নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে ১৭%

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭: ১২
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯: ৪৪

গত ১০ মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১ হাজার ১৭৮ নারী, ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়েছে ৪৩ জনকে, ধর্ষণের পর লোকলজ্জার ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৮ জন এবং অ্যাসিডে ঝলসে দেওয়া হয়েছে ২০ নারীর শরীর। এ ছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে কর্মস্থলে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা ছিল ২১ হাজার ৭৮৯টি। যা এর আগের অর্থবছরে ছিল ১৮ হাজার ৫০২টি। এ হিসাবে এক বছরে কর্মস্থলে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে ১৭ শতাংশ।

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে গত সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ওয়ার্কার্স রিসোর্স সেন্টারে (ডব্লিউআরসি) আয়োজিত কর্মক্ষেত্র এবং সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানি বন্ধে আইন প্রণয়ন এবং আইএলও কনভেনশনে অনুস্বাক্ষরের দাবিতে গোলটেবিল আলোচনার মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য উঠে আসে।

প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশের বেশির ভাগ নারী এবং মেয়েরা নানা মাত্রায় লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। তৈরি পোশাক কারখানায় কর্মরত নারী শ্রমিকদের ১৩ শতাংশ যৌন হয়রানির শিকার হন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন ২০ শতাংশ এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার ৭১ শতাংশের বেশি। আর এই নির্যাতনকারীর ভূমিকায় শীর্ষে রয়েছেন সুপারভাইজাররা। এ ছাড়া নির্যাতনের শিকার ৩২ শতাংশ শ্রমিক জানেন না, কোথায় অভিযোগ করতে হবে।

ডব্লিউআরসির নারী কমিটির চেয়ারম্যান সেহেলী আফরোজ লাভলির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনটির নারী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ফাহমিনা কাশেম মিশু। আলোচনায় অংশ নেন ডব্লিউআরসির চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিকুল আলম, আইএলওর জেন্ডার অ্যান্ড ডাইভারসিটি কমিটির চেয়ারম্যান শাম্মিন সুলতানা, আইএলওর প্রোগ্রাম অফিসার জামিল আনসার, ডব্লিউআরসির ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদুল আলম রাজু প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত