বেলাল হোসেন, জাবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ৫০ বছর আগে প্রতিষ্ঠা হলেও এখানে নেই কোনো সাইকিয়াট্রিস্ট (মনোরোগ বিশেষজ্ঞ)। বিশ্ববিদ্যালয়ের কারও মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসার প্রয়োজন হলে মনোবিজ্ঞানীই ভরসা। মানসিক স্বাস্থ্যের উপযুক্ত চিকিৎসা না পেয়ে জটিল সমস্যায় ভোগেন অনেক শিক্ষার্থী।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আবাসিক হলে দুজন করে কাউন্সেলিং কর্মকর্তা প্রয়োজন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে দরকার অন্তত দুজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিটির মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ভারসাম্য পাবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শকেন্দ্রের অধীনে নিয়মিত কাউন্সেলিং সেশন করা উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সভাপতি, সহযোগী অধ্যাপক তাজউদ্দীন শিকদার বলেন, প্রতিটি আবাসিক হলে মনোবিজ্ঞানী ও কাউন্সেলিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া দরকার। প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্রে অন্তত দুজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকা উচিত। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিজের মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, স্বাভাবিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থানকারী মানুষের সংখ্যা ২৬ হাজারের বেশি। যেখানে গত ১০ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন।
বিপুলসংখ্যক মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যাপারে জাবি চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শামছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া হয়নি। গত ১৭ বছরে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়োগের জন্য কোনো পদ সৃষ্টি হয়নি। সেখানে ভালো মানের সাইকিয়াট্রিস্ট বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ পাওয়া অনেক দূরবর্তী বিষয়।’
শামছুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়-সংশ্লিষ্ট বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য সাইকিয়াট্রিস্ট অত্যন্ত জরুরি। এ ছাড়া ভালো মানের সাইকোলজিস্টের প্রয়োজন আছে। যে দু-একজন সাইকোলজিস্ট আছেন, তাঁরা শিক্ষার্থী কল্যাণ বিভাগের অধীনে। অথচ মেডিকেল সেন্টারে একটি পূর্ণাঙ্গ মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করা উচিত। মহামারি-পরবর্তী সময়ে এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা প্রশাসনকে বুঝতে হবে।’
শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শকেন্দ্রের পরিচালক (মনোবিজ্ঞান) ইফরাত জাহান বলেন, ‘মহামারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বিগ্ন ও হতাশা বেড়েছে। যার কারণে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব লক্ষণীয়। আমরা দেখেছি মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শকেন্দ্র ৪১০ জনকে কাউন্সেলিং করেছে। যার মধ্যে ২০ শতাংশ কেস জটিল হওয়ায় সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে রেফার করা হয়।’
ইফরাত জাহান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র দুজন মনোবিজ্ঞানী ও একজন কাউন্সেলিং কর্মকর্তা রয়েছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয় কমিউনিটির জন্য পর্যাপ্ত নয়। আরও বেশি মনোবিজ্ঞানী ও কাউন্সেলিং কর্মকর্তা প্রয়োজন। ক্ষেত্রবিশেষে সাইকিয়াট্রিস্ট বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জরুরি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘বর্তমান বাস্তবতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইকিয়াট্রিস্ট প্রয়োজন, এটা আমরাও স্বীকার করি। কিন্তু এর জন্য অফিশিয়াল প্রসিডিংস আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে থাকে। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ৫০ বছর আগে প্রতিষ্ঠা হলেও এখানে নেই কোনো সাইকিয়াট্রিস্ট (মনোরোগ বিশেষজ্ঞ)। বিশ্ববিদ্যালয়ের কারও মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসার প্রয়োজন হলে মনোবিজ্ঞানীই ভরসা। মানসিক স্বাস্থ্যের উপযুক্ত চিকিৎসা না পেয়ে জটিল সমস্যায় ভোগেন অনেক শিক্ষার্থী।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আবাসিক হলে দুজন করে কাউন্সেলিং কর্মকর্তা প্রয়োজন। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে দরকার অন্তত দুজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিটির মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ভারসাম্য পাবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শকেন্দ্রের অধীনে নিয়মিত কাউন্সেলিং সেশন করা উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সভাপতি, সহযোগী অধ্যাপক তাজউদ্দীন শিকদার বলেন, প্রতিটি আবাসিক হলে মনোবিজ্ঞানী ও কাউন্সেলিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া দরকার। প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্রে অন্তত দুজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকা উচিত। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিজের মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, স্বাভাবিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থানকারী মানুষের সংখ্যা ২৬ হাজারের বেশি। যেখানে গত ১০ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন।
বিপুলসংখ্যক মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যাপারে জাবি চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শামছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, কার্ডিওলজি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া হয়নি। গত ১৭ বছরে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়োগের জন্য কোনো পদ সৃষ্টি হয়নি। সেখানে ভালো মানের সাইকিয়াট্রিস্ট বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ পাওয়া অনেক দূরবর্তী বিষয়।’
শামছুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়-সংশ্লিষ্ট বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য সাইকিয়াট্রিস্ট অত্যন্ত জরুরি। এ ছাড়া ভালো মানের সাইকোলজিস্টের প্রয়োজন আছে। যে দু-একজন সাইকোলজিস্ট আছেন, তাঁরা শিক্ষার্থী কল্যাণ বিভাগের অধীনে। অথচ মেডিকেল সেন্টারে একটি পূর্ণাঙ্গ মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করা উচিত। মহামারি-পরবর্তী সময়ে এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা প্রশাসনকে বুঝতে হবে।’
শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শকেন্দ্রের পরিচালক (মনোবিজ্ঞান) ইফরাত জাহান বলেন, ‘মহামারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বিগ্ন ও হতাশা বেড়েছে। যার কারণে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব লক্ষণীয়। আমরা দেখেছি মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শকেন্দ্র ৪১০ জনকে কাউন্সেলিং করেছে। যার মধ্যে ২০ শতাংশ কেস জটিল হওয়ায় সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে রেফার করা হয়।’
ইফরাত জাহান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র দুজন মনোবিজ্ঞানী ও একজন কাউন্সেলিং কর্মকর্তা রয়েছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয় কমিউনিটির জন্য পর্যাপ্ত নয়। আরও বেশি মনোবিজ্ঞানী ও কাউন্সেলিং কর্মকর্তা প্রয়োজন। ক্ষেত্রবিশেষে সাইকিয়াট্রিস্ট বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জরুরি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, ‘বর্তমান বাস্তবতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইকিয়াট্রিস্ট প্রয়োজন, এটা আমরাও স্বীকার করি। কিন্তু এর জন্য অফিশিয়াল প্রসিডিংস আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে থাকে। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে