ইসলামে বিয়ের গুরুত্ব

আবদুল আযীয কাসেমি
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২২, ১৫: ৫১
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২২, ১৫: ৫৬

আল্লাহ তাআলা মানুষকে সৃষ্টিগতভাবেই জৈবিক চাহিদা দিয়ে তৈরি করেছেন। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি মানুষের আকর্ষণ সহজাত ও প্রাকৃতিক। ফলে মানুষ যেকোনো উপায়ে তার জৈবিক চাহিদা পূর্ণ করতে উদ্‌গ্রীব থাকবে—এটাই স্বাভাবিক। তবে ইসলাম এ ক্ষেত্রে মানুষকে স্বাধীনভাবে ছেড়ে দেয়নি। কারণ, স্বাধীনভাবে ছেড়ে দিলে পৃথিবীতে নেমে আসবে বিপর্যয়। সহজাত এ চাহিদা পূরণের নিমিত্তে বৈধ উপায় হিসেবে আল্লাহ তাআলা বিয়েকে বিধিবদ্ধ করেন।

আমাদের প্রিয় নবীজি (সা.) বিয়ে করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং অবৈধ উপায়ে জৈবিক চাহিদা পূরণ করতে বারণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিয়ে আমার সুন্নত। যে ব্যক্তি আমার সুন্নত থেকে বিমুখ হবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।’ (ইবনে মাজাহ) অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘হে যুবকের দল, তোমাদের মধ্যে যাদের সামর্থ্য আছে, তারা যেন দ্রুত বিয়ে করে নেয়। আর যাদের সামর্থ্য নেই, তারা যেন রোজা রাখে। কেননা, তা যৌনতার তীব্রতা লঘু করে দেয়।’ (বুখারি)

এখানে লক্ষ করার বিষয় হলো, নবী (সা.) সামর্থ্যের কথা বলেছেন। অনেকেই মনে করেন, সামর্থ্য মানে হলো, অঢেল টাকাপয়সা থাকতে হবে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে ইত্যাদি। তবে বাস্তবতা হলো ভিন্ন। একজন মানুষের ভরণপোষণ বহন করার সামর্থ্য থাকলেই বিয়ে করা যাবে। তবে হ্যাঁ, সামর্থ্য কম থাকলে তুলনামূলক অসম্পন্ন পরিবারে বিয়ে করতে হবে। যেন ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। কারও কারও ধারণা হলো, বিয়ে করলে দারিদ্র্য জেঁকে বসবে। অল্প বেতনে কীভাবে সংসার চলবে—তা নিয়ে মনে কুমন্ত্রণা আসে। তাদের জন্য সুখবর দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা। তিনি বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত, তাদের বিয়ে করিয়ে দাও...। তারা অভাবগ্রস্ত হলে আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে তাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন।’ (সুরা নুর: ৩২)

লেখক: আবদুল আযীয কাসেমি, শিক্ষক ও হাদিস গবেষক 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত