বাঁশখালী পৌর মেয়রকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ৫০
Thumbnail image

চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনের দুই দিন পর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাতে পৌরসভার মিয়ার বাজার এলাকায় উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরীকে উদ্ধার করে তাঁর বাসায় পৌঁছে দেয়। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে মেয়র সেলিমুল হক বাঁশখালী উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হীরা মনির বাসায় যান। এ সময় হঠাৎ কয়েকজন যুবক ওই বাসায় ঢুকে প্রথমে মেয়র সেলিমুল হকের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করেন। একপর্যায়ে তাঁরা মেয়র সেলিমকে মারধর করতে শুরু করেন। মেয়রকে টেনেহিঁচড়ে সোফা থেকে নামিয়ে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হীরা মনি বলেন, ‘আমার বাসার সামনে দুর্বৃত্তরা মেয়রকে টানাহেঁচড়া করলে তিনি আমার বাসায় চলে আসেন। পরে পুলিশ এসে মেয়রকে উদ্ধার করে বাসায় পৌঁছে দেয়। কী কারণে দুর্বৃত্তরা মেয়রের ওপর হামলা চালিয়েছে, সেই বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র শেখ সেলিমুল হক চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘যুব মহিলা লীগের নেত্রী হীরা মনির বাসায় আমাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে মারধর ও লাঞ্ছিত করেছেন। ইতিমধ্যে এর কয়েকটি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আমি দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।’

এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘পৌর মেয়রকে অবরোধের খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। পরে পুলিশি পাহারায় তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। মেয়রের পক্ষে থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শিগগিরই মামলা রুজু করা হবে।’

সূত্রে জানা গেছে, ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট এস এম তোফাইল বিন হোসাইন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ায় বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরী ও স্থানীয় সাংসদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরী সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর অনুসারী ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করা হয়। তবে তিনি ফোন ধরেননি। পরে সাংসদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত