চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ও নগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলায় চার আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান এ আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন আমজাদ হোসেন, মিজানুর রহমান, মো. মামুন ও আবু জিহাদ।

মহানগর কৌঁসুলি (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিচার নিষ্পত্তির জন্য সুদীপ্ত হত্যা মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসে। গতকাল চার আসামির জামিনের আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।

এদিকে মামলাটি চট্টগ্রাম অতিরিক্ত দ্বিতীয় মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে। ওই আদালতে মামলার পরবর্তী কার্যক্রম চলবে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলাটির তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।

২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে মোটরসাইকেল ও ট্যাক্সিতে করে নগরীর সদরঘাটের নালাপাড়ায় সুদীপ্ত বিশ্বাসের বাসায় হানা দেয় এক দল দুর্বৃত্ত। এ সময় ঘুমন্ত সুদীপ্তকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে আসে। পরে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করে তাঁকে। ভীতি সঞ্চারের জন্য দুর্বৃত্তরা গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় সুদীপ্তকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সুদীপ্তর বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের ছাত্র সুদীপ্ত সাবেক সিটি মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী ছিলেন। ওই কলেজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে ওঠে আসে। এ মামলায় অভিযুক্ত দিদারুল আলম মাসুম চট্টগ্রামের লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। তিনি সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।