রুবায়েত হোসেন, খুবি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) পূর্বপাশ দিয়ে বয়ে গেছে ময়ূর নদ। এ নদের পানি নিষ্কাশন খালটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন প্রভাবশালীরা। সেখানে তৈরি করেছেন বিভিন্ন স্থাপনা। এর ফলে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে আসন্ন বর্ষায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অনেক এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জানা যায়, গল্লামারী থেকে ময়ূর ব্রিজ পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেঁড়িবাধ সড়কের কেসিসির লিনিয়ার পার্কসংলগ্ন ময়ূর নদের সংযোগ নিষ্কাশন খাল অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। সরেজমিন জানা যায়, খুপরি ঘর থেকে এখন নতুন পাকা স্থাপনা গড়ে উঠেছে সেখানে। বহুতল ভবন তৈরির চেষ্টাও করছে অবৈধ দখলদারেরা।
এদিকে খাল ভরাট করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতা ও পরিবেশদূষণের শিকার হচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ গোটা এলাকা জলাবদ্ধতার কারণে ডুবে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে পানি নিষ্কাশন পুরোপুরি বন্ধ। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরের লেকের পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে পড়েছে।
এতে পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। দূষণের মাত্রা এতটাই তীব্র যে, এই পানিতে কেউ পা দিতে পারছে না। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকার লেকটির এ অংশের সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও তীব্র দূষণে শ্রমিকেরা কাজ করতে পারছেন না বলে জানা যায়।
২০ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনকে অবহিত করে এলেও চূড়ান্তভাবে এই অবৈধ দখল আজও মুক্ত হয়নি। শেষ দফায় দুই বছর আগে প্রশাসনের সহযোগিতায় পানি উন্নয়ন বোর্ড গল্লামারী বাজারসংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা অবৈধ দখলমুক্ত করতে অভিযানের প্রস্তুতি নিলেও শেষ পর্যন্ত ওই স্থানটিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়নি।
ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কয়েক বছর আগে কাঁচা-আধা পাকা ঘর থাকলেও এখন ওই খালের ওপর অবৈধভাবে স্থায়ী পাকা ঘর তুলে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। সেখানকার দোকানিদের কাছে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা জানান, শাহিন নামের এক ব্যক্তি এখানে একপাশে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন। এ ছাড়া মো. জুয়েল ও সামাদ নামে আরও দুজন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে কে বা কারা খাস খালের ওপর অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করেছেন, তাঁরা তা জানেন না।
খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা হলের একটি সূত্রে জানা যায়, ময়ূর নদের সংযোগ খালের নিষ্কাশন অংশ অবৈধভাবে দখল করে স্থায়ীভাবে দোকান ও ঘরবাড়ি নির্মাণ করায় হলের পাশের এই খালে পানি আর নিষ্কাশিত হচ্ছে না। ফলে মারাত্মকভাবে পানি দূষিত হয়ে পড়েছে। হল কর্তৃপক্ষ পানি নিষ্কাশনের কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছে না। অথচ ১৫-২০ বছর আগেও এ খাল দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো এলাকার বেশির ভাগ পানি নিষ্কাশিত হতো।
এ ব্যাপারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘পানি নিষ্কাশনের সমস্যাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লেক বলে পরিচিত খালের পানি পূর্বপাশে ময়ূর নদে নিষ্কাশিত হতে না পারায় গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ই বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার হুমকির মুখে পড়েছে। কয়েক বছর ধরে অতিবৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অংশ জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই খালের ওপর অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত করে জনস্বার্থে সেটি ময়ূর নদের সঙ্গে সংযোগ করে নিষ্কাশনে স্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) পূর্বপাশ দিয়ে বয়ে গেছে ময়ূর নদ। এ নদের পানি নিষ্কাশন খালটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন প্রভাবশালীরা। সেখানে তৈরি করেছেন বিভিন্ন স্থাপনা। এর ফলে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে আসন্ন বর্ষায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অনেক এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জানা যায়, গল্লামারী থেকে ময়ূর ব্রিজ পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেঁড়িবাধ সড়কের কেসিসির লিনিয়ার পার্কসংলগ্ন ময়ূর নদের সংযোগ নিষ্কাশন খাল অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। সরেজমিন জানা যায়, খুপরি ঘর থেকে এখন নতুন পাকা স্থাপনা গড়ে উঠেছে সেখানে। বহুতল ভবন তৈরির চেষ্টাও করছে অবৈধ দখলদারেরা।
এদিকে খাল ভরাট করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করায় জলাবদ্ধতা ও পরিবেশদূষণের শিকার হচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ গোটা এলাকা জলাবদ্ধতার কারণে ডুবে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে পানি নিষ্কাশন পুরোপুরি বন্ধ। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় অভ্যন্তরের লেকের পানি মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে পড়েছে।
এতে পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। দূষণের মাত্রা এতটাই তীব্র যে, এই পানিতে কেউ পা দিতে পারছে না। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকার লেকটির এ অংশের সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও তীব্র দূষণে শ্রমিকেরা কাজ করতে পারছেন না বলে জানা যায়।
২০ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনকে অবহিত করে এলেও চূড়ান্তভাবে এই অবৈধ দখল আজও মুক্ত হয়নি। শেষ দফায় দুই বছর আগে প্রশাসনের সহযোগিতায় পানি উন্নয়ন বোর্ড গল্লামারী বাজারসংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা অবৈধ দখলমুক্ত করতে অভিযানের প্রস্তুতি নিলেও শেষ পর্যন্ত ওই স্থানটিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়নি।
ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কয়েক বছর আগে কাঁচা-আধা পাকা ঘর থাকলেও এখন ওই খালের ওপর অবৈধভাবে স্থায়ী পাকা ঘর তুলে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। সেখানকার দোকানিদের কাছে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা জানান, শাহিন নামের এক ব্যক্তি এখানে একপাশে দোকানঘর নির্মাণ করেছেন। এ ছাড়া মো. জুয়েল ও সামাদ নামে আরও দুজন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে কে বা কারা খাস খালের ওপর অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করেছেন, তাঁরা তা জানেন না।
খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা হলের একটি সূত্রে জানা যায়, ময়ূর নদের সংযোগ খালের নিষ্কাশন অংশ অবৈধভাবে দখল করে স্থায়ীভাবে দোকান ও ঘরবাড়ি নির্মাণ করায় হলের পাশের এই খালে পানি আর নিষ্কাশিত হচ্ছে না। ফলে মারাত্মকভাবে পানি দূষিত হয়ে পড়েছে। হল কর্তৃপক্ষ পানি নিষ্কাশনের কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছে না। অথচ ১৫-২০ বছর আগেও এ খাল দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো এলাকার বেশির ভাগ পানি নিষ্কাশিত হতো।
এ ব্যাপারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, ‘পানি নিষ্কাশনের সমস্যাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের লেক বলে পরিচিত খালের পানি পূর্বপাশে ময়ূর নদে নিষ্কাশিত হতে না পারায় গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ই বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার হুমকির মুখে পড়েছে। কয়েক বছর ধরে অতিবৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অংশ জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই খালের ওপর অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত করে জনস্বার্থে সেটি ময়ূর নদের সঙ্গে সংযোগ করে নিষ্কাশনে স্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে