নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নির্ধারিত দামে সিলিন্ডারে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বিক্রি করলে কেজিপ্রতি প্রায় ২৯ টাকা লোকসান গুনতে হয়। গতকাল সোমবার রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশনের সম্মেলনকক্ষে বিইআরসি আয়োজিত এলপিজির দর নির্ধারণের গণশুনানিতে এমনটাই জানিয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। এ সময় সিলিন্ডারে ১২ কেজি গ্যাস বিক্রিতে ৩৪৭ টাকা লোকসানের হিসাব তুলে ধরেন তাঁরা।
এলপিজি ব্যবসায়ীরা জানান, যুক্তিসংগত দাম নির্ধারণ করা না হলে তাঁদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বর্তমানে বিইআরসি যে পদ্ধতিতে প্রতি মাসে এলপিজির দাম নির্ধারণ করছে, তাতে সৌদি সিপি সমন্বয় নিয়ে তাঁদের কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু দেশে এলপিজি আমদানির পর পরিবহন, বোতলজাতকরণ, মজুতকরণ, পরিচালন খরচের ক্ষেত্রে বিইআরসি নির্ধারিত ফি অনেক কম।
লোয়াবের পক্ষ থেকে তুলে ধরা তথ্য-উপাত্তে জানানো হয়, এলপিজি মজুতকরণ ও বোতলজাতকরণ চার্জের ক্ষেত্রে বিইআরসি প্রতি কেজি ১১ টাকা ৯৩ পয়সা হারে ১২ কেজির জন্য মোট চার্জ মাত্র ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করেছে, যা ২৬৮ টাকা হওয়া উচিত বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এ ছাড়া পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের জন্য বিইআরসি নির্ধারিত কমিশনের পরিমাণ ৫১ টাকার বদলে ১৩০ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন তাঁরা।
গণশুনানিতে অংশ নিয়ে ভোক্তা সংগঠন বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, বর্তমানে বাজারে ১২ কেজির সিলিন্ডারে এলপিজি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১০০ টাকায়, আর ব্যবসায়ীরা আজ (সোমবার) যে দাম প্রস্তাব করছেন, তাতে সমপরিমাণ এলপিজির দাম দাঁড়াবে ১ হাজার ৩৮০ টাকা। অথচ সব ধরনের হিসাব করা হলে, দাম না বাড়িয়ে আরও কমানো উচিত।
ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গণশুনানিতে বিইআরসির কারিগরি কমিটির মূল্যায়ন তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, সৌদি সিপি অনুযায়ী সেপ্টেম্বর মাসের এলপিজির সরবরাহ ব্যয় ৯১ দশমিক ৪৮ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৯৭ টাকা ৭৬ পয়সা করা যেতে পারে। বর্তমানে যা এক হাজার ৩৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সোমবারের গণশুনানি আয়োজনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে শামসুল আলম বলেন, ‘বিইআরসি দাম নির্ধারণের পর নির্ধারিত সময়ে সংশোধনের প্রস্তাব না করায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদন বিবেচনার সুযোগ নেই। আদালতে এ বিষয়ে একটি মামলা চলছে। ফলে এই শুনানিতে ভোক্তারা কিছুই পাবে না। বিইআরসি ১২ এপ্রিল এলপিজির মূল্য ঘোষণা করেছে। আইন অনুযায়ী সংক্ষুব্ধ অংশীজনেরা পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু মূল্য সংশোধনের জন্য ২৯ মে থেকে ৩ জুনের মধ্যে আবেদন করেছেন ব্যবসায়ীরা। সংগত কারণেই এই আবেদন গ্রহণের কোন যৌক্তিকতা নেই।’
বিইআরসি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল বলেন, ‘আমরা দিনভর অপারেটর ভোক্তা প্রতিনিধিদের কথা শুনেছি। এখন কমিশন সকল বিষয় বিশ্লেষণ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত জানাবে।’
শুনানিতে এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (লোয়াব)-এর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বেক্সিমকো এলপিজির প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা এম মুনতাসির আলম, বসুন্ধরা এলপিজির প্রধান বিপণন কর্মকর্তা জাকারিয়া জালাল, পেট্রোম্যাক্স এলপিজির পরিচালক নাফিস কামাল এবং টোটাল গ্যাসের মনজুর মোর্শেদ।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নির্ধারিত দামে সিলিন্ডারে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বিক্রি করলে কেজিপ্রতি প্রায় ২৯ টাকা লোকসান গুনতে হয়। গতকাল সোমবার রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশনের সম্মেলনকক্ষে বিইআরসি আয়োজিত এলপিজির দর নির্ধারণের গণশুনানিতে এমনটাই জানিয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। এ সময় সিলিন্ডারে ১২ কেজি গ্যাস বিক্রিতে ৩৪৭ টাকা লোকসানের হিসাব তুলে ধরেন তাঁরা।
এলপিজি ব্যবসায়ীরা জানান, যুক্তিসংগত দাম নির্ধারণ করা না হলে তাঁদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বর্তমানে বিইআরসি যে পদ্ধতিতে প্রতি মাসে এলপিজির দাম নির্ধারণ করছে, তাতে সৌদি সিপি সমন্বয় নিয়ে তাঁদের কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু দেশে এলপিজি আমদানির পর পরিবহন, বোতলজাতকরণ, মজুতকরণ, পরিচালন খরচের ক্ষেত্রে বিইআরসি নির্ধারিত ফি অনেক কম।
লোয়াবের পক্ষ থেকে তুলে ধরা তথ্য-উপাত্তে জানানো হয়, এলপিজি মজুতকরণ ও বোতলজাতকরণ চার্জের ক্ষেত্রে বিইআরসি প্রতি কেজি ১১ টাকা ৯৩ পয়সা হারে ১২ কেজির জন্য মোট চার্জ মাত্র ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করেছে, যা ২৬৮ টাকা হওয়া উচিত বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এ ছাড়া পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের জন্য বিইআরসি নির্ধারিত কমিশনের পরিমাণ ৫১ টাকার বদলে ১৩০ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন তাঁরা।
গণশুনানিতে অংশ নিয়ে ভোক্তা সংগঠন বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, বর্তমানে বাজারে ১২ কেজির সিলিন্ডারে এলপিজি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১০০ টাকায়, আর ব্যবসায়ীরা আজ (সোমবার) যে দাম প্রস্তাব করছেন, তাতে সমপরিমাণ এলপিজির দাম দাঁড়াবে ১ হাজার ৩৮০ টাকা। অথচ সব ধরনের হিসাব করা হলে, দাম না বাড়িয়ে আরও কমানো উচিত।
ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গণশুনানিতে বিইআরসির কারিগরি কমিটির মূল্যায়ন তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, সৌদি সিপি অনুযায়ী সেপ্টেম্বর মাসের এলপিজির সরবরাহ ব্যয় ৯১ দশমিক ৪৮ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৯৭ টাকা ৭৬ পয়সা করা যেতে পারে। বর্তমানে যা এক হাজার ৩৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সোমবারের গণশুনানি আয়োজনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে শামসুল আলম বলেন, ‘বিইআরসি দাম নির্ধারণের পর নির্ধারিত সময়ে সংশোধনের প্রস্তাব না করায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদন বিবেচনার সুযোগ নেই। আদালতে এ বিষয়ে একটি মামলা চলছে। ফলে এই শুনানিতে ভোক্তারা কিছুই পাবে না। বিইআরসি ১২ এপ্রিল এলপিজির মূল্য ঘোষণা করেছে। আইন অনুযায়ী সংক্ষুব্ধ অংশীজনেরা পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু মূল্য সংশোধনের জন্য ২৯ মে থেকে ৩ জুনের মধ্যে আবেদন করেছেন ব্যবসায়ীরা। সংগত কারণেই এই আবেদন গ্রহণের কোন যৌক্তিকতা নেই।’
বিইআরসি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল বলেন, ‘আমরা দিনভর অপারেটর ভোক্তা প্রতিনিধিদের কথা শুনেছি। এখন কমিশন সকল বিষয় বিশ্লেষণ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত জানাবে।’
শুনানিতে এলপিজি অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (লোয়াব)-এর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বেক্সিমকো এলপিজির প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা এম মুনতাসির আলম, বসুন্ধরা এলপিজির প্রধান বিপণন কর্মকর্তা জাকারিয়া জালাল, পেট্রোম্যাক্স এলপিজির পরিচালক নাফিস কামাল এবং টোটাল গ্যাসের মনজুর মোর্শেদ।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে