আ.লীগ প্রার্থীর সমর্থকের দোকানে হামলা, আহত ২

বুড়িচং প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ১৬
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২২, ০৯: ২০

বুড়িচংয়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত নেতার নেতৃত্বে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় হামলাকারীরা দুজনকে কুপিয়ে আহত করে। গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের ফরিজপুরে ঘটনাটি ঘটে।

যাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তাঁর নাম আদনান হায়দার। তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আখলাক হায়দারের ছেলে। আদনান ময়নামতি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। এই ইউনিয়নের তিনি প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা।

ঘটনার শিকার যুবলীগ নেতা মোতাব্বের আহমেদ জনি জানান, তিনি ময়নামতি ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য। ফারজানা ট্রান্সপোর্ট, ফারজানা টাইলস, ডেফোডিল অনলাইন (ইন্টারনেট সার্ভিস) নামে তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। হামলাকারী আদনান হায়দার তাঁর আপন মামাতো ভাই।

গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের সঙ্গে বসে কথা বলছিলেন। এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আখলাক হায়দারের ছেলে আদনান হায়দারের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি সশস্ত্র দল প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পরে। এ সময় তাঁরা প্রতিষ্ঠানের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর শুরু করেন।

খবর পেয়ে দেবপুর ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। হামলার খবরে রাতেই র‍্যাব-১১-এর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

পুলিশের সহায়তায় স্থানীয় বাসিন্দারা আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। আহতরা হলেন বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের নাজিরা বাজার এলাকার খোরশেদ আলম বাকি ও দূর্গাপুর এলাকার মো. বাকের। আহত বাকি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য এবং বর্তমানে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সদস্য।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, আহতদের শরীরে শতাধিক সেলাই দেওয়া হয়েছে। দুজনের শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁরা পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

ময়নামতি ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান লালন হায়দার বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে ময়নামতি ইউনিয়নে বহিরাগতদের আগমন ঘটেছে। শনিবার রাতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ছেলের নেতৃত্বে একদল বহিরাগত লোকজন এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।’

এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত আদনান হায়দারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। আর তাঁর বাবা আখলাক হায়দার কল রিসিভ করেননি।

দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জাবেদ উল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পরপর পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত