মো. আব্দুল মোত্তালেব
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১. অরবিট কী?
উত্তর: পরমাণুর যেসব স্থির কক্ষপথে ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে আবর্তন করে, তাদের অরবিট বলে।
২. শক্তিস্তর কী?
উত্তর: নিউক্লিয়াসের চারদিকে যে সুনির্দিষ্ট বৃত্তাকার কক্ষপথে ইলেকট্রনগুলো আবর্তন করে, সেই বৃত্তাকার কক্ষপথই শক্তিস্তর।
৩. ইলেকট্রনের আধান কত?
উত্তর: ইলেকট্রনের আধান-1.60×10-19 কুলম্ব।
৪. পরমাণুর নিউক্লিয়াস কী দ্বারা গঠিত?
উত্তর: পরমাণুর নিউক্লিয়াস প্রোটন ও নিউট্রন দ্বারা গঠিত।
৫. পারমাণবিক ভর কী?
উত্তর: কোনো একটি পরমাণুর ভর এবং একটি কার্বন-12 পারমাণবিক ভরের 1/12 অংশের অনুপাতকে ওই মৌলের পারমাণবিক ভর বলে।
৬. নিউক্লিয়ন সংখ্যা কী?
উত্তর: পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত প্রোটন ও নিউট্রনের মোট সংখ্যাই হলো নিউক্লিয়ন সংখ্যা।
৭. খাদ্য লবণের সংকেত কী?
উত্তর: খাদ্য লবণের সংকেত হলো-NaCl
৮. ধাতুর অক্সাইড কোন ধর্মী?
উত্তর: ধাতুর অক্সাইড ক্ষারধর্মী।
৯. আধুনিক পর্যায় সূত্রটি লেখো।
উত্তর: আধুনিক পর্যায় সূত্র: বিভিন্ন মৌলের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি তাদের পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধি অনুসারে পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়।
১০. মেন্ডেলিফের পর্যায় সূত্রটি বিবৃত করো।
উত্তর: মৌলসমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি তাদের পারমাণবিক ভর বৃদ্ধির সঙ্গে পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়।
১১. ধাতববন্ধন কাকে বলে?
উত্তর: ধাতব পরমাণুসমূহ যে আকর্ষণ বল দ্বারা পরস্পরের সঙ্গে আবদ্ধ থাকে, তাকে ধাতববন্ধন বলে।
১২. সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন কী?
উত্তর: যেসব হাইড্রোকার্বনে শুধু কার্বন-কার্বন একক বন্ধন (C-C) থাকে, তাদের সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন বলে।
১৩. গলনাঙ্ক কাকে বলে?
উত্তর: 1 বায়ুমণ্ডলীয় চাপে তাপ প্রদানের ফলে যে তাপমাত্রায় কোনো কঠিন পদার্থ তরলে পরিণত হয়, সেই তাপমাত্রাকে ওই কঠিন পদার্থের গলনাঙ্ক বলে।
১৪. মুদ্রা ধাতু কাকে বলে?
উত্তর: পর্যায় সারণির গ্রুপ 11তে অবস্থিত ধাতব বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন অবস্থান্তর মৌল, যেমন তামা (Cu) রুপা(Ag) ও স্বর্ণকে(Au) মুদ্রা ধাতু বলা হয়।
১৫. IUPAC–এর পূর্ণরূপ লেখো।
উত্তর: International Union of pure and applied chemistry.
১৬. আইসোটোপ কাকে বলে?
উত্তর: যেসব মৌলের পরমাণুসমূহের পারমাণবিক সংখ্যা একই কিন্তু ভরসংখ্যা ভিন্ন, তাদের পরস্পরের আইসোটোপ বলে।
১৭. পারমাণবিক সংখ্যা কাকে বলে?
উত্তর: কোনো মৌলের একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসে বিদ্যমান প্রোটনের সংখ্যাকে ওই মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বলে।
১৮. ক্যাটায়ন কাকে বলে?
উত্তর: ধনাত্মক আধানযুক্ত পরমাণুকে ক্যাটায়ন বলে।
১৯. পরিবর্তনশীল যোজনী কাকে বলে?
উত্তর: কোনো মৌলের একাধিক যোজনী থাকলে, সেই মৌলের যোজনীকে পরিবর্তনশীল যোজনী বলে।
২০. ইলেকট্রন আসক্তি কাকে বলে?
উত্তর: কোনো মৌলের 1 মোল চার্জ নিরপেক্ষ গ্যাসীয় বিচ্ছিন্ন পরমাণু 1 মোল ইলেকট্রনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একক ঋণাত্মক চার্জযুক্ত গ্যাসীয় আয়ন সৃষ্টি করতে যে পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়, তাকে সেই মৌলটির ইলেকট্রন আসক্তি বলে।
২১. টলেন বিকারক কী?
উত্তর: ক্ষারীয় সিলভার নাইট্রেটের দ্রবণ হলো টলেন বিকারক।
২২. সুপ্ত যোজনী কাকে বলে?
উত্তর: কোনো মৌলের সর্বোচ্চ যোজনী ও সক্রিয় যোজনীর পার্থক্যকে সুপ্ত যোজনী বলে।
২৩. গাঠনিক সংকেত কাকে বলে?
উত্তর: একটি অণুতে মৌলের পরমাণুগুলো যেভাবে সাজানো থাকে তা প্রতীক এবং বন্ধনের মাধ্যমে প্রকাশ করাকে গাঠনিক সংকেত বলে।
২৪. গ্যাস হোল কী?
উত্তর: গ্যাস হোল একধরনের জ্বালানি, যেখানে পেট্রলের সঙ্গে 10-20% ইথানল মিশ্রিত থাকে।
২৫. অ্যারোমেটিক যৌগ কাকে বলে?
উত্তর: বেনজিন ও বেনজিনসদৃশ যৌগকে অ্যারোমেটিক যৌগ বলে।
২৬. প্যারাফিন কী?
উত্তর: রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয় তথা আসক্তিহীন অ্যালকেনই প্যারাফিন।
২৭. অ্যালকাইল গ্রুপ কী?
উত্তর: অ্যালকেন থেকে একটি হাইড্রোজেন পরমাণু অপসারিত হলে যে মূলক বা গ্রুপ গঠিত হয়, তাই অ্যালকাইল গ্রুপ।
২৮. PVC কী?
উত্তর: PVC হলো পলিভিনাইল ক্লোরাইড। এটি থার্মোপ্লাস্টিক জাতীয় যুত পলিমার।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. আণবিক সংকেত জানার জন্য স্থূল সংকেত প্রয়োজন– ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: আণবিক সংকেত জানার জন্য স্থূল সংকেত প্রয়োজন। কারণ যৌগের আণবিক সংকেত তার স্থূল সংকেতের যেকোনো সরল গুণিতক। কোনো কোনো ক্ষেত্রে যৌগের সংকেত ও আণবিক সংকেত অভিন্ন। অর্থাৎ যৌগের আণবিক সংকেত=(যৌগের স্থূল সংকেত)n, যেখানেn =যৌগের আণবিক ভর / স্থূল সংকেতের আণবিক ভর
২. পরমাণুতে কীভাবে বর্ণালি সৃষ্টি হয়?
উত্তর: শক্তির উৎস থেকে মৌলের অসংখ্য পরমাণুর একই ইলেকট্রন বিভিন্ন পরিমাণে শক্তি শোষণ করে উদ্দীপিত অবস্থায় বিভিন্ন নির্দিষ্ট শক্তির উচ্চশক্তির স্তরে লাফিয়ে চলে। পরে শক্তির উৎস সরিয়ে নিলে এ অসংখ্য হাইড্রোজেন পরমাণুর ইলেকট্রন শক্তি বিকিরণ করে নিম্ন শক্তিস্তরে ফিরে আসতে পারে। তখন বিভিন্ন রেখা বর্ণালীর সৃষ্টি হয়ে থাকে।
৩. পর্যায়বৃত্ত ধর্ম বলতে কী বোঝো?
উঃ মৌল সমূহের ভৌত, রাসায়নিক ধর্মাবলি তাদের ইলেকট্রন বিন্যাসের উপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল। যেহেতু মৌল সমূহের ইলেকট্রন বিন্যাস পর্যায়ক্রমে পরিবর্তিত হয়, সেহেতু মৌল সমূহের কিছু ধর্ম পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়। এসব ধর্মকে পর্যায়বৃত্ত ধর্ম বলা হয়। যেমন-ইলেকট্রন আসক্তি, আয়নীকরণ বিভব, তড়িৎ ঋণাত্মকতা, পারমাণবিক ব্যাসার্ধ ইত্যাদি মৌলের পর্যায়বৃত্ত ধর্ম।
৪. পর্যায় সারণিতে একটি মৌল একটিমাত্র স্থান দখল করে কেন?
উঃ প্রতিটি মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা নির্দিষ্ট বলে প্রতিটি মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস ও নির্দিষ্ট এবং একটি ইলেকট্রন বিন্যাস অন্যটি থেকে ভিন্ন। আবার প্রতিটি পারোনি সংখ্যার জন্য পর্যায় সারণিতে একটি নির্দিষ্ট অবস্থান হয়েছে। তাই পর্যায় সারণিতে একটি মৌল একটিমাত্র স্থান দখল করে।
৫. ফসফরাস মৌলের পর্যায় সারণিতে অবস্থান ব্যাখ্যা কর।
উঃ কোনো মৌলের সর্ববহিঃস্থ শেলের ইলেকট্রন সংখ্যা অনুসারে তার গ্রুপ এবং শেলের স্তরের সংখ্যা অনুসারে পর্যায়ে নির্ধারণ করা হয়। ফসফরাস (15) এর ইলেকট্রন বিন্যাস 2,8,5। এরশেল সংখ্যা তিনটি এবং সর্ব বহিঃস্থস্তরে ইলেকট্রন সংখ্যা পাঁচটি সুতরাং ফসফরাস তৃতীয় পর্যায়ে 5+10=15 নং গ্রুপে অবস্থান করবে।
৬. ইথানল হাইড্রোকার্বন নয় কেন?
উঃ শুধুমাত্র হাইড্রোজেন ও কার্বন দ্বারা গঠিত দ্বিমৌল যৌগসমূহ কে হাইড্রোকার্বন বলে। হাইড্রোকার্বনে C ও H সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ থাকে। ইথানল যৌগে হাইড্রোজেন ও কার্বনের সাথে অক্সিজেন উপস্থিত আছে বলে ইথানলকে হাইড্রোকার্বন বলা যাবে না।
৭. পটাশিয়াম কে ক্ষার ধাতু বলা হয় কেন?
উঃ পটাশিয়াম কে ক্ষার ধাতু বলা হয়। কারণ পটাশিয়াম গ্রুপ 1-এর মৌল এবং পানির সাথে বিক্রিয়া করে তীব্র ক্ষারীয় পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড যৌগ উৎপন্ন করে।
আবার পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড অম্লের অমরত্বকে বিনষ্ট করতে পারে এবং বিক্রিয়ায় লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।
৮. হ্যালোজেন বলতে কি বুঝ ব্যাখ্যা কর।
উঃ গ্রুপ 17 এর F, Cl ,Br, I,At, ও Ts হ্যালোজেন বলা হয়।
কারণ হ্যালোজেন এর অর্থ লবণ উৎপাদনকারী এবং এর মূল উৎস সামুদ্রিক লবণ। হ্যালোজেন মৌল গুলোর সাথে ধাতু যুক্ত হয়ে লবণ গঠন করে। যেমনNa ধাতু হ্যালোজেন মৌল ক্লোরিন এর সাথে যুক্ত হয়েNaCl লবণ গঠন করে।
৯. প্যাটার্ন কিভাবে গঠিত হয়
উঃ যে সকল মৌলের সর্বশেষ শক্তিস্তরে কম সংখ্যক ইলেকট্রন থাকে তাদের নিউক্লিয়াস ইলেকট্রনের সাথে দুর্বল ভাবে আকর্ষিত থাকে। ফলে এসব মৌলের পরমাণু সহজেই ইলেকট্রন ত্যাগ করে দ্বিত বা অষ্টক পূর্ণ করে। এভাবে ইলেকট্রন ত্যাগের মাধ্যমে নিউক্লিয়াসের ধনাত্মক চার্জ এর পরিমাণ বেড়ে যায় এবং ধনাত্মক চার্জযুক্ত পরমাণু বা ক্যাটায়ন এর সৃষ্টি হয়।
১০.Cl অপেক্ষা P এর তড়িৎ ঋণাত্মকতা কম -ব্যাখ্যা কর।
উঃ দুটি পরমাণুর যখন সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে অনুতে পরিণত হয় তখন অনুর পরমাণুগুলো বন্ধনের ইলেকট্রন দুটিকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে; এই আকর্ষণ কে তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলে।
একই পর্যায়ের যতবাম থেকে ডানে যাওয়া যায় মৌলের আকার তত কমে, শেয়ারকৃত ইলেকট্রনের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায় ফলে তড়িৎ ঋণাত্মকতা বৃদ্ধি পায়। P ও Cl একই পর্যায়ের মৌল এবং Cl ডানে অবস্থিত হওয়ায় Clএর আকার ছোট তাই তড়িৎ ঋণাত্মকতা বেশি ।অর্থাৎ Clঅপেক্ষা Pএর তড়িৎ ঋণাত্মকতা কম।
১১. একই পদার্থের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক ভিন্ন হয় কেন?
উঃ গলনাংকে কোনোবস্তুর অণুসমূহের আন্তঃআণবিক বল ও অণুসমূহের গতিশক্তি সমান হয়। অন্যদিকে স্ফুটনাঙ্কে কোন বস্তুর অণুসমূহের-এর আন্তঃআণবিক বল অপেক্ষা
গতিশক্তি বেশি হয়। অর্থাৎ বাষ্পীভূত হওয়ার জন্য বস্তুর অণুসমূহের গতিশক্তি বেশি হওয়া দরকার। আর বেশি গতি শক্তি লাভের জন্য বস্তুর অধিক তাপ শক্তির প্রয়োজন হয়। তাই স্ফুটনাংক গলনাঙ্ক অপেক্ষা বেশি হয়। অর্থাৎ একই পদার্থের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক ও ভিন্ন হয়।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, বিএএফ শাহীন কলেজ, কুর্মিটোলা, ঢাকা।
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১. অরবিট কী?
উত্তর: পরমাণুর যেসব স্থির কক্ষপথে ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে আবর্তন করে, তাদের অরবিট বলে।
২. শক্তিস্তর কী?
উত্তর: নিউক্লিয়াসের চারদিকে যে সুনির্দিষ্ট বৃত্তাকার কক্ষপথে ইলেকট্রনগুলো আবর্তন করে, সেই বৃত্তাকার কক্ষপথই শক্তিস্তর।
৩. ইলেকট্রনের আধান কত?
উত্তর: ইলেকট্রনের আধান-1.60×10-19 কুলম্ব।
৪. পরমাণুর নিউক্লিয়াস কী দ্বারা গঠিত?
উত্তর: পরমাণুর নিউক্লিয়াস প্রোটন ও নিউট্রন দ্বারা গঠিত।
৫. পারমাণবিক ভর কী?
উত্তর: কোনো একটি পরমাণুর ভর এবং একটি কার্বন-12 পারমাণবিক ভরের 1/12 অংশের অনুপাতকে ওই মৌলের পারমাণবিক ভর বলে।
৬. নিউক্লিয়ন সংখ্যা কী?
উত্তর: পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত প্রোটন ও নিউট্রনের মোট সংখ্যাই হলো নিউক্লিয়ন সংখ্যা।
৭. খাদ্য লবণের সংকেত কী?
উত্তর: খাদ্য লবণের সংকেত হলো-NaCl
৮. ধাতুর অক্সাইড কোন ধর্মী?
উত্তর: ধাতুর অক্সাইড ক্ষারধর্মী।
৯. আধুনিক পর্যায় সূত্রটি লেখো।
উত্তর: আধুনিক পর্যায় সূত্র: বিভিন্ন মৌলের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি তাদের পারমাণবিক সংখ্যা বৃদ্ধি অনুসারে পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়।
১০. মেন্ডেলিফের পর্যায় সূত্রটি বিবৃত করো।
উত্তর: মৌলসমূহের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি তাদের পারমাণবিক ভর বৃদ্ধির সঙ্গে পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়।
১১. ধাতববন্ধন কাকে বলে?
উত্তর: ধাতব পরমাণুসমূহ যে আকর্ষণ বল দ্বারা পরস্পরের সঙ্গে আবদ্ধ থাকে, তাকে ধাতববন্ধন বলে।
১২. সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন কী?
উত্তর: যেসব হাইড্রোকার্বনে শুধু কার্বন-কার্বন একক বন্ধন (C-C) থাকে, তাদের সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন বলে।
১৩. গলনাঙ্ক কাকে বলে?
উত্তর: 1 বায়ুমণ্ডলীয় চাপে তাপ প্রদানের ফলে যে তাপমাত্রায় কোনো কঠিন পদার্থ তরলে পরিণত হয়, সেই তাপমাত্রাকে ওই কঠিন পদার্থের গলনাঙ্ক বলে।
১৪. মুদ্রা ধাতু কাকে বলে?
উত্তর: পর্যায় সারণির গ্রুপ 11তে অবস্থিত ধাতব বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন অবস্থান্তর মৌল, যেমন তামা (Cu) রুপা(Ag) ও স্বর্ণকে(Au) মুদ্রা ধাতু বলা হয়।
১৫. IUPAC–এর পূর্ণরূপ লেখো।
উত্তর: International Union of pure and applied chemistry.
১৬. আইসোটোপ কাকে বলে?
উত্তর: যেসব মৌলের পরমাণুসমূহের পারমাণবিক সংখ্যা একই কিন্তু ভরসংখ্যা ভিন্ন, তাদের পরস্পরের আইসোটোপ বলে।
১৭. পারমাণবিক সংখ্যা কাকে বলে?
উত্তর: কোনো মৌলের একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসে বিদ্যমান প্রোটনের সংখ্যাকে ওই মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা বলে।
১৮. ক্যাটায়ন কাকে বলে?
উত্তর: ধনাত্মক আধানযুক্ত পরমাণুকে ক্যাটায়ন বলে।
১৯. পরিবর্তনশীল যোজনী কাকে বলে?
উত্তর: কোনো মৌলের একাধিক যোজনী থাকলে, সেই মৌলের যোজনীকে পরিবর্তনশীল যোজনী বলে।
২০. ইলেকট্রন আসক্তি কাকে বলে?
উত্তর: কোনো মৌলের 1 মোল চার্জ নিরপেক্ষ গ্যাসীয় বিচ্ছিন্ন পরমাণু 1 মোল ইলেকট্রনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একক ঋণাত্মক চার্জযুক্ত গ্যাসীয় আয়ন সৃষ্টি করতে যে পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়, তাকে সেই মৌলটির ইলেকট্রন আসক্তি বলে।
২১. টলেন বিকারক কী?
উত্তর: ক্ষারীয় সিলভার নাইট্রেটের দ্রবণ হলো টলেন বিকারক।
২২. সুপ্ত যোজনী কাকে বলে?
উত্তর: কোনো মৌলের সর্বোচ্চ যোজনী ও সক্রিয় যোজনীর পার্থক্যকে সুপ্ত যোজনী বলে।
২৩. গাঠনিক সংকেত কাকে বলে?
উত্তর: একটি অণুতে মৌলের পরমাণুগুলো যেভাবে সাজানো থাকে তা প্রতীক এবং বন্ধনের মাধ্যমে প্রকাশ করাকে গাঠনিক সংকেত বলে।
২৪. গ্যাস হোল কী?
উত্তর: গ্যাস হোল একধরনের জ্বালানি, যেখানে পেট্রলের সঙ্গে 10-20% ইথানল মিশ্রিত থাকে।
২৫. অ্যারোমেটিক যৌগ কাকে বলে?
উত্তর: বেনজিন ও বেনজিনসদৃশ যৌগকে অ্যারোমেটিক যৌগ বলে।
২৬. প্যারাফিন কী?
উত্তর: রাসায়নিকভাবে নিষ্ক্রিয় তথা আসক্তিহীন অ্যালকেনই প্যারাফিন।
২৭. অ্যালকাইল গ্রুপ কী?
উত্তর: অ্যালকেন থেকে একটি হাইড্রোজেন পরমাণু অপসারিত হলে যে মূলক বা গ্রুপ গঠিত হয়, তাই অ্যালকাইল গ্রুপ।
২৮. PVC কী?
উত্তর: PVC হলো পলিভিনাইল ক্লোরাইড। এটি থার্মোপ্লাস্টিক জাতীয় যুত পলিমার।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. আণবিক সংকেত জানার জন্য স্থূল সংকেত প্রয়োজন– ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: আণবিক সংকেত জানার জন্য স্থূল সংকেত প্রয়োজন। কারণ যৌগের আণবিক সংকেত তার স্থূল সংকেতের যেকোনো সরল গুণিতক। কোনো কোনো ক্ষেত্রে যৌগের সংকেত ও আণবিক সংকেত অভিন্ন। অর্থাৎ যৌগের আণবিক সংকেত=(যৌগের স্থূল সংকেত)n, যেখানেn =যৌগের আণবিক ভর / স্থূল সংকেতের আণবিক ভর
২. পরমাণুতে কীভাবে বর্ণালি সৃষ্টি হয়?
উত্তর: শক্তির উৎস থেকে মৌলের অসংখ্য পরমাণুর একই ইলেকট্রন বিভিন্ন পরিমাণে শক্তি শোষণ করে উদ্দীপিত অবস্থায় বিভিন্ন নির্দিষ্ট শক্তির উচ্চশক্তির স্তরে লাফিয়ে চলে। পরে শক্তির উৎস সরিয়ে নিলে এ অসংখ্য হাইড্রোজেন পরমাণুর ইলেকট্রন শক্তি বিকিরণ করে নিম্ন শক্তিস্তরে ফিরে আসতে পারে। তখন বিভিন্ন রেখা বর্ণালীর সৃষ্টি হয়ে থাকে।
৩. পর্যায়বৃত্ত ধর্ম বলতে কী বোঝো?
উঃ মৌল সমূহের ভৌত, রাসায়নিক ধর্মাবলি তাদের ইলেকট্রন বিন্যাসের উপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল। যেহেতু মৌল সমূহের ইলেকট্রন বিন্যাস পর্যায়ক্রমে পরিবর্তিত হয়, সেহেতু মৌল সমূহের কিছু ধর্ম পর্যায়ক্রমে আবর্তিত হয়। এসব ধর্মকে পর্যায়বৃত্ত ধর্ম বলা হয়। যেমন-ইলেকট্রন আসক্তি, আয়নীকরণ বিভব, তড়িৎ ঋণাত্মকতা, পারমাণবিক ব্যাসার্ধ ইত্যাদি মৌলের পর্যায়বৃত্ত ধর্ম।
৪. পর্যায় সারণিতে একটি মৌল একটিমাত্র স্থান দখল করে কেন?
উঃ প্রতিটি মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা নির্দিষ্ট বলে প্রতিটি মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাস ও নির্দিষ্ট এবং একটি ইলেকট্রন বিন্যাস অন্যটি থেকে ভিন্ন। আবার প্রতিটি পারোনি সংখ্যার জন্য পর্যায় সারণিতে একটি নির্দিষ্ট অবস্থান হয়েছে। তাই পর্যায় সারণিতে একটি মৌল একটিমাত্র স্থান দখল করে।
৫. ফসফরাস মৌলের পর্যায় সারণিতে অবস্থান ব্যাখ্যা কর।
উঃ কোনো মৌলের সর্ববহিঃস্থ শেলের ইলেকট্রন সংখ্যা অনুসারে তার গ্রুপ এবং শেলের স্তরের সংখ্যা অনুসারে পর্যায়ে নির্ধারণ করা হয়। ফসফরাস (15) এর ইলেকট্রন বিন্যাস 2,8,5। এরশেল সংখ্যা তিনটি এবং সর্ব বহিঃস্থস্তরে ইলেকট্রন সংখ্যা পাঁচটি সুতরাং ফসফরাস তৃতীয় পর্যায়ে 5+10=15 নং গ্রুপে অবস্থান করবে।
৬. ইথানল হাইড্রোকার্বন নয় কেন?
উঃ শুধুমাত্র হাইড্রোজেন ও কার্বন দ্বারা গঠিত দ্বিমৌল যৌগসমূহ কে হাইড্রোকার্বন বলে। হাইড্রোকার্বনে C ও H সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ থাকে। ইথানল যৌগে হাইড্রোজেন ও কার্বনের সাথে অক্সিজেন উপস্থিত আছে বলে ইথানলকে হাইড্রোকার্বন বলা যাবে না।
৭. পটাশিয়াম কে ক্ষার ধাতু বলা হয় কেন?
উঃ পটাশিয়াম কে ক্ষার ধাতু বলা হয়। কারণ পটাশিয়াম গ্রুপ 1-এর মৌল এবং পানির সাথে বিক্রিয়া করে তীব্র ক্ষারীয় পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড যৌগ উৎপন্ন করে।
আবার পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইড অম্লের অমরত্বকে বিনষ্ট করতে পারে এবং বিক্রিয়ায় লবণ ও পানি উৎপন্ন করে।
৮. হ্যালোজেন বলতে কি বুঝ ব্যাখ্যা কর।
উঃ গ্রুপ 17 এর F, Cl ,Br, I,At, ও Ts হ্যালোজেন বলা হয়।
কারণ হ্যালোজেন এর অর্থ লবণ উৎপাদনকারী এবং এর মূল উৎস সামুদ্রিক লবণ। হ্যালোজেন মৌল গুলোর সাথে ধাতু যুক্ত হয়ে লবণ গঠন করে। যেমনNa ধাতু হ্যালোজেন মৌল ক্লোরিন এর সাথে যুক্ত হয়েNaCl লবণ গঠন করে।
৯. প্যাটার্ন কিভাবে গঠিত হয়
উঃ যে সকল মৌলের সর্বশেষ শক্তিস্তরে কম সংখ্যক ইলেকট্রন থাকে তাদের নিউক্লিয়াস ইলেকট্রনের সাথে দুর্বল ভাবে আকর্ষিত থাকে। ফলে এসব মৌলের পরমাণু সহজেই ইলেকট্রন ত্যাগ করে দ্বিত বা অষ্টক পূর্ণ করে। এভাবে ইলেকট্রন ত্যাগের মাধ্যমে নিউক্লিয়াসের ধনাত্মক চার্জ এর পরিমাণ বেড়ে যায় এবং ধনাত্মক চার্জযুক্ত পরমাণু বা ক্যাটায়ন এর সৃষ্টি হয়।
১০.Cl অপেক্ষা P এর তড়িৎ ঋণাত্মকতা কম -ব্যাখ্যা কর।
উঃ দুটি পরমাণুর যখন সমযোজী বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে অনুতে পরিণত হয় তখন অনুর পরমাণুগুলো বন্ধনের ইলেকট্রন দুটিকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে; এই আকর্ষণ কে তড়িৎ ঋণাত্মকতা বলে।
একই পর্যায়ের যতবাম থেকে ডানে যাওয়া যায় মৌলের আকার তত কমে, শেয়ারকৃত ইলেকট্রনের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায় ফলে তড়িৎ ঋণাত্মকতা বৃদ্ধি পায়। P ও Cl একই পর্যায়ের মৌল এবং Cl ডানে অবস্থিত হওয়ায় Clএর আকার ছোট তাই তড়িৎ ঋণাত্মকতা বেশি ।অর্থাৎ Clঅপেক্ষা Pএর তড়িৎ ঋণাত্মকতা কম।
১১. একই পদার্থের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক ভিন্ন হয় কেন?
উঃ গলনাংকে কোনোবস্তুর অণুসমূহের আন্তঃআণবিক বল ও অণুসমূহের গতিশক্তি সমান হয়। অন্যদিকে স্ফুটনাঙ্কে কোন বস্তুর অণুসমূহের-এর আন্তঃআণবিক বল অপেক্ষা
গতিশক্তি বেশি হয়। অর্থাৎ বাষ্পীভূত হওয়ার জন্য বস্তুর অণুসমূহের গতিশক্তি বেশি হওয়া দরকার। আর বেশি গতি শক্তি লাভের জন্য বস্তুর অধিক তাপ শক্তির প্রয়োজন হয়। তাই স্ফুটনাংক গলনাঙ্ক অপেক্ষা বেশি হয়। অর্থাৎ একই পদার্থের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক ও ভিন্ন হয়।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, বিএএফ শাহীন কলেজ, কুর্মিটোলা, ঢাকা।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে