেই সীমিত। নিতান্তই প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষের দেখা মিলছে পথে-ঘাটে। ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে।

এদিকে, তীব্র শীতে ইরি-বোরোর চারা রোপণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না, যাঁদের পাওয়া যাচ্ছে তাঁদের দিতে হচ্ছে বেশি টাকা। এতে খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের ইমরান আলী বলেন, ‘এত ঠান্ডায় কাজ করা খুব মুশকিল। তার ওপর গ্রামে কাজ করার লোক পাওয়া যায় না। যে দু-একজন কাজ করছে তাঁদের বেশি টাকা দিতে হচ্ছে।’

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, গতকাল শনিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪-৫ কিলোমিটার।

আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলায় শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। আগামী ২/১ দিনের মধ্যে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত