নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনা মহামারির চাপ সামলে চাঙাভাব ফিরে এসেছে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি খাতে। উদ্যোক্তাদের মতে, কোভিডের বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর ক্রেতারা ব্যাপকভাবে রপ্তানি আদেশ দিয়েছিলেন, যার প্রভাবে এখনো রপ্তানি আয় ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। সেই সঙ্গে ফিরে পায় হারানো গৌরব। অনেক দিন ধরে বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে ছিল। কিন্তু করোনার প্রথম বছর ভিয়েতনামের কাছে সেই অবস্থান হারায় বাংলাদেশ।
তবে চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) বৈশ্বিক তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ভিয়েতনামকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। সাত মাসে ভিয়েতনামের চেয়ে বাংলাদেশ ১৯৩ কোটি ৬৯ লাখ ইউএস ডলারের পোশাক রপ্তানি বেশি করেছে।
বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি শহীদউল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বছর ভালোই গেল। শেষ কয়েক মাস ভালো প্রবৃদ্ধি ছিল। তবে পরের মাসগুলো কেমন যাবে, সেটা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। কারণ, ওমিক্রনের কারণে অনেক দেশেই আউটলেট বন্ধ। সেখানে বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে। বায়াররা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। ফলে বাজারের গতি অনেকটাই মন্থর।’
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য থেকে দেখা যায়, গত জুলাই থেকে নভেম্বর সময়ে বাংলাদেশ থেকে ১ হাজার ৯৭৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৪ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি এবং চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি।
ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বরাবরের মতো চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রপ্তানি আয়ে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে তৈরি পোশাক খাত। প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ এ খাত থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ১ হাজার ৫৮৫ কোটি ৬২ লাখ ডলার।
তবে আশার কথা হলো, গত এক বছরে পরিবেশবান্ধব কারখানা স্থাপনে নতুন মাইলফলকে পৌঁছেছে বাংলাদেশের পোশাক ও বস্ত্র খাত। ইতিমধ্যে দেশে ১৫০টি পরিবেশবান্ধব কারখানা স্থাপিত হয়েছে। পরিবেশবান্ধব আরও কিছু কারখানা নির্মাণাধীন।
এ বছরই রপ্তানিকারকেরা একের পর এক নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করছেন। গত অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে ৪ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছে, যেটি এক মাসে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ইপিবির তথ্যে, গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় এই আয় ৬০ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেশি। অক্টোবরের আয় সেপ্টেম্বরের ৪ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের রেকর্ডও ভেঙেছে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে তৈরি পোশাক খাত। সাধারণত দেশের মোট রপ্তানির ৮৫ শতাংশই আসে এই খাত থেকে। বেশ কিছু কারণে গত মাসে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। চীন, ভিয়েতনাম, ভারত ও মিয়ানমারে পোশাক উৎপাদনের খরচ বেড়ে যাওয়ায় সেসব দেশের বেশ কিছু অর্ডার আমাদের দেশে এসেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর সায়মা হক বিদিশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা যদি ওমিক্রন সংক্রমণের আগের অবস্থা চিন্তা করি, তাহলে আমাদের দেশের অর্থনীতি এবং সার্বিকভাবে বৈশিক অর্থনীতি একধরনের রিকভারির পথে হাঁটছে। মোটামুটিভাবে অনেক খাত রিকভার করেও গেছে। যেহেতু গত কিছু সময় একটা মন্দা ভাব ছিল। সুতরাং আমাদের যাঁরা ব্যবসায়ী আছেন, তাঁরাও সেটা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আবার বিদেশে ক্রিসমাসসহ অন্যান্য উৎসব ঘিরে যে চাহিদা তৈরি হয়, সেটাও আগের তুলনায় যথেষ্ট ভালো। সুতরাং রপ্তানিতে ইতিবাচক দিক দেখা যাচ্ছে।’
করোনা মহামারির চাপ সামলে চাঙাভাব ফিরে এসেছে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি খাতে। উদ্যোক্তাদের মতে, কোভিডের বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর ক্রেতারা ব্যাপকভাবে রপ্তানি আদেশ দিয়েছিলেন, যার প্রভাবে এখনো রপ্তানি আয় ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। সেই সঙ্গে ফিরে পায় হারানো গৌরব। অনেক দিন ধরে বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে ছিল। কিন্তু করোনার প্রথম বছর ভিয়েতনামের কাছে সেই অবস্থান হারায় বাংলাদেশ।
তবে চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) বৈশ্বিক তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ভিয়েতনামকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। সাত মাসে ভিয়েতনামের চেয়ে বাংলাদেশ ১৯৩ কোটি ৬৯ লাখ ইউএস ডলারের পোশাক রপ্তানি বেশি করেছে।
বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি শহীদউল্লাহ আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বছর ভালোই গেল। শেষ কয়েক মাস ভালো প্রবৃদ্ধি ছিল। তবে পরের মাসগুলো কেমন যাবে, সেটা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। কারণ, ওমিক্রনের কারণে অনেক দেশেই আউটলেট বন্ধ। সেখানে বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে। বায়াররা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। ফলে বাজারের গতি অনেকটাই মন্থর।’
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য থেকে দেখা যায়, গত জুলাই থেকে নভেম্বর সময়ে বাংলাদেশ থেকে ১ হাজার ৯৭৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৪ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি এবং চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি।
ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বরাবরের মতো চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রপ্তানি আয়ে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে তৈরি পোশাক খাত। প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ এ খাত থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ১ হাজার ৫৮৫ কোটি ৬২ লাখ ডলার।
তবে আশার কথা হলো, গত এক বছরে পরিবেশবান্ধব কারখানা স্থাপনে নতুন মাইলফলকে পৌঁছেছে বাংলাদেশের পোশাক ও বস্ত্র খাত। ইতিমধ্যে দেশে ১৫০টি পরিবেশবান্ধব কারখানা স্থাপিত হয়েছে। পরিবেশবান্ধব আরও কিছু কারখানা নির্মাণাধীন।
এ বছরই রপ্তানিকারকেরা একের পর এক নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করছেন। গত অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে ৪ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছে, যেটি এক মাসে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ইপিবির তথ্যে, গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় এই আয় ৬০ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেশি। অক্টোবরের আয় সেপ্টেম্বরের ৪ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের রেকর্ডও ভেঙেছে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে তৈরি পোশাক খাত। সাধারণত দেশের মোট রপ্তানির ৮৫ শতাংশই আসে এই খাত থেকে। বেশ কিছু কারণে গত মাসে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। চীন, ভিয়েতনাম, ভারত ও মিয়ানমারে পোশাক উৎপাদনের খরচ বেড়ে যাওয়ায় সেসব দেশের বেশ কিছু অর্ডার আমাদের দেশে এসেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর সায়মা হক বিদিশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা যদি ওমিক্রন সংক্রমণের আগের অবস্থা চিন্তা করি, তাহলে আমাদের দেশের অর্থনীতি এবং সার্বিকভাবে বৈশিক অর্থনীতি একধরনের রিকভারির পথে হাঁটছে। মোটামুটিভাবে অনেক খাত রিকভার করেও গেছে। যেহেতু গত কিছু সময় একটা মন্দা ভাব ছিল। সুতরাং আমাদের যাঁরা ব্যবসায়ী আছেন, তাঁরাও সেটা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আবার বিদেশে ক্রিসমাসসহ অন্যান্য উৎসব ঘিরে যে চাহিদা তৈরি হয়, সেটাও আগের তুলনায় যথেষ্ট ভালো। সুতরাং রপ্তানিতে ইতিবাচক দিক দেখা যাচ্ছে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে