সম্পাদকীয়
আবু ওসমান চৌধুরী ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল, মুক্তিযোদ্ধা ও ৮ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার। তাঁর জন্ম ১৯৩৬ সালের ১ জানুয়ারি, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনেরগাঁও গ্রামে।
তিনি স্থানীয় চান্দ্রা ইমাম আলী হাইস্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন, ১৯৫৪ সালে চাঁদপুর কলেজ থেকে আইএ এবং ১৯৫৭ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে বিএ পাস করেন।
১৯৫৮ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন আবু ওসমান চৌধুরী। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মেজর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি পান।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ইপিআরের (বর্তমান বিজিবি) চুয়াডাঙ্গা ৪ নম্বর উইংয়ের কমান্ডার ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা প্রতিরোধ যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অনেক সেনা নিহত হয়। যুদ্ধের প্রথম দিকে তিনি পদ্মার দক্ষিণ-পশ্চিম বৃহত্তর অঞ্চলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একাত্তরের মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত তাঁর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গার বিস্তীর্ণ এলাকা হানাদারমুক্ত ছিল।
মে মাসের শেষের দিকে ওই অঞ্চলকে ৮ ও ৯ নম্বরে দুটি সেক্টরে বিভক্ত করা হলে আবু ওসমান চৌধুরীকে কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা ও ফরিদপুরের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত ৮ নম্বর সেক্টর কমান্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে মেজর মঞ্জুরকে ৮ নম্বর সেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হলে আবু ওসমান চৌধুরীকে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানীর সদর দপ্তরে নিয়োজিত করা হয়।
আবু ওসমান চৌধুরীর জীবনে একটি বড় ট্র্যাজেডি হলো, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সেনা অভ্যুত্থানে তাঁর স্ত্রী বেগম নাজিয়া ওসমানের করুণ মৃত্যু।
জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তিনি চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁর লিখিত ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বইটি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক একটি মূল্যবান গ্রন্থ।
তিনি ২০২০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ৮৪ বছর বয়সে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
আবু ওসমান চৌধুরী ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল, মুক্তিযোদ্ধা ও ৮ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার। তাঁর জন্ম ১৯৩৬ সালের ১ জানুয়ারি, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনেরগাঁও গ্রামে।
তিনি স্থানীয় চান্দ্রা ইমাম আলী হাইস্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন, ১৯৫৪ সালে চাঁদপুর কলেজ থেকে আইএ এবং ১৯৫৭ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে বিএ পাস করেন।
১৯৫৮ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন আবু ওসমান চৌধুরী। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মেজর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি পান।
মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ইপিআরের (বর্তমান বিজিবি) চুয়াডাঙ্গা ৪ নম্বর উইংয়ের কমান্ডার ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা প্রতিরোধ যুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অনেক সেনা নিহত হয়। যুদ্ধের প্রথম দিকে তিনি পদ্মার দক্ষিণ-পশ্চিম বৃহত্তর অঞ্চলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একাত্তরের মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত তাঁর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গার বিস্তীর্ণ এলাকা হানাদারমুক্ত ছিল।
মে মাসের শেষের দিকে ওই অঞ্চলকে ৮ ও ৯ নম্বরে দুটি সেক্টরে বিভক্ত করা হলে আবু ওসমান চৌধুরীকে কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা ও ফরিদপুরের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত ৮ নম্বর সেক্টর কমান্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে মেজর মঞ্জুরকে ৮ নম্বর সেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হলে আবু ওসমান চৌধুরীকে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানীর সদর দপ্তরে নিয়োজিত করা হয়।
আবু ওসমান চৌধুরীর জীবনে একটি বড় ট্র্যাজেডি হলো, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সেনা অভ্যুত্থানে তাঁর স্ত্রী বেগম নাজিয়া ওসমানের করুণ মৃত্যু।
জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তিনি চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁর লিখিত ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বইটি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক একটি মূল্যবান গ্রন্থ।
তিনি ২০২০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ৮৪ বছর বয়সে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে