নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনা-পূর্বধলা সড়কের পূর্বধলা উপজেলার নারায়ণডহর এলাকায় ধলাই নদের পাশে কমপক্ষে ৩০০ মিটার স্থানে ব্লকে ধস দেখা দিয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে বৃষ্টির পরপরই কয়েকটি স্থানে ব্লক ধসে যায়। অবশ্য এর আগেও কিছু স্থানে ব্লক ধসের ঘটনা ঘটে। নিম্নমানের কাজ হওয়ায় ব্লক ধসে গেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সওজ কর্তৃপক্ষ সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ওই স্থানে জায়গা কম থাকায় ভালো করে স্লোব করা যায়নি। মাটির কমপেকশন ঠিকমতো হয়নি। তাই এমনটি হয়েছে। ধসে যাওয়া অংশটি ঠিক করে দেওয়া হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা, জেলা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নেত্রকোনা-পূর্বধলা সড়কটি সংস্কার করতে ‘জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নতিকরণ প্রকল্পের’ আওতায় ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই দরপত্র আহ্বান করা হয়। এর দুই মাস পর ‘রানা বিল্ডার্স’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। সড়কের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৪৮ কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। কাজের মেয়াদকাল ২০২০ সালের ২৩ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি নিজে কাজ না করে ‘ভাওয়াল কনস্ট্রাকশন’ নামে অপর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ করার দায়িত্ব দেয়। নেত্রকোনা পৌরসভার সাতপাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-২ এলাকা থেকে পূর্বধলা জামতলা এলাকা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সড়কটি ৫ দশমিক ৫ মিটার (১৮ ফুট) প্রশস্ত করার কথা বলা আছে। সড়কে ৮টি বক্স কালভার্ট, নারায়ণডহর বাজারে ৩০০ মিটার আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ রয়েছে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি। কাজের গড় অগ্রগতি এখনো প্রায় ৩৫ শতাংশ বাকি। মাত্র তিন কিলোমিটার সড়ক পিচ ঢালাই করা হয়েছে। বাকি অংশ কোথাও মেগাডাম করা, কোথাও বেজ স্টাইপ ওয়ানের কাজ শেষ হয়নি। সম্প্রতি নারায়ণডহর এলাকায় ধলেই নদের পাশে সড়কে ৪২০ মিটার ব্লকের মধ্যে কিছু জায়গায় ব্লক ধসে যায়। গত শুক্রবার বিকেলে বৃষ্টির পর প্রায় ৩০০ মিটার এলাকায় ব্লক ধসে যায়।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, সওজের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ঠিকাদারেরা নিম্নমানের কাজ করায় উদ্বোধনের আগেই ব্লকগুলো ধসে যাচ্ছে। অথচ এই কাজ শুরুর দিকে পাথর, সিমেন্টসহ বিভিন্ন ধরনের নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা নিয়ে অভিযোগ করছিলেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রহিম ও কুদ্দুছ আলী ফকির বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দীর্ঘ এক যুগ চলাচলের অনুপযোগী ছিল। প্রায় ৪৮ কোটি ব্যয়ে সড়কের কাজ হচ্ছে। কিন্তু এই কাজের দেখাশোনা করার দায়িত্বে থাকা সওজ বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঠিকাদারেরা নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছেন। এলাকাবাসী বিভিন্ন সময় এ নিয়ে আন্দোলন করলেও কাজ হয়নি। তাই সড়কের কাজ চলমান থাকা অবস্থাতেই একটু বৃষ্টিতে ব্লক ধসে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বর্ষা এলে হয়তো সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্ত দেখা দেবে’
এ ব্যাপারে জানতে ভাওয়াল কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী ফকরুদ্দিন বাচ্চু বলেন, ‘কিছু ব্লক ধসে গেছে। সড়কের পাশে জায়গা কম থাকায় ভালো করে স্লোব করা যায়নি। মাটির কমপেকশন ঠিকমতো হয়নি। তাই এমনটি হয়েছে। আমরা কাজ শুরুর আগেই সওজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলাম। এখন ডাম্পিং ব্লক বসিয়ে পরে সিসি ব্ল বসানো হবে। এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কাজের গুণগত মান মন্দ হয়নি। মানুষজন মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। আর কাজের মেয়াদ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।’
নেত্রকোনা সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মাঈদুল ইসলাম বলেন, ‘নারয়ণডহর এলাকায় নদের পাশে ৪২০ মিটার এলাকায় ব্লকের কাজটি নিচে জিও ব্যাগ দিয়ে ডাম্পিং ব্লক, গাইড ওয়াল করে সিসি ব্লক দেওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বাজেটে শুধু সিসি ব্লক ধরা। এ ছাড়া জায়গা কম থাকায় স্লোব করা যায়নি। তাই এমন ধসের ঘটনা ঘটেছে। নতু করে ব্লক স্থাপন করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে। আর কাজের গুণগত মানে কোন ত্রুটি নেই।’
নেত্রকোনা-পূর্বধলা সড়কের পূর্বধলা উপজেলার নারায়ণডহর এলাকায় ধলাই নদের পাশে কমপক্ষে ৩০০ মিটার স্থানে ব্লকে ধস দেখা দিয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে বৃষ্টির পরপরই কয়েকটি স্থানে ব্লক ধসে যায়। অবশ্য এর আগেও কিছু স্থানে ব্লক ধসের ঘটনা ঘটে। নিম্নমানের কাজ হওয়ায় ব্লক ধসে গেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সওজ কর্তৃপক্ষ সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ওই স্থানে জায়গা কম থাকায় ভালো করে স্লোব করা যায়নি। মাটির কমপেকশন ঠিকমতো হয়নি। তাই এমনটি হয়েছে। ধসে যাওয়া অংশটি ঠিক করে দেওয়া হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা, জেলা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নেত্রকোনা-পূর্বধলা সড়কটি সংস্কার করতে ‘জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নতিকরণ প্রকল্পের’ আওতায় ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই দরপত্র আহ্বান করা হয়। এর দুই মাস পর ‘রানা বিল্ডার্স’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। সড়কের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৪৮ কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। কাজের মেয়াদকাল ২০২০ সালের ২৩ মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি নিজে কাজ না করে ‘ভাওয়াল কনস্ট্রাকশন’ নামে অপর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ করার দায়িত্ব দেয়। নেত্রকোনা পৌরসভার সাতপাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-২ এলাকা থেকে পূর্বধলা জামতলা এলাকা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সড়কটি ৫ দশমিক ৫ মিটার (১৮ ফুট) প্রশস্ত করার কথা বলা আছে। সড়কে ৮টি বক্স কালভার্ট, নারায়ণডহর বাজারে ৩০০ মিটার আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ রয়েছে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি। কাজের গড় অগ্রগতি এখনো প্রায় ৩৫ শতাংশ বাকি। মাত্র তিন কিলোমিটার সড়ক পিচ ঢালাই করা হয়েছে। বাকি অংশ কোথাও মেগাডাম করা, কোথাও বেজ স্টাইপ ওয়ানের কাজ শেষ হয়নি। সম্প্রতি নারায়ণডহর এলাকায় ধলেই নদের পাশে সড়কে ৪২০ মিটার ব্লকের মধ্যে কিছু জায়গায় ব্লক ধসে যায়। গত শুক্রবার বিকেলে বৃষ্টির পর প্রায় ৩০০ মিটার এলাকায় ব্লক ধসে যায়।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, সওজের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ঠিকাদারেরা নিম্নমানের কাজ করায় উদ্বোধনের আগেই ব্লকগুলো ধসে যাচ্ছে। অথচ এই কাজ শুরুর দিকে পাথর, সিমেন্টসহ বিভিন্ন ধরনের নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা নিয়ে অভিযোগ করছিলেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রহিম ও কুদ্দুছ আলী ফকির বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দীর্ঘ এক যুগ চলাচলের অনুপযোগী ছিল। প্রায় ৪৮ কোটি ব্যয়ে সড়কের কাজ হচ্ছে। কিন্তু এই কাজের দেখাশোনা করার দায়িত্বে থাকা সওজ বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঠিকাদারেরা নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেছেন। এলাকাবাসী বিভিন্ন সময় এ নিয়ে আন্দোলন করলেও কাজ হয়নি। তাই সড়কের কাজ চলমান থাকা অবস্থাতেই একটু বৃষ্টিতে ব্লক ধসে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বর্ষা এলে হয়তো সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্ত দেখা দেবে’
এ ব্যাপারে জানতে ভাওয়াল কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী ফকরুদ্দিন বাচ্চু বলেন, ‘কিছু ব্লক ধসে গেছে। সড়কের পাশে জায়গা কম থাকায় ভালো করে স্লোব করা যায়নি। মাটির কমপেকশন ঠিকমতো হয়নি। তাই এমনটি হয়েছে। আমরা কাজ শুরুর আগেই সওজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলাম। এখন ডাম্পিং ব্লক বসিয়ে পরে সিসি ব্ল বসানো হবে। এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কাজের গুণগত মান মন্দ হয়নি। মানুষজন মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। আর কাজের মেয়াদ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।’
নেত্রকোনা সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মাঈদুল ইসলাম বলেন, ‘নারয়ণডহর এলাকায় নদের পাশে ৪২০ মিটার এলাকায় ব্লকের কাজটি নিচে জিও ব্যাগ দিয়ে ডাম্পিং ব্লক, গাইড ওয়াল করে সিসি ব্লক দেওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বাজেটে শুধু সিসি ব্লক ধরা। এ ছাড়া জায়গা কম থাকায় স্লোব করা যায়নি। তাই এমন ধসের ঘটনা ঘটেছে। নতু করে ব্লক স্থাপন করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে। আর কাজের গুণগত মানে কোন ত্রুটি নেই।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে