সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার ২০ গ্রামে। এসব গ্রামের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম অরুয়াইল-সরাইল সড়ক
কর্দমাক্ত হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিকে সড়কে কোনো যানবাহন না থাকায় অনেক মানুষ হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, উপজেলা সদরের সঙ্গে চুন্টা, পাকশিমুল, অরুয়াইল ইউনিয়নসহ নাসিরনগরের ২০ গ্রামের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম এই অরুয়াইল-সরাইল সড়ক। গত দুই দিন টানা বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত হয়ে যায় এ সড়ক। এতে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী বলছে দুই দিনের বৃষ্টিতে অরুয়াইল-সরাইল সড়কের চুন্টা থেকে ভুইশ্বর বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার অংশে পানি ও কাদা জমে যাওয়ায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। জরুরি কাজে মেঘনার নৌপথে আশুগঞ্জ হয়ে জেলা সদরে যাচ্ছে মানুষ।
অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, উপজেলার উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। অথচ পাঁচ বছর ধরে সড়কটির ভুঁইশ্বর থেকে চুন্টা পর্যন্ত বেহাল অবস্থায় আছে। দুই দিনের বৃষ্টিতে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ আছে। ফলে ২০ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার না করা হলে এলাকার মানুষ নিয়ে গণ-অনশন নামা হবে।
জানা গেছে, দুই বছর আগে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির সাড়ে ১১ কিলোমিটার অংশের সংস্কার করা হয়। বাকি রয়েছে চুন্টা ইউনিয়নের ঘাগড়াজোর থেকে পাকশিমুল ইউনিয়নের ভুঁইশ্বরবাজার পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার অংশ। এ অংশটি পুরোপুরি হাওরের মধ্যে পড়েছে। প্রতিবছর বর্ষার ভাঙনে পড়ে ওই অংশটুকুর অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। দুই দিনের বৃষ্টিতে রাস্তার এই ভাঙা অংশটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
অরুয়াইল আবদুস সাত্তার কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ইকবাল হোসেন মৃধা আজকের পত্রিকাকে জানান, সরাইল সদর থেকে অরুয়াইলে আসার একমাত্র সড়ক এটি। বৃষ্টির কারণে ১২ কিলোমিটার রাস্তার ৩ কিলোমিটার পানি ও কাদায় একাকার হয়ে গেছে। কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষার দায়িত্ব পালনের জন্য জুতা হাতে নিয়ে কর্দমাক্ত পিচ্ছিল প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে কেন্দ্র পৌঁছতে হয়েছে তাঁদের।
অরুয়াইল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা ইউসুফ মিয়া জানান, কাদার কারণে রাস্তায় কোনো গাড়ি ছিল না। রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। সাবানের মতো পিচ্ছিল। দুবার পিচ্ছিল খেয়ে পড়ে গেছেন তিনি। অফিসের বিশেষ কাজে সরাইল সদরে গিয়েছিলেন তিনি।
বরইচারা গ্রামের লিয়াকত মিয়া জানান, বৃষ্টির কারণে রাস্তাটি কাদা হয়ে যাওয়ায় তিনি তাঁর অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। কারণ এই কর্দমাক্ত ভাঙা রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলে না।
ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আদিম রাজা বলে, ‘আজ দুপুর ১২টার দিকে আমাদের স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা। রাস্তার অবস্থা খারাপ। রাস্তায় রিকশা-সিএনজি-অটোরিকশার কোনোটাই নেই। তাই বৃষ্টিতে ভিজেই স্কুলে যাচ্ছি। সকাল থেকে বৃষ্টি। ১ মিনিটের জন্যও থামিনি। পরীক্ষা তো দিতে হবে। তাই হেঁটেই কাদা-পানি ভেঙে স্কুলে যাচ্ছি।’
অটোরিকশাচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘শুনেছি ৩-৪টি গাড়ি উল্টে গেছে। তাই গাড়ি গ্যারেজে রেখে আসলাম। আজ আর গাড়ি নিয়ে বের হব না।’
এলজিইডির উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জানান, সড়কটির মাঝখানের আড়াই কিলোমিটার অংশের সংস্কার কাজের জন্য ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ঠিকাদারও নিয়োগ হয়েছে। আগামী ৮-১০ দিনের মধ্যেই রাস্তার কাজ শুরু হয়ে যাবে। মানুষের আর দুর্ভোগ থাকবে না।
গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার ২০ গ্রামে। এসব গ্রামের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম অরুয়াইল-সরাইল সড়ক
কর্দমাক্ত হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিকে সড়কে কোনো যানবাহন না থাকায় অনেক মানুষ হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, উপজেলা সদরের সঙ্গে চুন্টা, পাকশিমুল, অরুয়াইল ইউনিয়নসহ নাসিরনগরের ২০ গ্রামের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম এই অরুয়াইল-সরাইল সড়ক। গত দুই দিন টানা বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত হয়ে যায় এ সড়ক। এতে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী বলছে দুই দিনের বৃষ্টিতে অরুয়াইল-সরাইল সড়কের চুন্টা থেকে ভুইশ্বর বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার অংশে পানি ও কাদা জমে যাওয়ায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। জরুরি কাজে মেঘনার নৌপথে আশুগঞ্জ হয়ে জেলা সদরে যাচ্ছে মানুষ।
অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, উপজেলার উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। অথচ পাঁচ বছর ধরে সড়কটির ভুঁইশ্বর থেকে চুন্টা পর্যন্ত বেহাল অবস্থায় আছে। দুই দিনের বৃষ্টিতে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ আছে। ফলে ২০ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার না করা হলে এলাকার মানুষ নিয়ে গণ-অনশন নামা হবে।
জানা গেছে, দুই বছর আগে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির সাড়ে ১১ কিলোমিটার অংশের সংস্কার করা হয়। বাকি রয়েছে চুন্টা ইউনিয়নের ঘাগড়াজোর থেকে পাকশিমুল ইউনিয়নের ভুঁইশ্বরবাজার পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার অংশ। এ অংশটি পুরোপুরি হাওরের মধ্যে পড়েছে। প্রতিবছর বর্ষার ভাঙনে পড়ে ওই অংশটুকুর অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। দুই দিনের বৃষ্টিতে রাস্তার এই ভাঙা অংশটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
অরুয়াইল আবদুস সাত্তার কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ইকবাল হোসেন মৃধা আজকের পত্রিকাকে জানান, সরাইল সদর থেকে অরুয়াইলে আসার একমাত্র সড়ক এটি। বৃষ্টির কারণে ১২ কিলোমিটার রাস্তার ৩ কিলোমিটার পানি ও কাদায় একাকার হয়ে গেছে। কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষার দায়িত্ব পালনের জন্য জুতা হাতে নিয়ে কর্দমাক্ত পিচ্ছিল প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে কেন্দ্র পৌঁছতে হয়েছে তাঁদের।
অরুয়াইল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা ইউসুফ মিয়া জানান, কাদার কারণে রাস্তায় কোনো গাড়ি ছিল না। রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। সাবানের মতো পিচ্ছিল। দুবার পিচ্ছিল খেয়ে পড়ে গেছেন তিনি। অফিসের বিশেষ কাজে সরাইল সদরে গিয়েছিলেন তিনি।
বরইচারা গ্রামের লিয়াকত মিয়া জানান, বৃষ্টির কারণে রাস্তাটি কাদা হয়ে যাওয়ায় তিনি তাঁর অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। কারণ এই কর্দমাক্ত ভাঙা রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলে না।
ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আদিম রাজা বলে, ‘আজ দুপুর ১২টার দিকে আমাদের স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা। রাস্তার অবস্থা খারাপ। রাস্তায় রিকশা-সিএনজি-অটোরিকশার কোনোটাই নেই। তাই বৃষ্টিতে ভিজেই স্কুলে যাচ্ছি। সকাল থেকে বৃষ্টি। ১ মিনিটের জন্যও থামিনি। পরীক্ষা তো দিতে হবে। তাই হেঁটেই কাদা-পানি ভেঙে স্কুলে যাচ্ছি।’
অটোরিকশাচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘শুনেছি ৩-৪টি গাড়ি উল্টে গেছে। তাই গাড়ি গ্যারেজে রেখে আসলাম। আজ আর গাড়ি নিয়ে বের হব না।’
এলজিইডির উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান জানান, সড়কটির মাঝখানের আড়াই কিলোমিটার অংশের সংস্কার কাজের জন্য ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ঠিকাদারও নিয়োগ হয়েছে। আগামী ৮-১০ দিনের মধ্যেই রাস্তার কাজ শুরু হয়ে যাবে। মানুষের আর দুর্ভোগ থাকবে না।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে