তরমুজের বিক্রি বাড়ছে আসমানিয়ার হাটে

তিতাস প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২২, ০৯: ৩৬
Thumbnail image

তিতাস উপজেলার আসমানিয়া বাজারে জমে উঠেছে তরমুজের বেচাকেনা। চৈত্র মাসের তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তরমুজের চাহিদাও বাড়ছে।

গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার আসমানিয়া বাজারে গিয়ে দেখা যায়, হাজি রশিদ মেম্বার সুপার মার্কেটের সামনে বসেছে তরমুজের হাট। প্রতিদিনই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই হাটে কেনাবেচা চলে।

এ সময় কথা হয় বিলকিস আক্তারের সঙ্গে। তিনি মেয়ের বাড়ি বেড়াতে যাবেন। তাই নাতি-নাতনিদের জন্য তরমুজ কিনতে এসেছেন। হাট ঘুরে ৬০০ টাকা দিয়ে মাঝারি আকারের দুটি তরমুজ কিনেছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাম ঠিক আছে বলে মনে হয়েছে তাঁর।

শফিক মিয়া নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘সকালে বাজারে আসার সময় বাচ্চারা তরমুজের কথা বলেছে, তাই তরমুজ কিনেছি। মোটামুটি বড় আকারের তরমুজটির দাম নিয়েছে ৪০০ টাকা। অন্য বাজারে দাম আরও বেশি। সেই তুলনায় এখানে ১০০ টাকা কমে পেয়েছি।’

তরমুজ বিক্রেতা নাছির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা গৌরীপুর, দাউদকান্দি ও হাজীগঞ্জ থেকে পাইকারি দরে কিনে আনি। ছোট-বড় মিলিয়ে ১০০ তরমুজের দাম পড়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। এখানে এনে বাছাই করে তিন ভাগে বিক্রি করি, যাতে কেউ না ঠকেন। সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে যেন থাকে।’

আরেক বিক্রেতা কাদির মিয়া বলেন, ‘আমরা সীমিত লাভ করি। মৌসুমি ফল তরমুজ সবাই খায়। এর চাহিদা বেশি। কেউ যাতে কিনতে এসে ফেরত না যান, সেটিই আমরা চাই। কম দামে কিনতে পারলে কম দামে বিক্রি করব। আমরা চাই সবাই তরমুজ ইচ্ছেমতো খাওয়ার সুযোগ পাক।’

বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলী আস্কর বলেন, ‘আমরা তরমুজ বিক্রেতাদের বলে দিয়েছি, এটা মৌসুমি ফল, এই ফলের প্রতি দরিদ্র পরিবারের ছেলে-মেয়েদের আকর্ষণ আছে, তাই লাভ কম হলেও মাল ছেড়ে দিতে হবে। কেউ যাতে তরমুজ কিনতে এসে খালি হাতে ফিরে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে। বাজারের সুনাম অক্ষুণ্ন রেখে ব্যবসা করতে বলেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত