সম্মেলন হলেও কমিটি নেই

বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ১১
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ৩৭

বরগুনা জেলা যুবলীগের সম্মেলনের ২০ দিন পরও নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। সম্মেলনের পর থেকে নেতা-কর্মীরা কমিটির অপেক্ষায় ছিলেন। এত দিনেও কমিটি ঘোষণা না করায় এ নিয়ে জেলায় নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে সভাপতি ও সম্পাদক পদপ্রত্যাশী একাধিক নেতা কেন্দ্রীয় পর্যায়ে, তদবির ও দৌড়ঝাঁপ অব্যাহত রেখেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারাও নিজেদের অনুসারীদের শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত করতে একাধিকবার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেছেন।

গত শুক্রবার বরগুনা সদর থানার ওসি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ফাঁস হওয়া এক ফোনালাপে সভাপতি পদপ্রত্যাশী সাহাবুদ্দিন সাবুকে নিয়ে কথোপকথন হয়। ওই ফোনালাপে সাংসদ শম্ভু ওসিকে প্রশ্ন করেন, ‘আচ্ছা, আপনি কি কোথাও বলেছেন যে সাবু আপনার যুবলীগের প্রার্থী, আপনার প্রার্থী।’ ওই ফোনালাপ ফাঁসের পর যুবলীগের কমিটির বিষয়টি জেলায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

১৬ বছর পর গত ২১ ডিসেম্বর বরগুনার টাউন হল শহীদ মিনার চত্বরে জমকালো আয়োজনে জেলা আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মইনুল হাসান নিখিলসহ কেন্দ্রীয় যুবলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, বরিশাল বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আল, কাজী মাজহারুল ইসলামসহ যুবলীগের কেন্দ্র জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ওই দিন সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দ্বিতীয় অধিবেশনে সংগঠনের শীর্ষ দুই পদের জন্য প্রস্তাব গ্রহণ করেন। এতে সভাপতি পদে ৬ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোট ১৩ জনের নাম প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাব গ্রহণের পর সিদ্ধান্ত কেন্দ্র থেকে দেওয়া হবে জানিয়ে সভা শেষ করা হয়।

সভাপতি পদপ্রত্যাশী ছয়জনের মধ্যে তিনজন আলোচনায় আছেন। এঁরা হলেন সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ও ঠিকাদার ব্যবসায়ী রেজাউল করিম অ্যাটম।

জেলা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী সাহাবুদ্দিন সাবু বলেন, ‘দীর্ঘ বছর যুব রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থেকে দলের হয়ে কাজ করেছি। বিএনপি-জামায়াত ও ওয়ান-ইলেভেনে দলের দুঃসময়ে রাজপথে থেকে আন্দোলন-সংগ্রাম করে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। বরিশাল বিভাগের মধ্যে সফল একটি সম্মেলন উপহার দিয়েছি। আশা করি দল আমাকে যোগ্য মূল্যায়ন করবে।’

সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের মধ্য অন্যতম জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি যুবায়ের আদনান অনিক বলেন, ‘সুনামের সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালনে চেষ্টা করেছি। আশা করি যুবলীগ আমায় যথাযোগ্য মূল্যায়ন করবে।’

সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী জুনায়েদ জুয়েল বলেন, ‘সম্মেলনের দিন বক্তৃতায় মাননীয় চেয়ারম্যান বলেছেন, ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করবেন। আমার ছাত্ররাজনীতির দীর্ঘ সময়ে দেশ পরিচালনা করেছে বিএনপি-জামায়াত। তখন আমি দলের হয়ে রাজপথে সক্রিয় ছিলাম।’

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আমি দায়িত্ব নিয়ে সফল সম্মেলন উপহার দিয়েছি। কমিটি কবে নাগাদ ঘোষণা করা হবে, বিষয়টির সিদ্ধান্ত একমাত্র মাননীয় চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক মহোদয় দেবেন। তবে যত দূর জানি, এ মাসের মধ্যেই বরগুনা জেলা যুবলীগের কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত