ভ্রূণ হত্যার অভিযোগে মামলা, আসামি ধরছে না পুলিশ

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২২, ১৫: ০৩

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ভ্রূণ হত্যার ঘটনায় মামলার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আসামি হাদিছ মিয়াকে ধরছে না পুলিশ। উপজেলার মাস্কা ইউনিয়নের পানগাঁও গ্রামে গত ৩০ অক্টোবর এই ভ্রূণ হত্যার ঘটনা ঘটে। পরে ১৭ নভেম্বর কেন্দুয়া থানায় এই মামলা করেন গৃহবধূর স্বামী আবদুস সালাম। অভিযুক্ত হাদিছ মিয়ার বাড়ি একই গ্রামে।

গতকাল শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কেন্দুয়া থানার এসআই মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘মামলার পর থেকে আসামি হাদিছ মিয়া পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

পুলিশ জানায়, নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর স্বামী আবদুস সালাম বাদী হয়ে অভিযুক্ত হাদিছ মিয়াকে একমাত্র আসামি করে ১৭ নভেম্বর কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা করেন।

মামলায় হাদিছের বিরুদ্ধে সালামের তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে কিল-ঘুষি ও লাথিতে তাঁর গর্ভপাত ঘটার অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মাস্কা ইউনিয়নের পানগাঁও গ্রামে শিশুদের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে অন্যজনের পক্ষ নিয়ে হাদিছ মিয়া গত ৩০ অক্টোবর রাতে আবদুস সালামের বাড়িতে গিয়ে চড়াও হয়। এ সময় তিনি সালামকে গালাগাল করতে থাকলে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী এর প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হাদিছ মিয়া তাঁর ওপর হামলা চালান। এ সময় চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে তলপেটে লাথি ও কিল-ঘুষিতে ওই নারী আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। একপর্যায়ে সেখানে ওই নারীর গর্ভপাতের ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী আবদুস সালাম বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় অভিযুক্ত হাদিছ মিয়ার বিরুদ্ধে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা করেন। তবে মামলার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও একমাত্র আসামি হাদিছ মিয়াকে এখনো পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

মামলার বাদী আবদুস সালাম বলেন, ‘আমার স্ত্রী এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। আসামি হাদিছ মিয়াকে দ্রুত গ্রেপ্তার এবং তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কেন্দুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘মামলার পর থেকে আসামি হাদিছ মিয়া পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত