মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
পটুয়াখালীতে পরিত্যক্ত জলাশয় খনন করে একে মাছ চাষের আওতায় এনেছে মৎস্য বিভাগ। এর ফলে এলাকার বেকার যুবকদের যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি অভ্যন্তরীণ উৎসগুলোতে মাছের উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এতে এখন শুষ্ক মৌসুমে এসব জলাশয়ের পানি ব্যবহার করে চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে কৃষি ব্যবস্থাপনায় অনেকেরই কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ উপকূলে জালের মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে খাল ও জলাশয়। তবে দীর্ঘদিন খনন না করায় মাটি পড়ে ভরাট হয়েছে অধিকাংশ জলাশয়। আর সম্প্রতি মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে পরিত্যক্ত এসব জলাশয় খনন করার উদ্যোগ নেয় সরকার। মৎস্য বিভাগের জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য চাষ সম্প্রসারণ প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৬টি খাল ও পুকুর পুনর্খনন করা হয়েছে। যার আয়তন ৩০ হেক্টরের বেশি। বর্তমানে এসব জলাশয়ে স্থানীয়দের অংশীদারত্বের ভিত্তিতে চলছে মাছ চাষ। আর খালের পাড়ে চলছে বিভিন্ন শাকসবজির চাষাবাদ। ফলে করোনা মহামারিতে কাজ হারানো অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
পটুয়াখালী কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা আ. বারেক মৃধা বলেন, ‘ছোটকালে কেওয়াবুনিয়া খালে কত গোসল করছি, মাছ ধরছি। এই খাল গত ২০ বছরে মাঠ হয়ে গেছে, অস্তিত্ব ছিল না। কিন্তু এবার মৎস্য বিভাগ খাল কেটে যৌবন ফিরিয়ে দিয়েছে। আমরা এখন মাছ চাষ করি, ওই খালের পানি ব্যবহার করি।’
সদর উপজেলার চর বলইকাঠি এলাকার বাসিন্দা শাহিন মিয়া বলেন, ‘আগে চট্টগ্রাম চাকরি করতাম; করোনা আসার পরে আমার চাকরি চলে যায়। পরে গ্রামের বাড়ি চলে আসি; কাজকর্ম না থাকায় হতাশায় ভুগছিলাম। ওই মৎস্য বিভাগ আমাদের বাড়ির সামনের খাল খনন করে এবং আমাদের ওই খালে মাছ চাষ করার জন্য বলে। আমরা এখন মাছ চাষ করে সংসার নিয়ে ভালোই আছি।’
পটুয়াখালী সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মু. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘খাল খননের প্রধান উদ্দেশ্য হলো মরা জলাশয়, বদ্ধ জলাশয় ও ভরাট হয়ে গেছে—এসব খাল খনন করে মৎস্য আহরণ করা। গত বছর সদর উপজেলায় তিনটি খাল খনন করা হয়েছে। এসব খালে মাছ চাষ পাশাপাশি খালের পাড়ে সবজি চাষ, কলাগাছ লাগিয়ে ওই এলাকার মানুষই সুবিধা পাচ্ছেন। দেখা যায়, এসব খাল খনন করার আগে ভরাট হয়ে ছিল, কচুরিপানায় ভরা ছিল। আর এখন এই খাল সৌন্দর্যে ভরপুর। মানুষ বিকেলে খালের পাড়ে ঘুরতে আসেন।’
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ বলেন, ‘পুনর্খনন হওয়া খাল ও জলাশয়গুলো যাতে মাছ চাষের পাশাপাশি কৃষি ও মানুষের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করা যায়; সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে মাছ উৎপাদনের পাশাপাশি কৃষি ব্যবস্থাপনা এবং স্থানীয়দের জীবন-জীবিকায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া এসব খাল এলাকার সৌন্দর্য বর্ধনে রূপান্তরিত হয়েছে।’
জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য চাষ সম্প্রসারণ প্রকল্প পরিচালক আলিমুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ উপকূলের এসব মরা খাল পুনর্খনন করে পানির প্রবাহ সচল করতে পারলে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি এক ফসলি জমিকে দুই ফসলি এবং দুই ফসলি জমিকে তিন ফসলি জমিতে রূপান্তর করা সম্ভব হবে বলে মনে করছি।’
পটুয়াখালীতে পরিত্যক্ত জলাশয় খনন করে একে মাছ চাষের আওতায় এনেছে মৎস্য বিভাগ। এর ফলে এলাকার বেকার যুবকদের যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি অভ্যন্তরীণ উৎসগুলোতে মাছের উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এতে এখন শুষ্ক মৌসুমে এসব জলাশয়ের পানি ব্যবহার করে চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে কৃষি ব্যবস্থাপনায় অনেকেরই কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ উপকূলে জালের মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে খাল ও জলাশয়। তবে দীর্ঘদিন খনন না করায় মাটি পড়ে ভরাট হয়েছে অধিকাংশ জলাশয়। আর সম্প্রতি মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে পরিত্যক্ত এসব জলাশয় খনন করার উদ্যোগ নেয় সরকার। মৎস্য বিভাগের জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য চাষ সম্প্রসারণ প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৬টি খাল ও পুকুর পুনর্খনন করা হয়েছে। যার আয়তন ৩০ হেক্টরের বেশি। বর্তমানে এসব জলাশয়ে স্থানীয়দের অংশীদারত্বের ভিত্তিতে চলছে মাছ চাষ। আর খালের পাড়ে চলছে বিভিন্ন শাকসবজির চাষাবাদ। ফলে করোনা মহামারিতে কাজ হারানো অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
পটুয়াখালী কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা আ. বারেক মৃধা বলেন, ‘ছোটকালে কেওয়াবুনিয়া খালে কত গোসল করছি, মাছ ধরছি। এই খাল গত ২০ বছরে মাঠ হয়ে গেছে, অস্তিত্ব ছিল না। কিন্তু এবার মৎস্য বিভাগ খাল কেটে যৌবন ফিরিয়ে দিয়েছে। আমরা এখন মাছ চাষ করি, ওই খালের পানি ব্যবহার করি।’
সদর উপজেলার চর বলইকাঠি এলাকার বাসিন্দা শাহিন মিয়া বলেন, ‘আগে চট্টগ্রাম চাকরি করতাম; করোনা আসার পরে আমার চাকরি চলে যায়। পরে গ্রামের বাড়ি চলে আসি; কাজকর্ম না থাকায় হতাশায় ভুগছিলাম। ওই মৎস্য বিভাগ আমাদের বাড়ির সামনের খাল খনন করে এবং আমাদের ওই খালে মাছ চাষ করার জন্য বলে। আমরা এখন মাছ চাষ করে সংসার নিয়ে ভালোই আছি।’
পটুয়াখালী সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মু. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘খাল খননের প্রধান উদ্দেশ্য হলো মরা জলাশয়, বদ্ধ জলাশয় ও ভরাট হয়ে গেছে—এসব খাল খনন করে মৎস্য আহরণ করা। গত বছর সদর উপজেলায় তিনটি খাল খনন করা হয়েছে। এসব খালে মাছ চাষ পাশাপাশি খালের পাড়ে সবজি চাষ, কলাগাছ লাগিয়ে ওই এলাকার মানুষই সুবিধা পাচ্ছেন। দেখা যায়, এসব খাল খনন করার আগে ভরাট হয়ে ছিল, কচুরিপানায় ভরা ছিল। আর এখন এই খাল সৌন্দর্যে ভরপুর। মানুষ বিকেলে খালের পাড়ে ঘুরতে আসেন।’
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ বলেন, ‘পুনর্খনন হওয়া খাল ও জলাশয়গুলো যাতে মাছ চাষের পাশাপাশি কৃষি ও মানুষের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করা যায়; সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে মাছ উৎপাদনের পাশাপাশি কৃষি ব্যবস্থাপনা এবং স্থানীয়দের জীবন-জীবিকায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া এসব খাল এলাকার সৌন্দর্য বর্ধনে রূপান্তরিত হয়েছে।’
জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য চাষ সম্প্রসারণ প্রকল্প পরিচালক আলিমুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ উপকূলের এসব মরা খাল পুনর্খনন করে পানির প্রবাহ সচল করতে পারলে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি এক ফসলি জমিকে দুই ফসলি এবং দুই ফসলি জমিকে তিন ফসলি জমিতে রূপান্তর করা সম্ভব হবে বলে মনে করছি।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে