তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ১০টি চিকিৎসকের পদ থাকলেও ছয়টিই শূন্য। স্বাস্থ্যসেবা চলছে জোড়াতালিতে। প্রতিদিন দূর থেকে আসা শত শত সেবাপ্রত্যাশীরা চিকিৎসক-সংকটের কারণে অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগে প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
চিকিৎসকসহ হাসপাতালের অন্য পদ শূন্য আছে দীর্ঘদিন। বর্তমানে করোনা ও শীতকালীন নানা রোগের চিকিৎসাসেবা চলছে চারজন চিকিৎসক দিয়ে। অন্যদিকে হাসপাতালে অস্ত্রোপচারকক্ষ থাকলেও সেটি তালাবদ্ধ দুই যুগ ধরে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৬ জুনে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের প্রশাসনিক অনুমোদন পায় কমপ্লেক্সটি। এরপরও চিকিৎসক ও জনবল-সংকটের কারণে স্বাস্থ্যসেবা রয়ে গেছে পুরোনো ধাঁচেই। বাড়েনি চিকিৎসাসেবার মান।
জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০টি চিকিৎসকের পদ থাকলেও ছয়টিই শূন্য। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার পদে একজন চিকিৎসক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি) তিনটি পদের তিনটিই শূন্য। মেডিকেল অফিসারের (ইউএইচসি) দুটি পদই শূন্য। সহকারী সার্জন (নবসৃষ্ট) সাতটি পদের চারটিই শূন্য। আবার এ পদে কর্মরত তিনজনের দুজনই অন্যত্র কর্মরত থাকায় মূলত বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন মাত্র চারজন চিকিৎসক।
আরও জানা যায়, একজন স্যানিটারি পরিদর্শক, একজন প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক, একজন ক্যাশিয়ার, একজন পরিসংখ্যানবিদ, অফিস সহকারী দুজন, একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফার), একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ডেন্টাল, একজন সহকারী সেবক, একজন লেপ্রসি কন্ট্রোল সহকারী, একজন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, তিনজন অফিস সহায়ক, একজন ওয়ার্ড বয়, একজন মালি, একজন মশালচি, একজন নৈশপ্রহরী ও চারজনের ঝাড়ুদারের পদ বছরের পর বছর শূন্য থাকলেও তা আজ পর্যন্ত পূরণ হয়নি।
এ হাসপাতাল থেকে অবসর নেওয়া সিনিয়র স্টাফ নার্স হালিমা খাতুন জানান, ১৯৯৫ সালের দিকে একবার একটি মাত্র সিজারিয়ান অপারেশন হয়েছিল। তারপর আর কোনো অপারেশন হয়নি। কিন্তু এ হাসপাতালে মূল্যবান যন্ত্রাংশের আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত একটি অপারেশন থিয়েটার থাকলেও সেটি তালাবদ্ধ প্রায় দুই যুগ ধরে। ফলে নষ্ট হচ্ছে লাখ লাখ টাকার অপারেশনসংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশ।
সেবা নিতে আসেন উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের মোবারক হোসেন, তালম গ্রামের আলামিন, বরইচড়া গ্রামের আসমা খাতুন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুপুর ১২টার পর অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগে কোনো চিকিৎসক পাওয়া যায় না। এখানে এক্স-রেও করা হয় না। প্রায় দুই যুগ ধরে সিজারিয়ানসহ নেই কোনো অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা। এ ছাড়া উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিচ্ছন্নতা সন্তোষজনক নয়। তাই এখানে এলাকার মানুষের সার্বিক চিকিৎসাসেবা চরম ব্যাহত হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মনোয়ার হোসেন জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন চিকিৎসকের স্থলে কর্মরত আছেন ৪ জন। তিনি চিকিৎসক-সংকটের বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জনকে জানিয়েছেন। আর অন্য পদ পূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবেদন করা হয়েছে। আর অস্ত্রোপচারকক্ষটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সেটিও চালু করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ১০টি চিকিৎসকের পদ থাকলেও ছয়টিই শূন্য। স্বাস্থ্যসেবা চলছে জোড়াতালিতে। প্রতিদিন দূর থেকে আসা শত শত সেবাপ্রত্যাশীরা চিকিৎসক-সংকটের কারণে অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগে প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
চিকিৎসকসহ হাসপাতালের অন্য পদ শূন্য আছে দীর্ঘদিন। বর্তমানে করোনা ও শীতকালীন নানা রোগের চিকিৎসাসেবা চলছে চারজন চিকিৎসক দিয়ে। অন্যদিকে হাসপাতালে অস্ত্রোপচারকক্ষ থাকলেও সেটি তালাবদ্ধ দুই যুগ ধরে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৬ জুনে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের প্রশাসনিক অনুমোদন পায় কমপ্লেক্সটি। এরপরও চিকিৎসক ও জনবল-সংকটের কারণে স্বাস্থ্যসেবা রয়ে গেছে পুরোনো ধাঁচেই। বাড়েনি চিকিৎসাসেবার মান।
জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১০টি চিকিৎসকের পদ থাকলেও ছয়টিই শূন্য। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার পদে একজন চিকিৎসক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি) তিনটি পদের তিনটিই শূন্য। মেডিকেল অফিসারের (ইউএইচসি) দুটি পদই শূন্য। সহকারী সার্জন (নবসৃষ্ট) সাতটি পদের চারটিই শূন্য। আবার এ পদে কর্মরত তিনজনের দুজনই অন্যত্র কর্মরত থাকায় মূলত বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন মাত্র চারজন চিকিৎসক।
আরও জানা যায়, একজন স্যানিটারি পরিদর্শক, একজন প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক, একজন ক্যাশিয়ার, একজন পরিসংখ্যানবিদ, অফিস সহকারী দুজন, একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফার), একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ডেন্টাল, একজন সহকারী সেবক, একজন লেপ্রসি কন্ট্রোল সহকারী, একজন স্বাস্থ্য পরিদর্শক, তিনজন অফিস সহায়ক, একজন ওয়ার্ড বয়, একজন মালি, একজন মশালচি, একজন নৈশপ্রহরী ও চারজনের ঝাড়ুদারের পদ বছরের পর বছর শূন্য থাকলেও তা আজ পর্যন্ত পূরণ হয়নি।
এ হাসপাতাল থেকে অবসর নেওয়া সিনিয়র স্টাফ নার্স হালিমা খাতুন জানান, ১৯৯৫ সালের দিকে একবার একটি মাত্র সিজারিয়ান অপারেশন হয়েছিল। তারপর আর কোনো অপারেশন হয়নি। কিন্তু এ হাসপাতালে মূল্যবান যন্ত্রাংশের আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত একটি অপারেশন থিয়েটার থাকলেও সেটি তালাবদ্ধ প্রায় দুই যুগ ধরে। ফলে নষ্ট হচ্ছে লাখ লাখ টাকার অপারেশনসংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশ।
সেবা নিতে আসেন উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের মোবারক হোসেন, তালম গ্রামের আলামিন, বরইচড়া গ্রামের আসমা খাতুন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুপুর ১২টার পর অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগে কোনো চিকিৎসক পাওয়া যায় না। এখানে এক্স-রেও করা হয় না। প্রায় দুই যুগ ধরে সিজারিয়ানসহ নেই কোনো অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা। এ ছাড়া উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিচ্ছন্নতা সন্তোষজনক নয়। তাই এখানে এলাকার মানুষের সার্বিক চিকিৎসাসেবা চরম ব্যাহত হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মনোয়ার হোসেন জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন চিকিৎসকের স্থলে কর্মরত আছেন ৪ জন। তিনি চিকিৎসক-সংকটের বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জনকে জানিয়েছেন। আর অন্য পদ পূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবেদন করা হয়েছে। আর অস্ত্রোপচারকক্ষটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সেটিও চালু করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২১ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে