নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনা শহরের থানার মোড় এলাকায় মগড়া নদীর বেইলি সেতুটির দুই পাশে যানজটে অতিষ্ঠ শহরবাসী। শহরে তীব্র যানজটের জন্য থানার মোড় এলাকার এই সেতুটি দিয়ে ট্রাক ও বাস চলাচলকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। সেই সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও রিকশার চলাচল তো আছেই।
পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বলছে, শহরের পাশ দিয়েই একটি বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হলেই শহরের যানজট কমবে।
জানা গেছে, শহরের থানার মোড় থেকে আশপাশে প্রায় চার কিলোমিটার নিয়ে নেত্রকোনা পৌর শহর। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে দেখা যায়, থানার মোড়ের এই যানজটের কারণে শহরের তেরী বাজার, সাতপাই কালীবাড়ী, নাগড়া জেলা পরিষদ, ছোটবাজার, আখড়ার মোড়, কোর্ট স্টেশন আলোসহ সারা শহরেই কম বেশি যানজট লেগে থাকে।
ছোট এই শহরে যানজটে আটকা পড়ে অনেকেই পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন। কোথাও আবার ধীরে ধীরে যানবাহন চলাচল করছে। কেউ কেউ আধা ঘণ্টার মতো যানজটে বসে থেকে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
২০০৯-১০ সালের দিকে থানার মোড় এলাকার মগড়া নদী ওপর বেইলি সেতুটির দুই পাড়েই বাঁশ দিয়ে আটকানো ছিল। ফলে ট্রাক ও বাস এদিক দিয়ে চলাচল করতে পারত না। জেলার কলমাকান্দা, বারহাট্টা ও মোহনগঞ্জ উপজেলা থেকে আগত বাস ও ট্রাকগুলো শহরের রাজুর বাজার দিয়ে ঢুকে আখড়া মোড় হয়ে মোক্তারপাড়ার মগড়া নদীর সেতু পার হয়ে দূর দূরান্তে চলে যেত।
কিন্তু এতে মূল শহর ছোট বাজার, বড় বাজার ও মোক্তারপাড়া এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখে পৌর কর্তৃপক্ষ মগড়া নদী ওপর বেইলি সেতুটির দুই পাড়ের বাঁশ খুলে দেয়। এতে করেও শেষ রক্ষা হয়নি। বেইলি সেতুটি দিয়ে একটির বেশি ট্রাক যেতে পারে না। ফলে অপর পাড়ে অন্য একটি ট্রাককে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে করে দুই পাড়েই তীব্র যানজট নিয়মিত লেগে থোকে। এই যানজট নিরসনে হিমশিম খেতে হতে হয় ট্রাফিক পুলিশকেও।
রিকশা চালক আবেদ আলী বলেন, ‘তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে নেত্রকোনা শহরে রিকশা চালান। দিন যতই যাচ্ছে ততই যানজট বাড়ছে। এরকম যানজট নেত্রকোনা শহরে আগে হয়নি।’
অটোরিকশার চালক লাল মিয়া বলেন, ‘পেটের দায়ে অটোরিকশা নিয়ে বের হই। কিন্তু অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে কোনো শান্তি নেই। জ্যামে পরেই সব শেষ হয়ে যায়।’
রিকশার যাত্রী হাসান মিয়া জানান, ‘থানার মোড়ে এলেই প্রতিদিন তীব্র যানজটে পড়তে হয়। অনেক সময় দেখা যায় এই যানজট সারা শহরেই কম বেশি ছড়িয়ে পড়ে। বাস এবং ট্রাক চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা করা না হলে এর থেকে রেহাই নেই।’
থানার মোড় এলাকায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ আরিফ হোসেন বলেন, ‘এখানে একমাত্র শুক্রবার ছাড়া প্রায় প্রতিদিনেই যানজটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে বড় ট্রাক ও বাস এলে দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছে। তখন আমাদের পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়।’
নেত্রকোনা সুজনের সভাপতি শ্যামলেন্দু পাল বলেন, ‘এই শহরে যানজট দিন দিন তীব্র আকার ধারণ করছে। আসলে এখানে কারও দোষ নেই। জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে যানবাহনও বাড়ছে। ফলে বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় শহরের ওপর যানবাহনের চাপ বেড়েছে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শহরের যানজট নিরসনে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘শহরের পাশ দিয়েই একটি বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হলেই শহরের যানজট কমবে। তারপরও পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরের যানজট নিরসনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
নেত্রকোনা শহরের থানার মোড় এলাকায় মগড়া নদীর বেইলি সেতুটির দুই পাশে যানজটে অতিষ্ঠ শহরবাসী। শহরে তীব্র যানজটের জন্য থানার মোড় এলাকার এই সেতুটি দিয়ে ট্রাক ও বাস চলাচলকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। সেই সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও রিকশার চলাচল তো আছেই।
পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বলছে, শহরের পাশ দিয়েই একটি বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হলেই শহরের যানজট কমবে।
জানা গেছে, শহরের থানার মোড় থেকে আশপাশে প্রায় চার কিলোমিটার নিয়ে নেত্রকোনা পৌর শহর। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে দেখা যায়, থানার মোড়ের এই যানজটের কারণে শহরের তেরী বাজার, সাতপাই কালীবাড়ী, নাগড়া জেলা পরিষদ, ছোটবাজার, আখড়ার মোড়, কোর্ট স্টেশন আলোসহ সারা শহরেই কম বেশি যানজট লেগে থাকে।
ছোট এই শহরে যানজটে আটকা পড়ে অনেকেই পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন। কোথাও আবার ধীরে ধীরে যানবাহন চলাচল করছে। কেউ কেউ আধা ঘণ্টার মতো যানজটে বসে থেকে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
২০০৯-১০ সালের দিকে থানার মোড় এলাকার মগড়া নদী ওপর বেইলি সেতুটির দুই পাড়েই বাঁশ দিয়ে আটকানো ছিল। ফলে ট্রাক ও বাস এদিক দিয়ে চলাচল করতে পারত না। জেলার কলমাকান্দা, বারহাট্টা ও মোহনগঞ্জ উপজেলা থেকে আগত বাস ও ট্রাকগুলো শহরের রাজুর বাজার দিয়ে ঢুকে আখড়া মোড় হয়ে মোক্তারপাড়ার মগড়া নদীর সেতু পার হয়ে দূর দূরান্তে চলে যেত।
কিন্তু এতে মূল শহর ছোট বাজার, বড় বাজার ও মোক্তারপাড়া এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখে পৌর কর্তৃপক্ষ মগড়া নদী ওপর বেইলি সেতুটির দুই পাড়ের বাঁশ খুলে দেয়। এতে করেও শেষ রক্ষা হয়নি। বেইলি সেতুটি দিয়ে একটির বেশি ট্রাক যেতে পারে না। ফলে অপর পাড়ে অন্য একটি ট্রাককে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে করে দুই পাড়েই তীব্র যানজট নিয়মিত লেগে থোকে। এই যানজট নিরসনে হিমশিম খেতে হতে হয় ট্রাফিক পুলিশকেও।
রিকশা চালক আবেদ আলী বলেন, ‘তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে নেত্রকোনা শহরে রিকশা চালান। দিন যতই যাচ্ছে ততই যানজট বাড়ছে। এরকম যানজট নেত্রকোনা শহরে আগে হয়নি।’
অটোরিকশার চালক লাল মিয়া বলেন, ‘পেটের দায়ে অটোরিকশা নিয়ে বের হই। কিন্তু অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে কোনো শান্তি নেই। জ্যামে পরেই সব শেষ হয়ে যায়।’
রিকশার যাত্রী হাসান মিয়া জানান, ‘থানার মোড়ে এলেই প্রতিদিন তীব্র যানজটে পড়তে হয়। অনেক সময় দেখা যায় এই যানজট সারা শহরেই কম বেশি ছড়িয়ে পড়ে। বাস এবং ট্রাক চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা করা না হলে এর থেকে রেহাই নেই।’
থানার মোড় এলাকায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ আরিফ হোসেন বলেন, ‘এখানে একমাত্র শুক্রবার ছাড়া প্রায় প্রতিদিনেই যানজটের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে বড় ট্রাক ও বাস এলে দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছে। তখন আমাদের পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়।’
নেত্রকোনা সুজনের সভাপতি শ্যামলেন্দু পাল বলেন, ‘এই শহরে যানজট দিন দিন তীব্র আকার ধারণ করছে। আসলে এখানে কারও দোষ নেই। জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে যানবাহনও বাড়ছে। ফলে বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় শহরের ওপর যানবাহনের চাপ বেড়েছে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শহরের যানজট নিরসনে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘শহরের পাশ দিয়েই একটি বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হলেই শহরের যানজট কমবে। তারপরও পৌরসভার পক্ষ থেকে শহরের যানজট নিরসনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে