আয়নাল হোসেন, ঢাকা
দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভোজ্যতেল মজুত থাকার পরও সরবরাহে দীর্ঘসূত্রতা তৈরির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।
অধিকাংশ তেলের মিল থেকে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া এবং মিলার ও ডিলারদের কারসাজিতে পুরোনো বিক্রয় আদেশে (এসও) দেরিতে তেল সরবরাহ করা এবং বারবার বিক্রয় আদেশ হাতবদলের ফলে তেলের দাম বেড়ে যায়। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এই কারণগুলো উঠে এসেছে।
বাজারে তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণ খুঁজে বের করতে প্রতিযোগিতা কমিশন গত ১০ মার্চ একজন উপপরিচালকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করে। দলটি গত ১৪ মার্চ গ্লোব এডিবল অয়েল লিমিটেড ও সিটি অয়েল লিমিটেড, ৩ এপ্রিল বসুন্ধরা ফটিফাইড সয়াবিন অয়েল, ৫ এপ্রিল মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইনার্স লিমিটেড এবং ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের পরিশোধনাগার পরিদর্শন করে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ভোজ্যতেলের মোট চাহিদা ১৮-২০ লাখ মেট্রিক টন। অর্থাৎ প্রতি মাসে চাহিদা রয়েছে দেড় লাখ টনের ওপরে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যে দেখা গেছে, মার্চে বন্দর থেকে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত মোট ভোজ্যতেল খালাস হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ২১৬ মেট্রিক টন এবং এপ্রিলে ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৩ মেট্রিক টন।
গত মার্চে মিলগুলো জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংগঠন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে দেশে মজুত পরিস্থিতি জানায়। এতে দেখা গেছে, ছয়টি পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে এক লাখ ৯৫ হাজার ৬৩৬ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল মজুত ছিল। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলো এক লাখ ৮৩ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল আমদানির ঋণপত্র খোলার তথ্য দেয়।
কমিশন তাদের অনুসন্ধানে দেখেছে, মিল থেকে তেল বিক্রির পর ১৫ দিনের মধ্যে খালাসে আইন থাকলেও মিলার ও ডিলার কেউ আইন মানেনি। ফলে বাজারে ইচ্ছামতো দাম বাড়ানো সম্ভব হয়। পরে ভোক্তা অধিদপ্তর বাজারে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে। পরে তারা দেশে ভোজ্যতেলের সব মিলে তদারকি করে। এতেও সরবরাহ স্বাভাবিক পায়নি কমিশন।
মিলগুলো আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে দফায় দফায় দাম বাড়াতে চাপ সৃষ্টি করলে সরকার এ দাবি মেনে নেয়। এ ছাড়া তেলের দাম স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক কমিয়ে দেয় সরকার। তবে ব্যবসায়ীরা আইন লঙ্ঘন করে বাজারে অসম প্রতিযোগিতা শুরু করেন। এতে ভোজ্যতেল ভোক্তার নাগালের বাইরে চলে যায়।
বাজারে অসম প্রতিযোগিতার কারণে কমিশন দেশের আটটি মিল মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করে। ইতিমধ্যে তারা কমিশনের কাছে হাজিরা দিয়ে সময় চেয়ে আবেদনে করেছে।
কমিশনের অনুসন্ধান দল আমদানিকারক, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। একই সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংক থেকেও আন্তর্জাতিক বাজার সম্পর্কে দুই বছরের তথ্য সংগ্রহ করে। এ ছাড়া ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক, মাসিক ও দৈনিক আমদানি, মজুত, পরিশোধন সক্ষমতা, আমদানি করা কাঁচামালের পরিমাণ এবং উপজাত পণ্য সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে।
মিলগুলোতে পরিদর্শনের সময় অনুসন্ধান দল দেখতে পায়, সিটি অয়েল মিল লিমিটেড, গ্লোব এডিবল অয়েল লিমিটেড, মেঘনা ও ইউনাইটেড এডিবল অয়েল রিফাইনার্স লিমিটেড এবং বসুন্ধরা অয়েল রিফাইনারি সরবরাহ আদেশের বিপরীতে ঠিক সময়ে তেল সরবরাহ করেনি। তারা যখন সরবরাহ করে তখন ওই আদেশের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এতে পরোক্ষভাবে ভোজ্যতেলের সরবরাহে দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এর ফলে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে, যা ২০১২ সালের প্রতিযোগিতা আইনের ১৫ (২) (গ) ধারা অনুযায়ী সরবরাহকে সীমিত করার শামিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনেও আরও বলা হয়, মিলগুলোর কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ অপরিশোধিত ভোজ্যতেলের মজুত থাকা সত্ত্বেও জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে সরবরাহ কমিয়ে দেয়। এ ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ক্রয়াদেশে তেল সরবরাহ অব্যাহত রাখায় পরোক্ষভাবে এসব ক্রয়াদেশে বহুবার হাত বদল হয়। এই হাতবদলের প্রতিটি পর্যায়েই প্রত্যেকে মুনাফার জন্য তেলের দাম বেড়েছে।
কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেলের মজুত থাকা সত্ত্বেও মিলার ও ডিলারেরা মিলে সরবরাহে সংকট তৈরি করেছে। আর এতে খুচরা পর্যায়ে সংকট তৈরি হওয়ায় বাজারে দাম অস্বাভাবিক বাড়ে। এ প্রসঙ্গে ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সরবরাহে সংকট তৈরি করা ব্যবসায়ীদের একটা কারসাজি। সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি মনে করছেন।
প্রতিযোগিতা কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিটি অয়েল মিল ও প্রাইম এডিবল অয়েল লিমিটেড তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে অনুসন্ধান দলকে অসহযোগিতা করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড সরবরাহ আদেশভিত্তিক ব্যবস্থার পরিবর্তে তাদের তেল নিজস্ব ডিলারের মাধ্যমে শতভাগ কনজুমার প্যাকেটে বাজারে দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি আবুল হাসেম বলেন, মিল থেকে আগের বিক্রি হওয়া এসও নতুন তারিখ দিয়ে সরবরাহ করেছে। তেলের মালিক মিলাররা। তারা বাজারে সরবরাহ না দেওয়ায় ঘাটতি হয়েছে। ফলে বাজারে সংকট তৈরি হওয়ায় দাম বেড়েছে।
মিল থেকে সংকট তৈরির বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘ডিলারেরা মাল কেনার পরও দেরিতে সরবরাহ নেওয়ার জন্য তো আর আমরা দায়ী না।’
সরবরাহে দীর্ঘসূত্রতা ও কৃত্রিম সংকটের কারণে বাজারে দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম বলেন, ভোজ্যতেল মিল মালিকদের বিরুদ্ধে কমিশনে মামলা চলমান রয়েছে। এ মামলা চলাকালে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হবে না।
বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজের পরিচালক (বিপণন) রেদোয়ানুর রহমান বলেন, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির চেয়ে মার্চে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২২ জুন মামলার জবাব দেবেন তাঁরা।
মেঘনা গ্রুপ ও ইউনাইটেড এডিবল অয়েল রিফাইনার্স লিমিটেডের প্রধান বিক্রয় কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, সরকার কত কিছুই তো করছে। প্রতিযোগিতা কমিশন রোজার আগে তাদের মিলে এসেছিল। এসব বিষয়ে তাঁদের উপদেষ্টা দেখাশোনা করেন। প্রয়োজনের তার সঙ্গে কথা বলতে বলেন তিনি।
প্রতিযোগিতা কমিশনের আইনের আওতায় কোনো প্রতিষ্ঠান দোষী সাব্যস্ত হলে আগের তিন বছরে ওই প্রতিষ্ঠান যে পরিমাণ লেনদেন বা পণ্য বিক্রি করেছে, তার ওপর সর্বনিম্ন এক শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান রয়েছে।
দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভোজ্যতেল মজুত থাকার পরও সরবরাহে দীর্ঘসূত্রতা তৈরির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।
অধিকাংশ তেলের মিল থেকে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া এবং মিলার ও ডিলারদের কারসাজিতে পুরোনো বিক্রয় আদেশে (এসও) দেরিতে তেল সরবরাহ করা এবং বারবার বিক্রয় আদেশ হাতবদলের ফলে তেলের দাম বেড়ে যায়। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এই কারণগুলো উঠে এসেছে।
বাজারে তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণ খুঁজে বের করতে প্রতিযোগিতা কমিশন গত ১০ মার্চ একজন উপপরিচালকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করে। দলটি গত ১৪ মার্চ গ্লোব এডিবল অয়েল লিমিটেড ও সিটি অয়েল লিমিটেড, ৩ এপ্রিল বসুন্ধরা ফটিফাইড সয়াবিন অয়েল, ৫ এপ্রিল মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইনার্স লিমিটেড এবং ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের পরিশোধনাগার পরিদর্শন করে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে ভোজ্যতেলের মোট চাহিদা ১৮-২০ লাখ মেট্রিক টন। অর্থাৎ প্রতি মাসে চাহিদা রয়েছে দেড় লাখ টনের ওপরে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যে দেখা গেছে, মার্চে বন্দর থেকে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত মোট ভোজ্যতেল খালাস হয়েছে ১ লাখ ৪৬ হাজার ২১৬ মেট্রিক টন এবং এপ্রিলে ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৩ মেট্রিক টন।
গত মার্চে মিলগুলো জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংগঠন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে দেশে মজুত পরিস্থিতি জানায়। এতে দেখা গেছে, ছয়টি পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে এক লাখ ৯৫ হাজার ৬৩৬ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল মজুত ছিল। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলো এক লাখ ৮৩ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল আমদানির ঋণপত্র খোলার তথ্য দেয়।
কমিশন তাদের অনুসন্ধানে দেখেছে, মিল থেকে তেল বিক্রির পর ১৫ দিনের মধ্যে খালাসে আইন থাকলেও মিলার ও ডিলার কেউ আইন মানেনি। ফলে বাজারে ইচ্ছামতো দাম বাড়ানো সম্ভব হয়। পরে ভোক্তা অধিদপ্তর বাজারে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে। পরে তারা দেশে ভোজ্যতেলের সব মিলে তদারকি করে। এতেও সরবরাহ স্বাভাবিক পায়নি কমিশন।
মিলগুলো আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে দফায় দফায় দাম বাড়াতে চাপ সৃষ্টি করলে সরকার এ দাবি মেনে নেয়। এ ছাড়া তেলের দাম স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক কমিয়ে দেয় সরকার। তবে ব্যবসায়ীরা আইন লঙ্ঘন করে বাজারে অসম প্রতিযোগিতা শুরু করেন। এতে ভোজ্যতেল ভোক্তার নাগালের বাইরে চলে যায়।
বাজারে অসম প্রতিযোগিতার কারণে কমিশন দেশের আটটি মিল মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা করে। ইতিমধ্যে তারা কমিশনের কাছে হাজিরা দিয়ে সময় চেয়ে আবেদনে করেছে।
কমিশনের অনুসন্ধান দল আমদানিকারক, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। একই সঙ্গে বিশ্ব ব্যাংক থেকেও আন্তর্জাতিক বাজার সম্পর্কে দুই বছরের তথ্য সংগ্রহ করে। এ ছাড়া ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক, মাসিক ও দৈনিক আমদানি, মজুত, পরিশোধন সক্ষমতা, আমদানি করা কাঁচামালের পরিমাণ এবং উপজাত পণ্য সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে।
মিলগুলোতে পরিদর্শনের সময় অনুসন্ধান দল দেখতে পায়, সিটি অয়েল মিল লিমিটেড, গ্লোব এডিবল অয়েল লিমিটেড, মেঘনা ও ইউনাইটেড এডিবল অয়েল রিফাইনার্স লিমিটেড এবং বসুন্ধরা অয়েল রিফাইনারি সরবরাহ আদেশের বিপরীতে ঠিক সময়ে তেল সরবরাহ করেনি। তারা যখন সরবরাহ করে তখন ওই আদেশের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এতে পরোক্ষভাবে ভোজ্যতেলের সরবরাহে দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এর ফলে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে, যা ২০১২ সালের প্রতিযোগিতা আইনের ১৫ (২) (গ) ধারা অনুযায়ী সরবরাহকে সীমিত করার শামিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনেও আরও বলা হয়, মিলগুলোর কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ অপরিশোধিত ভোজ্যতেলের মজুত থাকা সত্ত্বেও জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে সরবরাহ কমিয়ে দেয়। এ ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ক্রয়াদেশে তেল সরবরাহ অব্যাহত রাখায় পরোক্ষভাবে এসব ক্রয়াদেশে বহুবার হাত বদল হয়। এই হাতবদলের প্রতিটি পর্যায়েই প্রত্যেকে মুনাফার জন্য তেলের দাম বেড়েছে।
কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেলের মজুত থাকা সত্ত্বেও মিলার ও ডিলারেরা মিলে সরবরাহে সংকট তৈরি করেছে। আর এতে খুচরা পর্যায়ে সংকট তৈরি হওয়ায় বাজারে দাম অস্বাভাবিক বাড়ে। এ প্রসঙ্গে ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সরবরাহে সংকট তৈরি করা ব্যবসায়ীদের একটা কারসাজি। সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি মনে করছেন।
প্রতিযোগিতা কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিটি অয়েল মিল ও প্রাইম এডিবল অয়েল লিমিটেড তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে অনুসন্ধান দলকে অসহযোগিতা করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড সরবরাহ আদেশভিত্তিক ব্যবস্থার পরিবর্তে তাদের তেল নিজস্ব ডিলারের মাধ্যমে শতভাগ কনজুমার প্যাকেটে বাজারে দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি আবুল হাসেম বলেন, মিল থেকে আগের বিক্রি হওয়া এসও নতুন তারিখ দিয়ে সরবরাহ করেছে। তেলের মালিক মিলাররা। তারা বাজারে সরবরাহ না দেওয়ায় ঘাটতি হয়েছে। ফলে বাজারে সংকট তৈরি হওয়ায় দাম বেড়েছে।
মিল থেকে সংকট তৈরির বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘ডিলারেরা মাল কেনার পরও দেরিতে সরবরাহ নেওয়ার জন্য তো আর আমরা দায়ী না।’
সরবরাহে দীর্ঘসূত্রতা ও কৃত্রিম সংকটের কারণে বাজারে দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম বলেন, ভোজ্যতেল মিল মালিকদের বিরুদ্ধে কমিশনে মামলা চলমান রয়েছে। এ মামলা চলাকালে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হবে না।
বসুন্ধরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজের পরিচালক (বিপণন) রেদোয়ানুর রহমান বলেন, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির চেয়ে মার্চে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২২ জুন মামলার জবাব দেবেন তাঁরা।
মেঘনা গ্রুপ ও ইউনাইটেড এডিবল অয়েল রিফাইনার্স লিমিটেডের প্রধান বিক্রয় কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, সরকার কত কিছুই তো করছে। প্রতিযোগিতা কমিশন রোজার আগে তাদের মিলে এসেছিল। এসব বিষয়ে তাঁদের উপদেষ্টা দেখাশোনা করেন। প্রয়োজনের তার সঙ্গে কথা বলতে বলেন তিনি।
প্রতিযোগিতা কমিশনের আইনের আওতায় কোনো প্রতিষ্ঠান দোষী সাব্যস্ত হলে আগের তিন বছরে ওই প্রতিষ্ঠান যে পরিমাণ লেনদেন বা পণ্য বিক্রি করেছে, তার ওপর সর্বনিম্ন এক শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান রয়েছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে