কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
বর্ষাকালের প্রস্তুতি হিসেবে নৌকা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কারিগরেরা। ভারী বর্ষণে ইতিমধ্যে পানি বাড়তে শুরু করেছে নদ-নদীতে। মাছ ধরায় নেমে পড়েছেন জেলেরা। এ কারণে নৌকার চাহিদাও বেড়েছে। নৌকার জোগান দিতে কারিগরেরা দিনরাত কাজ করছেন। দম ফেলার ফুরসত মিলছে না তাঁদের। নতুন নৌকা তৈরির পাশাপাশি পুরোনো নৌকা মেরামত করে ব্যবহারের উপযোগী করা হচ্ছে।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার চাঁপাইর ইউনিয়নের সীমারপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ সূত্রধর পরিবার বসবাস করে আসছে। তাঁরা বংশ পরম্পরায় কাঠের নৌকা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এখানকার তৈরি নৌকার খ্যাতি রয়েছে দেশের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে। প্রতিবছরের মতো এবারও নৌকা তৈরি ও বিক্রির কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগরেরা। এখানকার তৈরি ছোট নৌকা, ইঞ্জিন সংযোজিত নৌকা, মাছ ধরার বড় নৌকা, বাইচ খেলার কোষা নৌকার সুনাম দেশজুড়ে।
সীমারপাড় এলাকার নৌকা তৈরির কারিগর সুব্রত সূত্রধর জানান, ছোটবেলা থেকেই নৌকা তৈরির কাজ করছেন। আগে বছরের সব সময় নৌকা তৈরি ও বিক্রি হতো। এখন বর্ষা এলে নৌকা তৈরির কাজ বেড়ে যায়। প্রতিবছরের মতো এবারও বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই নৌকা তৈরির ফরমাশ আসতে শুরু করেছে। কড়াই, হিজল ও মেহগনি দিয়ে বেশির ভাগ নৌকা তৈরি হয়। চারজন লোক মিলে দিনে একটি ডিঙি নৌকা তৈরি করা যায়। ছোট আকারের একটি নৌকা তৈরি করতে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়। বিক্রি হয় ৭-৮ হাজার টাকায়।
নৌকা ব্যবসায়ী আবু ইসহাক সরকার বলেন, ‘কাঠ ও অন্যান্য সরঞ্জামের দাম বেড়ে যাওয়ায় নৌকার দাম আগের থেকে কিছুটা বেড়েছে।’
উপজেলার বাংগুরী এলাকা থেকে নৌকা কিনতে আসা বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘যাতায়াত ও গরুর জন্য ঘাস কাটার জন্য নৌকা কিনতে হলো। দুই বছরের ব্যবধানে প্রতিটি নৌকায় দেড় থেকে দুই হাজার টাকা দাম বেড়েছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় শত শত নৌকা তৈরি হচ্ছে। বর্ষাকালে উপজেলার সীমারপাড়া, বাঁশতলী, হাটুরিয়াচালা, ফুলবাড়িয়া, কৌচাকুরি, সিনাবহ, সুরিচালা, শ্রীফলতলী, বলিয়াদী, উল্টোপাড়ার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা নৌকা। গ্রামগুলোতে নৌকা ব্যবহার হচ্ছে যুগ যুগ ধরে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে দিন দিন নৌকার ব্যবহার কমে যাচ্ছে। নৌকার তৈরির কারিগরেরা অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, কাঠের নৌকা তৈরি কর্মসংস্থানের একটি ভালো উদ্যোগ। এ পেশার কারিগরদের টিকিয়ে রাখতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে প্রশিক্ষণ ও সহজ শর্তে ক্ষুদ্রঋণের ব্যবস্থা রয়েছে। আগ্রহীরা আবেদন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।
বর্ষাকালের প্রস্তুতি হিসেবে নৌকা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কারিগরেরা। ভারী বর্ষণে ইতিমধ্যে পানি বাড়তে শুরু করেছে নদ-নদীতে। মাছ ধরায় নেমে পড়েছেন জেলেরা। এ কারণে নৌকার চাহিদাও বেড়েছে। নৌকার জোগান দিতে কারিগরেরা দিনরাত কাজ করছেন। দম ফেলার ফুরসত মিলছে না তাঁদের। নতুন নৌকা তৈরির পাশাপাশি পুরোনো নৌকা মেরামত করে ব্যবহারের উপযোগী করা হচ্ছে।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার চাঁপাইর ইউনিয়নের সীমারপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ সূত্রধর পরিবার বসবাস করে আসছে। তাঁরা বংশ পরম্পরায় কাঠের নৌকা তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এখানকার তৈরি নৌকার খ্যাতি রয়েছে দেশের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে। প্রতিবছরের মতো এবারও নৌকা তৈরি ও বিক্রির কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগরেরা। এখানকার তৈরি ছোট নৌকা, ইঞ্জিন সংযোজিত নৌকা, মাছ ধরার বড় নৌকা, বাইচ খেলার কোষা নৌকার সুনাম দেশজুড়ে।
সীমারপাড় এলাকার নৌকা তৈরির কারিগর সুব্রত সূত্রধর জানান, ছোটবেলা থেকেই নৌকা তৈরির কাজ করছেন। আগে বছরের সব সময় নৌকা তৈরি ও বিক্রি হতো। এখন বর্ষা এলে নৌকা তৈরির কাজ বেড়ে যায়। প্রতিবছরের মতো এবারও বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই নৌকা তৈরির ফরমাশ আসতে শুরু করেছে। কড়াই, হিজল ও মেহগনি দিয়ে বেশির ভাগ নৌকা তৈরি হয়। চারজন লোক মিলে দিনে একটি ডিঙি নৌকা তৈরি করা যায়। ছোট আকারের একটি নৌকা তৈরি করতে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়। বিক্রি হয় ৭-৮ হাজার টাকায়।
নৌকা ব্যবসায়ী আবু ইসহাক সরকার বলেন, ‘কাঠ ও অন্যান্য সরঞ্জামের দাম বেড়ে যাওয়ায় নৌকার দাম আগের থেকে কিছুটা বেড়েছে।’
উপজেলার বাংগুরী এলাকা থেকে নৌকা কিনতে আসা বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘যাতায়াত ও গরুর জন্য ঘাস কাটার জন্য নৌকা কিনতে হলো। দুই বছরের ব্যবধানে প্রতিটি নৌকায় দেড় থেকে দুই হাজার টাকা দাম বেড়েছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় শত শত নৌকা তৈরি হচ্ছে। বর্ষাকালে উপজেলার সীমারপাড়া, বাঁশতলী, হাটুরিয়াচালা, ফুলবাড়িয়া, কৌচাকুরি, সিনাবহ, সুরিচালা, শ্রীফলতলী, বলিয়াদী, উল্টোপাড়ার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা নৌকা। গ্রামগুলোতে নৌকা ব্যবহার হচ্ছে যুগ যুগ ধরে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানান, সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের কারণে দিন দিন নৌকার ব্যবহার কমে যাচ্ছে। নৌকার তৈরির কারিগরেরা অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, কাঠের নৌকা তৈরি কর্মসংস্থানের একটি ভালো উদ্যোগ। এ পেশার কারিগরদের টিকিয়ে রাখতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে প্রশিক্ষণ ও সহজ শর্তে ক্ষুদ্রঋণের ব্যবস্থা রয়েছে। আগ্রহীরা আবেদন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে