রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
ভগীরাম মালী। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী। যুদ্ধের সময় ভারতের হরিনা ট্রেনিং সেন্টার হাসপাতালে যোগদান করেন। সেখানে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের আনা-নেওয়ার দায়িত্ব ছিল তাঁর। আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্থ করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করতেন তিনি।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও ভগীরামের মেলেনি কোনো স্বীকৃতি। রাস্তায় ভিক্ষা করে কাটছে তাঁর জীবন। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী কর্তৃক স্বীকৃত স্বাধীনতাসংগ্রামের সনদপত্র নিয়ে স্বীকৃতির জন্য ঘুরছেন পথে পথে।
জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধে ১ নম্বর সেক্টর ছিল রামগড়। সাময়িকভাবে পাকিস্তানি হানাদারদের কাছে রামগড় পতনের পর সেক্টর-১ এর হেডকোয়ার্টার পুনঃস্থাপন করা হয় ভারতের ত্রিপুরার সাব্রুম মহকুমার হরিণায়। ১ নম্বর সেক্টর তৎকালীন ক্যাপ্টেন রফিকের অধীনে ভারতের (দক্ষিণ ত্রিপুরা) হরিনায় স্থাপিত হরিনা ট্রেনিং সেন্টার হাসপাতালে যোগদান করেন তিনি। তার সঙ্গে আরও যোগদান করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. কৃষ্ণ কুমার সরকার, আবুল হাশেম, অধিক চন্দ্র দে, নূর আলমসহ অনেকে। হাসপাতালে আহত যোদ্ধাদের দেখভাল করতেন তিনি।
বর্তমানে কোনো সুযোগ-সুবিধা পান না তিনি। পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। তাঁর পরিবারের সদস্যসংখ্যা ৪ জন। ১৩ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পান তিনি। চিকিৎসার অভাবে পঙ্গু হয়ে জীবনযাপন করছেন।
রামগড় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় দিবসগুলোতে সামান্য সম্মাননা পেলেও বছরের বাকি সময় উপজেলার বাজারের দোকান, বাসস্টেশনে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান এই অসহায় ভগীরাম।
ভগীরাম মালী বলেন, ‘যুদ্ধের ৯ মাস ভালো করে ঘুমাতে পারিনি। রাতদিন মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করে সুস্থ করেছি। স্বাধীনতাযুদ্ধের পর থেকে অনেকবার চেষ্টা করেও স্বীকৃতি পাইনি। সবকিছুতে আমি বঞ্চিত হয়েছি।’
সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মফিজুর রহমান বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভগীরাম মালী মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী ছিলেন। আহত যোদ্ধাদের নিঃস্বার্থভাবে সেবা করতেন তিনি। একজন পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি না পেয়ে ভিক্ষা করা আমাদের জন্য কষ্টদায়ক। তাঁর স্বীকৃতির জন্য একাধিকবার আবেদন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি তাঁর ত্যাগের স্বীকৃতি পাওয়ার দাবিদার।’
ভগীরাম মালী। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী। যুদ্ধের সময় ভারতের হরিনা ট্রেনিং সেন্টার হাসপাতালে যোগদান করেন। সেখানে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের আনা-নেওয়ার দায়িত্ব ছিল তাঁর। আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্থ করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করতেন তিনি।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও ভগীরামের মেলেনি কোনো স্বীকৃতি। রাস্তায় ভিক্ষা করে কাটছে তাঁর জীবন। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী কর্তৃক স্বীকৃত স্বাধীনতাসংগ্রামের সনদপত্র নিয়ে স্বীকৃতির জন্য ঘুরছেন পথে পথে।
জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধে ১ নম্বর সেক্টর ছিল রামগড়। সাময়িকভাবে পাকিস্তানি হানাদারদের কাছে রামগড় পতনের পর সেক্টর-১ এর হেডকোয়ার্টার পুনঃস্থাপন করা হয় ভারতের ত্রিপুরার সাব্রুম মহকুমার হরিণায়। ১ নম্বর সেক্টর তৎকালীন ক্যাপ্টেন রফিকের অধীনে ভারতের (দক্ষিণ ত্রিপুরা) হরিনায় স্থাপিত হরিনা ট্রেনিং সেন্টার হাসপাতালে যোগদান করেন তিনি। তার সঙ্গে আরও যোগদান করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. কৃষ্ণ কুমার সরকার, আবুল হাশেম, অধিক চন্দ্র দে, নূর আলমসহ অনেকে। হাসপাতালে আহত যোদ্ধাদের দেখভাল করতেন তিনি।
বর্তমানে কোনো সুযোগ-সুবিধা পান না তিনি। পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। তাঁর পরিবারের সদস্যসংখ্যা ৪ জন। ১৩ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পান তিনি। চিকিৎসার অভাবে পঙ্গু হয়ে জীবনযাপন করছেন।
রামগড় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় দিবসগুলোতে সামান্য সম্মাননা পেলেও বছরের বাকি সময় উপজেলার বাজারের দোকান, বাসস্টেশনে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান এই অসহায় ভগীরাম।
ভগীরাম মালী বলেন, ‘যুদ্ধের ৯ মাস ভালো করে ঘুমাতে পারিনি। রাতদিন মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করে সুস্থ করেছি। স্বাধীনতাযুদ্ধের পর থেকে অনেকবার চেষ্টা করেও স্বীকৃতি পাইনি। সবকিছুতে আমি বঞ্চিত হয়েছি।’
সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মফিজুর রহমান বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভগীরাম মালী মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী ছিলেন। আহত যোদ্ধাদের নিঃস্বার্থভাবে সেবা করতেন তিনি। একজন পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি না পেয়ে ভিক্ষা করা আমাদের জন্য কষ্টদায়ক। তাঁর স্বীকৃতির জন্য একাধিকবার আবেদন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি তাঁর ত্যাগের স্বীকৃতি পাওয়ার দাবিদার।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে