রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
নরসিংদীর রায়পুরার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের রতনপুর ঈদগাহ মাঠ থেকে গোপালপুর হয়ে চরমরজাল পর্যন্ত রাস্তাটি কাঁচা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ছোট বড় গর্তে ভরা এই রাস্তায় শুকনো মৌসুমে কোনোরকমে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে মোটেই সম্ভব নয়। তা ছাড়া শুকনা মৌসুমেও বিভিন্ন যানবাহনের চাকা গর্তে আটকে যাচ্ছে। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত এই রাস্তা পাকা করা হোক। এদিকে প্রশাসন বলছে, দ্রুত এই রাস্তা পাকা করার জন্য চাহিদা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
গতকাল সোমবার দুপুরে দেখা যায় ওই রাস্তার বিভিন্ন অংশে ছোট বড় গর্ত। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই পথে চরমরজাল, গোপালপুর, রতনপুর, মরজালসহ উত্তরবাখর নগর বাজারে ও ইউনিয়ন পরিষদে যেতে হয়। প্রতিদিন পাঁচ গ্রামের মানুষ হেঁটে, মোটরসাইকেলে, বাইসাইকেলে চলাচল করে। এলাকার চাষিরা উৎপাদিত সবজি বিভিন্ন বাজারে আনা-নেওয়া করেন রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ ছোট ছোট বিভিন্ন যানবাহনে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ অঞ্চলের সবজি সারা দেশের সরবরাহ করা হয়। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চাষিরা তাঁদের উৎপাদিত সবজি রায়পুরা, মরজাল, বাখরনগর, জংলী শিবপুর, বারৈচা পাইকারি বাজারে আনা নেওয়া করে। বর্ষা মৌসুমে, এই রাস্তার ছোট বড় গর্তে পানি জমে যায়। তখন গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল করা দায়। শুকনো মৌসুমে ধুলাবালিতেও চলাচল করা কঠিন। তা ছাড়া রাস্তার ছোট-বড় গর্তে ঘটছে দুর্ঘটনা।
রাতের বেলায় চলাচলে অসুবিধে হয়। এই রাস্তা দিয়ে ৫ থেকে ৬টি গ্রামের মানুষ চলাচল করে। এলাকার চাষিরা সবজি চাষে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে।’
মজিবুর রহমান বলেন, ‘এই রাস্তার অবস্থা কেউ দেখে না। ভাঙা রাস্তায় গাড়ি চলে না। বাজারে যাও লাগে আওন লাগে। চেয়ারম্যান বানাইয়া দেই। কিন্তু তারা কোনো কাম করে না। যেমনেই হোক রাস্তাটা পাকা করা হোক।’
ভ্যানগাড়ি চালক কামাল হোসেন বলেন, ‘সরকার সারা দেশে এত কাজ করতাছে। এই রাস্তাটার দিক একটু তাকাইলে ভালো হতো। আমরা এই রাস্তায় চলাচল করি, আমরাই বুঝি এই পথে চলাচল করা কত কষ্টের। এইগুলা দেখা যেন কেউ নাই।’
আসাদুল্লাহ নামের এক কৃষক বলেন, ‘দেখতাচেন, গাড়িটার কী হইছে। সবজি নিয়ে বাজারে যাচ্ছিলাম। গর্তে পরে গাড়ি ভাঙছে। এই গাড়ি মেরামত করতে ১ থেকে ২ হাজার টাকা খরচ লাগব। দিন আনি দিন খাই কেমনে এত টাকা খরচ করুম। সবজি আনা-নেওয়া করতে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়। এই রাস্তা দ্রুত পাকা করা হোক।’
আবদুর রাজ্জাক নামের অপর চালক বলেন, ‘আমি এই এলাকার বাসিন্দা। এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাই দীর্ঘদিন। সারা দেশে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও আমাদের এই রাস্তাটার কিছুই হইল না। আমরা গাড়ি চালায়ে খাই। মেম্বার চেয়ারম্যান এক মুঠো মাটিও ফালায় না। মাঝেমধ্যে আমরা নিজেরাই মাটি ফালাই। তাড়াতাড়ি রাস্তাটা পাকা হোক এইডাই চাই।’
সুরাফ মিয়া নামের এক পথচারী বলেন, বালি নিয়ে ১০ থেকে ১৫ ট্রাক এই পথে চলাচল করে। এই কারণে এই রাস্তা খারাপ হচ্ছে এবং আরও বেশি ভাঙছে।
উত্তর বাখরনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ হাবিব বলেন, ‘আমি মাত্র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলাম। এখনো দায়িত্ব বুঝে পাইনি। আগেও এই রাস্তার ব্যাপারে সাংসদকে জানিয়েছি। এই রাস্তা পাকা করতে আমার পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করব। দ্রুত রাস্তাটি পাকা করা না হলে জনদুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, উত্তর বাখর নগর ইউনিয়নের রাস্তাটি দ্রুত পাকা করারা চেষ্টা করব। এর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদা পাঠানো হবে।
নরসিংদীর রায়পুরার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের রতনপুর ঈদগাহ মাঠ থেকে গোপালপুর হয়ে চরমরজাল পর্যন্ত রাস্তাটি কাঁচা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ছোট বড় গর্তে ভরা এই রাস্তায় শুকনো মৌসুমে কোনোরকমে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে মোটেই সম্ভব নয়। তা ছাড়া শুকনা মৌসুমেও বিভিন্ন যানবাহনের চাকা গর্তে আটকে যাচ্ছে। ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত এই রাস্তা পাকা করা হোক। এদিকে প্রশাসন বলছে, দ্রুত এই রাস্তা পাকা করার জন্য চাহিদা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।
গতকাল সোমবার দুপুরে দেখা যায় ওই রাস্তার বিভিন্ন অংশে ছোট বড় গর্ত। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই পথে চরমরজাল, গোপালপুর, রতনপুর, মরজালসহ উত্তরবাখর নগর বাজারে ও ইউনিয়ন পরিষদে যেতে হয়। প্রতিদিন পাঁচ গ্রামের মানুষ হেঁটে, মোটরসাইকেলে, বাইসাইকেলে চলাচল করে। এলাকার চাষিরা উৎপাদিত সবজি বিভিন্ন বাজারে আনা-নেওয়া করেন রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ ছোট ছোট বিভিন্ন যানবাহনে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ অঞ্চলের সবজি সারা দেশের সরবরাহ করা হয়। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চাষিরা তাঁদের উৎপাদিত সবজি রায়পুরা, মরজাল, বাখরনগর, জংলী শিবপুর, বারৈচা পাইকারি বাজারে আনা নেওয়া করে। বর্ষা মৌসুমে, এই রাস্তার ছোট বড় গর্তে পানি জমে যায়। তখন গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল করা দায়। শুকনো মৌসুমে ধুলাবালিতেও চলাচল করা কঠিন। তা ছাড়া রাস্তার ছোট-বড় গর্তে ঘটছে দুর্ঘটনা।
রাতের বেলায় চলাচলে অসুবিধে হয়। এই রাস্তা দিয়ে ৫ থেকে ৬টি গ্রামের মানুষ চলাচল করে। এলাকার চাষিরা সবজি চাষে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে।’
মজিবুর রহমান বলেন, ‘এই রাস্তার অবস্থা কেউ দেখে না। ভাঙা রাস্তায় গাড়ি চলে না। বাজারে যাও লাগে আওন লাগে। চেয়ারম্যান বানাইয়া দেই। কিন্তু তারা কোনো কাম করে না। যেমনেই হোক রাস্তাটা পাকা করা হোক।’
ভ্যানগাড়ি চালক কামাল হোসেন বলেন, ‘সরকার সারা দেশে এত কাজ করতাছে। এই রাস্তাটার দিক একটু তাকাইলে ভালো হতো। আমরা এই রাস্তায় চলাচল করি, আমরাই বুঝি এই পথে চলাচল করা কত কষ্টের। এইগুলা দেখা যেন কেউ নাই।’
আসাদুল্লাহ নামের এক কৃষক বলেন, ‘দেখতাচেন, গাড়িটার কী হইছে। সবজি নিয়ে বাজারে যাচ্ছিলাম। গর্তে পরে গাড়ি ভাঙছে। এই গাড়ি মেরামত করতে ১ থেকে ২ হাজার টাকা খরচ লাগব। দিন আনি দিন খাই কেমনে এত টাকা খরচ করুম। সবজি আনা-নেওয়া করতে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়। এই রাস্তা দ্রুত পাকা করা হোক।’
আবদুর রাজ্জাক নামের অপর চালক বলেন, ‘আমি এই এলাকার বাসিন্দা। এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাই দীর্ঘদিন। সারা দেশে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও আমাদের এই রাস্তাটার কিছুই হইল না। আমরা গাড়ি চালায়ে খাই। মেম্বার চেয়ারম্যান এক মুঠো মাটিও ফালায় না। মাঝেমধ্যে আমরা নিজেরাই মাটি ফালাই। তাড়াতাড়ি রাস্তাটা পাকা হোক এইডাই চাই।’
সুরাফ মিয়া নামের এক পথচারী বলেন, বালি নিয়ে ১০ থেকে ১৫ ট্রাক এই পথে চলাচল করে। এই কারণে এই রাস্তা খারাপ হচ্ছে এবং আরও বেশি ভাঙছে।
উত্তর বাখরনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ হাবিব বলেন, ‘আমি মাত্র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলাম। এখনো দায়িত্ব বুঝে পাইনি। আগেও এই রাস্তার ব্যাপারে সাংসদকে জানিয়েছি। এই রাস্তা পাকা করতে আমার পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করব। দ্রুত রাস্তাটি পাকা করা না হলে জনদুর্ভোগ আরও বেড়ে যাবে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, উত্তর বাখর নগর ইউনিয়নের রাস্তাটি দ্রুত পাকা করারা চেষ্টা করব। এর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদা পাঠানো হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে