বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
পার্বত্য জেলা বান্দরবানে জুমচাষে ফলন কম হওয়ার শঙ্কার মধ্যে আমনের ফলনেও বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় আমন চারার বৃদ্ধি কম হচ্ছে। বেশির ভাগ ধানগাছ লাল বা হলুদ হয়ে যাচ্ছে।
ফসল বাঁচাতে জমিতে সেচ দিতে গিয়ে কৃষকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তবে কৃষি বিভাগ এখনই হতাশ না হয়ে ধৈর্য ধরে জমির পরিচর্যা করে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি ভাদ্র মাসেও বান্দরবানে দু-তিন দিন বৃষ্টি হয়েছে। সামনেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলে আমনের ফলন ভালো হবে।
জানা গেছে, পাহাড়ি জেলা হওয়ায় বান্দরবানে জুমচাষের ওপরই বেশি নির্ভর করতে হয়। তবে চলতি বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় জুমের ফলন কম হওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। জুমচাষের ওপর নির্ভরশীল চাষিরা ইতিমধ্যে ফসল কম হওয়ার আশঙ্কায় পড়েছেন। পাহাড়ি এলাকা বাদে বান্দরবানের সদর, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় কিছু সমতল জমি রয়েছে। সেখানে আমন চাষ হয়। কিন্তু এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় আমনের ফলনও কম হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম জমিতে আমন আবাদ হয়েছে।
সরেজমিনে সদর উপজেলার চড়ইপাড়া, ভরাখালী, ডলুপাড়া, চেমীডলুপাড়া, গুংগুরু, দলবনিয়া, বাঘমারামুখ পাড়া, গোয়ালিয়াখোলা, রেইচা, সাতকমলপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক স্থানে আমনখেত শুকিয়ে ফেটে গেছে। অনেক স্থানে জমিতে পানি না থাকায় আমন ধান হলুদ ও লাল বর্ণ ধারণ করেছে। অনেক জমিতে প্রায় দেড় মাস আগে লাগানো ধানের চারা বড় হচ্ছে না।
কুহালং ইউনিয়নের ডলুপাড়ায় দেখা গেছে, ক্যাহ্লাঅং মারমার জমি বর্গা চাষ করেন মুইবাঅং মারমা। জমিতে প্রায় ১৫ দিন আগে লাগানো চারা বড় হচ্ছে না। তাই বেশি টাকা খরচ করে জমিতে সেচ দেওয়া হয়। মুইবাঅং মারমা একসঙ্গে দুই কানি জমিতে বিআর-১১ জাতের ধান আবাদ করেছেন। পানি দেওয়ার পর জমিতে আগাছা পরিষ্কার করছেন তিন শ্রমিক। তাঁরা বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় ১৫ দিন আগে লাগানো ধানগাছ বাড়ছিল না। তাই সেচের মাধ্যমে জমিতে পানি দেওয়া হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় এক কানি জমিতে ২০ মণ ধান হয়। বৃষ্টি না হওয়ায় এবার ফলন অর্ধেকে নেমে আসতে পারে।
দলবনিয়া এলাকার কৃষক রনি খেয়াং বলেন, এবার তিনি চার কানি জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় জমি শুকিয়ে ফেটে যাচ্ছে। ধানগাছ বাড়ছে না। এক মাস আগে লাগানো চারা সামান্য বেড়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক দূর থেকে পাইপ দিয়ে সেচযন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে পানি দিতে হচ্ছে।
রনি খেয়াং আরও বলেন, এক কানি জমিতে একসঙ্গে ৫-৬ ঘণ্টা পানি দিতে হয়। এক ঘণ্টায় ২৫০ টাকা খরচ পড়ে। একবার জমিতে পানি দিতে প্রায় দেড় হাজার টাকা খরচ হয়। ৭-৮ দিন পরপর এভাবে পানি দিতে গিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
বান্দরবান সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক বলেন, সদর উপজেলায় চলতি মৌসুমে ২ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সর্বশেষ হিসাবে দেখা গেছে, ২ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। এবার বর্ষাকালে বৃষ্টি হয়নি বলা চলে। অথচ আমন চাষের জন্য বৃষ্টির প্রয়োজন। বৃষ্টি না হলে পাহাড়ি এলাকায় আমনের জমিতে সেচ দিয়ে পানির ব্যবস্থা করা ব্যয়সাধ্য।
কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, পাহাড়ি এলাকায় পুকুরের সংখ্যা খুবই কম। নদীও কম। ঝিরি-ছড়া থাকলেও যেসব এলাকায় আমন চাষ হয়, সেসব এলাকার পাশে ঝিরি-ছড়া নেই বলা চলে। বৃষ্টি কম হওয়ায় খাল-ঝিরিতেও পানি নেই। তাই আমন চাষাবাদ চালিয়ে যেতে সেচের মাধ্যমে হলেও জমিতে পানি দেওয়া দরকার। তবে চলতি মাসেও কয়েক দিন বৃষ্টি হয়েছে। আশ্বিন মাসে বৃষ্টি হলে আমনের ফলন ভালো হবে।
বান্দরবান মৃত্তিকা সংরক্ষণ ও পানি বিভাজন কেন্দ্রের (এসআরডিআই) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, আমন চাষে পানি অপরিহার্য। আর এ পানির প্রধান উৎস বৃষ্টি। এবার বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি খুবই কম হয়েছে। এর বিরূপ প্রভাব ইতিমধ্যে আমন চাষে পড়েছে। তবে ঋতু বিবেচনা করলে সামনে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এতে আমনের ফলনে বিপর্যয়ের শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এখন আমন চাষের জন্য সেচের ব্যবস্থা করা জরুরি।
পার্বত্য জেলা বান্দরবানে জুমচাষে ফলন কম হওয়ার শঙ্কার মধ্যে আমনের ফলনেও বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় আমন চারার বৃদ্ধি কম হচ্ছে। বেশির ভাগ ধানগাছ লাল বা হলুদ হয়ে যাচ্ছে।
ফসল বাঁচাতে জমিতে সেচ দিতে গিয়ে কৃষকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তবে কৃষি বিভাগ এখনই হতাশ না হয়ে ধৈর্য ধরে জমির পরিচর্যা করে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি ভাদ্র মাসেও বান্দরবানে দু-তিন দিন বৃষ্টি হয়েছে। সামনেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হলে আমনের ফলন ভালো হবে।
জানা গেছে, পাহাড়ি জেলা হওয়ায় বান্দরবানে জুমচাষের ওপরই বেশি নির্ভর করতে হয়। তবে চলতি বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় জুমের ফলন কম হওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। জুমচাষের ওপর নির্ভরশীল চাষিরা ইতিমধ্যে ফসল কম হওয়ার আশঙ্কায় পড়েছেন। পাহাড়ি এলাকা বাদে বান্দরবানের সদর, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় কিছু সমতল জমি রয়েছে। সেখানে আমন চাষ হয়। কিন্তু এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় আমনের ফলনও কম হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম জমিতে আমন আবাদ হয়েছে।
সরেজমিনে সদর উপজেলার চড়ইপাড়া, ভরাখালী, ডলুপাড়া, চেমীডলুপাড়া, গুংগুরু, দলবনিয়া, বাঘমারামুখ পাড়া, গোয়ালিয়াখোলা, রেইচা, সাতকমলপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক স্থানে আমনখেত শুকিয়ে ফেটে গেছে। অনেক স্থানে জমিতে পানি না থাকায় আমন ধান হলুদ ও লাল বর্ণ ধারণ করেছে। অনেক জমিতে প্রায় দেড় মাস আগে লাগানো ধানের চারা বড় হচ্ছে না।
কুহালং ইউনিয়নের ডলুপাড়ায় দেখা গেছে, ক্যাহ্লাঅং মারমার জমি বর্গা চাষ করেন মুইবাঅং মারমা। জমিতে প্রায় ১৫ দিন আগে লাগানো চারা বড় হচ্ছে না। তাই বেশি টাকা খরচ করে জমিতে সেচ দেওয়া হয়। মুইবাঅং মারমা একসঙ্গে দুই কানি জমিতে বিআর-১১ জাতের ধান আবাদ করেছেন। পানি দেওয়ার পর জমিতে আগাছা পরিষ্কার করছেন তিন শ্রমিক। তাঁরা বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় ১৫ দিন আগে লাগানো ধানগাছ বাড়ছিল না। তাই সেচের মাধ্যমে জমিতে পানি দেওয়া হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় এক কানি জমিতে ২০ মণ ধান হয়। বৃষ্টি না হওয়ায় এবার ফলন অর্ধেকে নেমে আসতে পারে।
দলবনিয়া এলাকার কৃষক রনি খেয়াং বলেন, এবার তিনি চার কানি জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় জমি শুকিয়ে ফেটে যাচ্ছে। ধানগাছ বাড়ছে না। এক মাস আগে লাগানো চারা সামান্য বেড়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক দূর থেকে পাইপ দিয়ে সেচযন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে পানি দিতে হচ্ছে।
রনি খেয়াং আরও বলেন, এক কানি জমিতে একসঙ্গে ৫-৬ ঘণ্টা পানি দিতে হয়। এক ঘণ্টায় ২৫০ টাকা খরচ পড়ে। একবার জমিতে পানি দিতে প্রায় দেড় হাজার টাকা খরচ হয়। ৭-৮ দিন পরপর এভাবে পানি দিতে গিয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
বান্দরবান সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক বলেন, সদর উপজেলায় চলতি মৌসুমে ২ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সর্বশেষ হিসাবে দেখা গেছে, ২ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। এবার বর্ষাকালে বৃষ্টি হয়নি বলা চলে। অথচ আমন চাষের জন্য বৃষ্টির প্রয়োজন। বৃষ্টি না হলে পাহাড়ি এলাকায় আমনের জমিতে সেচ দিয়ে পানির ব্যবস্থা করা ব্যয়সাধ্য।
কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, পাহাড়ি এলাকায় পুকুরের সংখ্যা খুবই কম। নদীও কম। ঝিরি-ছড়া থাকলেও যেসব এলাকায় আমন চাষ হয়, সেসব এলাকার পাশে ঝিরি-ছড়া নেই বলা চলে। বৃষ্টি কম হওয়ায় খাল-ঝিরিতেও পানি নেই। তাই আমন চাষাবাদ চালিয়ে যেতে সেচের মাধ্যমে হলেও জমিতে পানি দেওয়া দরকার। তবে চলতি মাসেও কয়েক দিন বৃষ্টি হয়েছে। আশ্বিন মাসে বৃষ্টি হলে আমনের ফলন ভালো হবে।
বান্দরবান মৃত্তিকা সংরক্ষণ ও পানি বিভাজন কেন্দ্রের (এসআরডিআই) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, আমন চাষে পানি অপরিহার্য। আর এ পানির প্রধান উৎস বৃষ্টি। এবার বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি খুবই কম হয়েছে। এর বিরূপ প্রভাব ইতিমধ্যে আমন চাষে পড়েছে। তবে ঋতু বিবেচনা করলে সামনে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এতে আমনের ফলনে বিপর্যয়ের শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এখন আমন চাষের জন্য সেচের ব্যবস্থা করা জরুরি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে