মিয়ানমার থেকে আজ ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি

কক্সবাজার ও নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০: ৫০

মিয়ানমারের রাখাইনে কারাগারে থাকা ১৭৩ বাংলাদেশি নাগরিক আজ বুধবার দেশে ফিরছেন। দেশটির নৌবাহিনীর একটি জাহাজে করে গতকাল মঙ্গলবার সকালে সিত্তে বন্দর ত্যাগ করেন তাঁরা। আজ সকালে জাহাজটির বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এই জাহাজে করেই রাখাইনে সংঘাতের কারণে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার বাহিনীর সদস্যদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। 

ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, ১৭৩ বাংলাদেশির মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজারের, ৩০ জন বান্দরবানের, সাতজন রাঙামাটির এবং খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারীর একজন করে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নীলফামারীর মানসিক ভারসাম্যহীন আবু হামজালা (৩২) পাঁচ বছর পর ফিরছেন মায়ের কোলে। 

হামজালার প্রত্যাবর্তন
পাঁচ বছর আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন নীলফামারীর সৈয়দপুরের বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাসকান্দর গ্রামের পাঠানপাড়ার প্রয়াত একরামুল হকের ছেলে আবু হামজালা। সন্তান হারানোর পাঁচ বছর পর তাঁকে ফিরে পাচ্ছেন—বিশ্বাসই করতে পারছেন না মা মেহেরুন নেসা (৭০)। 

পারিবারিক সূত্র বলেছে, আবু হামজালার বাবা প্রয়াত একরামুল ছিলেন রেলের সাবেক কর্মচারী। ২০১০ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারান আবু হামজালা। পাঁচ ভাই, তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। তাঁর ভাই আবু তালহা বলেন, প্রায়ই বাড়ি থেকে বের হয়ে সে নিখোঁজ হতো। কখনো এক মাস, কখনো দেড় মাস পর গ্রামের লোকজন কোথাও তাঁর দেখা পেয়ে বাড়ি আনত।

কিন্তু ২০১৮ সালের প্রথম দিকে হামজালা নিখোঁজ হওয়ার পর আর তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন, তিনি আর বেঁচে নেই। গত রোববার গভীর রাতে পুলিশের এক সদস্য জানান, আবু হামজালা মিয়ানমার থেকে দেশে আসছেন। আবু তালহা বলেন, ‘শুনেই আমরা সবাই আনন্দে কেঁদে ফেলেছি।’ 

হামজালার মা মেহেরুন নেসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আল্লাহ আমার কথা শুনেছেন।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত