আবুল কালাম আজাদ, চারঘাট
চারঘাট উপজেলার মেরামতপুর গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে শাওন। বয়স ৯ বছর। করোনার শুরুতে পিরোজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। ভ্যানচালক বাবা মন্টু মিয়া (৫০) অসুস্থ হলে পরিবারের আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যায়। পরিবারের সদস্যদের মুখে দুমুঠো ভাত তুলে দেওয়ার জন্য মাত্র ৯ বছর বয়সে বাবার ভ্যান চালাতে শুরু করে শাওন। ভ্যান চালিয়ে ২০০-৩০০ টাকা আয় হয়, তা দিয়ে চলছে সংসার। স্কুল খুললেও শাওনের আর যাওয়া হয়নি।
করোনাকালে দীর্ঘ ছুটির পর ফের পাঠদান শুরু হলেও শাওনের মতো চারঘাটের মাধ্যমিক পর্যায়ের ৩০ ভাগ শিক্ষার্থীই ক্লাসে ফেরেনি।
দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এসব শিক্ষার্থী ঝরে গেছে। তাদের আর ফেরানো যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ক্লাসে ৩০ ভাগ শিক্ষার্থী অনুপস্থিতির বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসও স্বীকার করেছে।
সরেজমিনে উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের চকগোচর এলাকায় দেখা যায়, সেখানে একটি স্টিলের ফার্নিচার কারখানায় তিন-চারজন শিশু কাজ করছে। তাদের সবাই করোনার প্রকোপ শুরুর আগে স্কুল বা মাদ্রাসায় পড়ালেখা করত।
এদের মধ্যে লেদের কারখানায় কাজ করছে ৯ বছরের শিশু সুব্রত। তার বাবা কাঞ্চন প্রামাণিক একজন কৃষক। সুব্রত ওই এলাকার চকগোচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। সেও গত এক বছর ধরে ৫ হাজার টাকা মাসিক বেতনে কাজ করছে।
চারঘাটে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাল্যবিবাহ, প্রজনন স্বাস্থ্য ও নেতৃত্ব বিকাশ নিয়ে কাজ করছে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট। হাঙ্গার প্রজেক্টের উপজেলা সমন্বয়কারী আশরাফুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় এ এলাকার বিভিন্ন ক্ষুদ্র কারখানা, ওয়ার্কশপ ও রাজমিস্ত্রির কাজ করছে শিশুরা। এখন তারা কাজ শিখে গেছে, তাতে আয়ও হচ্ছে। আর সে কারণেই অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চাইছেন না। বিপুলসংখ্যক কন্যাশিশুর বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলেশিক্ষার্থীদের ৩০ ভাগ এবং মেয়েশিক্ষার্থীদের ৫০ ভাগ শিক্ষার্থী এখনো স্কুলে ফেরেনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ইমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলাজুড়ে ৩০ ভাগ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত। বাল্যবিবাহ এর অন্যতম কারণ। আমার নিজের প্রতিষ্ঠানেই এসএসসি পরীক্ষার্থী ২৩ জন ছাত্রীর মধ্যে ১৭ জনের বিয়ে হয়ে গেছে।’
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার রহিদুল ইসলাম বলেন, স্কুলগুলো নিয়মিত উপস্থিতির হারের হিসাব পাঠায়, তাতে দেখা যায় উপস্থিতির হার ৮১ শতাংশ। তবে গত কয়দিন তিনি ১৫টির মতো স্কুল পরিদর্শন করেছেন, এতে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী স্কুলে উপস্থিত পেয়েছেন। কী পরিমাণ শিক্ষার্থী স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে, সেটা আরও পরে জানা যাবে।
চারঘাট উপজেলার মেরামতপুর গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে শাওন। বয়স ৯ বছর। করোনার শুরুতে পিরোজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। ভ্যানচালক বাবা মন্টু মিয়া (৫০) অসুস্থ হলে পরিবারের আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যায়। পরিবারের সদস্যদের মুখে দুমুঠো ভাত তুলে দেওয়ার জন্য মাত্র ৯ বছর বয়সে বাবার ভ্যান চালাতে শুরু করে শাওন। ভ্যান চালিয়ে ২০০-৩০০ টাকা আয় হয়, তা দিয়ে চলছে সংসার। স্কুল খুললেও শাওনের আর যাওয়া হয়নি।
করোনাকালে দীর্ঘ ছুটির পর ফের পাঠদান শুরু হলেও শাওনের মতো চারঘাটের মাধ্যমিক পর্যায়ের ৩০ ভাগ শিক্ষার্থীই ক্লাসে ফেরেনি।
দেড় বছর ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এসব শিক্ষার্থী ঝরে গেছে। তাদের আর ফেরানো যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ক্লাসে ৩০ ভাগ শিক্ষার্থী অনুপস্থিতির বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসও স্বীকার করেছে।
সরেজমিনে উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের চকগোচর এলাকায় দেখা যায়, সেখানে একটি স্টিলের ফার্নিচার কারখানায় তিন-চারজন শিশু কাজ করছে। তাদের সবাই করোনার প্রকোপ শুরুর আগে স্কুল বা মাদ্রাসায় পড়ালেখা করত।
এদের মধ্যে লেদের কারখানায় কাজ করছে ৯ বছরের শিশু সুব্রত। তার বাবা কাঞ্চন প্রামাণিক একজন কৃষক। সুব্রত ওই এলাকার চকগোচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। সেও গত এক বছর ধরে ৫ হাজার টাকা মাসিক বেতনে কাজ করছে।
চারঘাটে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাল্যবিবাহ, প্রজনন স্বাস্থ্য ও নেতৃত্ব বিকাশ নিয়ে কাজ করছে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট। হাঙ্গার প্রজেক্টের উপজেলা সমন্বয়কারী আশরাফুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় এ এলাকার বিভিন্ন ক্ষুদ্র কারখানা, ওয়ার্কশপ ও রাজমিস্ত্রির কাজ করছে শিশুরা। এখন তারা কাজ শিখে গেছে, তাতে আয়ও হচ্ছে। আর সে কারণেই অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চাইছেন না। বিপুলসংখ্যক কন্যাশিশুর বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলেশিক্ষার্থীদের ৩০ ভাগ এবং মেয়েশিক্ষার্থীদের ৫০ ভাগ শিক্ষার্থী এখনো স্কুলে ফেরেনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ইমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলাজুড়ে ৩০ ভাগ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত। বাল্যবিবাহ এর অন্যতম কারণ। আমার নিজের প্রতিষ্ঠানেই এসএসসি পরীক্ষার্থী ২৩ জন ছাত্রীর মধ্যে ১৭ জনের বিয়ে হয়ে গেছে।’
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার রহিদুল ইসলাম বলেন, স্কুলগুলো নিয়মিত উপস্থিতির হারের হিসাব পাঠায়, তাতে দেখা যায় উপস্থিতির হার ৮১ শতাংশ। তবে গত কয়দিন তিনি ১৫টির মতো স্কুল পরিদর্শন করেছেন, এতে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী স্কুলে উপস্থিত পেয়েছেন। কী পরিমাণ শিক্ষার্থী স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে, সেটা আরও পরে জানা যাবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২০ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে