রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলগুলো খুলতে না খুলতেই সিট দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছেন শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ইতিমধ্যে হলের রুমে রুমে গিয়ে খালি সিটের তালিকা তৈরি করেছে। এমনকি হল প্রাধ্যক্ষের তুলে দেওয়া ছাত্রকে বের করে সিট দখলের ঘটনাও ঘটেছে। খালি সিটগুলোতে তাঁরা টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থী তুলছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রুমে রুমে গিয়ে খোঁজ নেওয়ার বিষয়টি হল ছাত্রলীগের হোম ওয়ার্কের মধ্যেই পড়ে। তবে টাকার বিনিময়ে হলে ওঠানোর বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ তথ্যপ্রমাণসহ অভিযোগ দিলে অভিযুক্ত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেড় বছর বন্ধ থাকার পর চলতি মাসের ১৭ অক্টোবর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলেছে। করোনাকালে আবাসিক হলগুলো বন্ধ থাকলেও বিভাগগুলোতে অনার্স ও মাস্টার্সের পরীক্ষা হয়েছে। অনেক আবাসিক শিক্ষার্থী স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ডিগ্রি শেষ করে ইতিমধ্যে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। ফলে আবাসিক হলগুলোতে বেশ কিছু সিট ফাঁকা হয়েছে।
জানা যায়, ২১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের রুমে রুমে গিয়ে কোন সিট কবে ফাঁকা হচ্ছে—সে তালিকা করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এরপর গত সোমবার রাতে শাহ মখদুম হলেও শিক্ষার্থীদের রুমে রুমে গিয়ে তথ্য নিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতারা। নাম এবং কখন মাস্টার্স শেষ হবে, সম্ভাব্য হল ছাড়ার তথ্য নিয়েছেন তাঁরা। অন্যান্য হলেও একইভাবে তালিকা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
মাদার বখ্শ হলের রুমে রুমে গিয়ে ফাঁকা সিটের খোঁজ নেওয়ার সময় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওই হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হামিম শাফায়াত প্রিন্স। জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের ট্রাডিশন বিভিন্ন রুমে গিয়ে অনাবাসিক শিক্ষার্থী কারা আছে খোঁজ নেওয়া। আমরা এটি করেছি প্রাধ্যক্ষ স্যারকে জানিয়েই।’
এ বিষয়ে মাদার বখ্শ হলের প্রাধ্যক্ষ ড. শামীম হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বাইরে আছি। এই সপ্তাহে ব্যস্ত থাকব। আগামী সপ্তাহে অফিসে এলে তখন এ বিষয়ে কথা বলব।’
এদিকে, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা দখল করা সিটগুলোতে টাকার বিনিময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের তুলছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সিটপ্রতি গুনতে হচ্ছে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা।
গত ১৭ অক্টোবরের পর টাকা দিয়ে হলে উঠেছেন—এমন অন্তত পাঁচজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। শিক্ষার্থীরা জানান, সিঙ্গেল রুমে উঠতে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। এ ছাড়া ডাবল ও ট্রিপল সিটের রুমের জন্য তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা নিচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক ও শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রাধ্যক্ষ ড. জুলকার নায়েন বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি। তিনি আজকের পত্রিকাকে শুধু বলেন, ‘স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে কিছু ঘটলে সেটি অবশ্যই অস্বস্তির।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলগুলো খুলতে না খুলতেই সিট দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছেন শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ইতিমধ্যে হলের রুমে রুমে গিয়ে খালি সিটের তালিকা তৈরি করেছে। এমনকি হল প্রাধ্যক্ষের তুলে দেওয়া ছাত্রকে বের করে সিট দখলের ঘটনাও ঘটেছে। খালি সিটগুলোতে তাঁরা টাকার বিনিময়ে শিক্ষার্থী তুলছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রুমে রুমে গিয়ে খোঁজ নেওয়ার বিষয়টি হল ছাত্রলীগের হোম ওয়ার্কের মধ্যেই পড়ে। তবে টাকার বিনিময়ে হলে ওঠানোর বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ তথ্যপ্রমাণসহ অভিযোগ দিলে অভিযুক্ত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেড় বছর বন্ধ থাকার পর চলতি মাসের ১৭ অক্টোবর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলেছে। করোনাকালে আবাসিক হলগুলো বন্ধ থাকলেও বিভাগগুলোতে অনার্স ও মাস্টার্সের পরীক্ষা হয়েছে। অনেক আবাসিক শিক্ষার্থী স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ডিগ্রি শেষ করে ইতিমধ্যে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। ফলে আবাসিক হলগুলোতে বেশ কিছু সিট ফাঁকা হয়েছে।
জানা যায়, ২১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের রুমে রুমে গিয়ে কোন সিট কবে ফাঁকা হচ্ছে—সে তালিকা করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এরপর গত সোমবার রাতে শাহ মখদুম হলেও শিক্ষার্থীদের রুমে রুমে গিয়ে তথ্য নিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতারা। নাম এবং কখন মাস্টার্স শেষ হবে, সম্ভাব্য হল ছাড়ার তথ্য নিয়েছেন তাঁরা। অন্যান্য হলেও একইভাবে তালিকা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
মাদার বখ্শ হলের রুমে রুমে গিয়ে ফাঁকা সিটের খোঁজ নেওয়ার সময় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওই হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হামিম শাফায়াত প্রিন্স। জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘদিনের ট্রাডিশন বিভিন্ন রুমে গিয়ে অনাবাসিক শিক্ষার্থী কারা আছে খোঁজ নেওয়া। আমরা এটি করেছি প্রাধ্যক্ষ স্যারকে জানিয়েই।’
এ বিষয়ে মাদার বখ্শ হলের প্রাধ্যক্ষ ড. শামীম হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বাইরে আছি। এই সপ্তাহে ব্যস্ত থাকব। আগামী সপ্তাহে অফিসে এলে তখন এ বিষয়ে কথা বলব।’
এদিকে, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা দখল করা সিটগুলোতে টাকার বিনিময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের তুলছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সিটপ্রতি গুনতে হচ্ছে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা।
গত ১৭ অক্টোবরের পর টাকা দিয়ে হলে উঠেছেন—এমন অন্তত পাঁচজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। শিক্ষার্থীরা জানান, সিঙ্গেল রুমে উঠতে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। এ ছাড়া ডাবল ও ট্রিপল সিটের রুমের জন্য তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা নিচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক ও শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রাধ্যক্ষ ড. জুলকার নায়েন বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি। তিনি আজকের পত্রিকাকে শুধু বলেন, ‘স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে কিছু ঘটলে সেটি অবশ্যই অস্বস্তির।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে