আবারও ভোট গণনার নির্দেশ আদালতের

মনিরামপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫: ০০
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৫৪

যশোরের মনিরামপুরের রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনের ভোট পুনরায় গণনা ও গেজেট স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। ঘোষিত ফলে কারচুপির অভিযোগ তুলে পরাজিত সদস্য প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত এই আদেশ দেওয়া হয়।

বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চ আদালতের একটি বেঞ্চ গত সোমবার এ আদেশ দেন। গত ১ ডিসেম্বর এই রিট আবেদন করা হয়।

দেলোয়ার হোসেন টর্চ লাইট প্রতীক নিয়ে এবারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। মাত্র ৩ ভোটের ব্যবধানে তাঁকে হারিয়ে দিয়ে টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী মেহেদী হাসানকে জয়ী ঘোষণা করার অভিযোগ করেছেন।

রিটের বিবাদীরা হলেন, নির্বাচন কমিশনের সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান, রোহিতা ইউপি নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ, রোহিতার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রোহিতা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মহিতোষ চক্রবর্তী ও বেসরকারিভাবে বিজয়ী ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান।

অভিযোগকারী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত ২৮ নভেম্বর মনিরামপুরে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রোহিতা ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আমি টর্চ লাইট প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করি। আমার ভোটকেন্দ্র রোহিতা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়। সাড়ে ৩ হাজার পুরুষ ও নারী ভোটারদের জন্য আলাদা ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৩ জন সদস্য প্রার্থীর মধ্যে পুরুষ কেন্দ্রে আমি ভোট পেয়েছি ৩৩০ টি। আমার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মেহেদী হাসান পান ৩১৩ ভোট। ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মহিতোষ চক্রবর্তী চূড়ান্ত ফলের তালিকায় বাতিল ভোট লিখতে গিয়ে কাটাকাটি করেছেন।’

দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মহিতোষ চক্রবর্তী প্রথমে বাতিল ভোট ৫০ দেখিয়েছেন। পরে সেখানে কাটাকাটি করে ৫৬ লিখেছেন। টিউবওয়েলের প্রার্থী মেহেদী হাসানের ভোট বাড়িয়ে দিতে তিনি আমার ৬টি ভোট বাতিল দেখিয়েছেন।’

রোহিতা ইউপি নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘রিট হওয়ার বিষয়টি জেনেছি। এখনো কোনো কাগজপত্র হাতে পাইনি।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত