শামিমুজ্জামান, খুলনা
খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় পানিসংকট ও লবণাক্ততার কারণে ৯৫ হাজার ৩২৮ হেক্টর জমি অনাবাদি রয়েছে। এ জমির মধ্যে ১২ হাজার ৯৭৯ হেক্টর জমি চাষাবাদের
আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের পরিত্যক্ত জমিও চাষাবাদের আওতায় আনা হচ্ছে।
খুলনা বিভাগের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে দুই অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা অঞ্চলে রয়েছে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও নড়াইল। অন্যদিকে যশোর অঞ্চলে রয়েছে যশোর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা। এই ১০ জেলায় ১২ লাখ ২২ হাজার ৫৫১ হেক্টর আবাদযোগ্য জমি রয়েছে।
এর মধ্যে খুলনা অঞ্চলে মোট চাষযোগ্য জমি ৫ লাখ ২৩ হাজার ৫৯১ হেক্টর। অনাবাদি ৯৫ হাজার ২০৩ হেক্টর। ১২ হাজার ৮৮৪ হেক্টর জমি চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। অপরদিকে যশোর অঞ্চলে মোট চাষযোগ্য জমি ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৯৬০ হেক্টর। অনাবাদি রয়েছে ১২৫ হেক্টর জমি। চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ৯৫ হেক্টর জমি।
ডুমুরিয়া উপজেলার শিবনগর এলাকার কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, ‘লোনা পানির কারণে একসময় আমার অনেক জমি বছরের পর বছর পতিত থাকত। এখন ওই জমিগুলোতে নতুন জাতের ধান চাষ করছি।’ একই উপজেলার বরাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা আলামিন শেখ বলেন, শোভনা, খর্ণিয়া, আটলিয়া, রুদাঘরাসহ প্রতিটি ইউনিয়নে ধান ও শাকসবজির আবাদ অনেক বেড়েছে। এ ছাড়া মৎস্য ঘেরের আইল ও বসতবাড়ির আঙিনায় বেড়েছে সিজন ও অফসিজন সবজির চাষ।
তেরখাদা উপজেলার বাসিন্দা হেমায়েত উদ্দিন বলেন, জলাবদ্ধতা থাকায় এ উপজেলায় অনেক জমি পতিত থাকত। কিন্তু এখন ডোবা বা জলাবদ্ধ বিলে ভাসমান সবজির চাষ হচ্ছে। অনেকে ডোবা-বিলে ঘের করে আইলে সবজির চাষ এবং ঘেরে মাছ ও ধান চাষ করছেন। রূপসা উপজেলার কৃষক হামিদ আলী জানান, তাঁর পাঁচ বিঘা কৃষিজমি রয়েছে। এর মধ্যে দুই বিঘা জমিতে একটি ফসল উৎপাদন করা যেত। এখন অনুকূল পরিবেশ তৈরি হওয়ায় সেখানে দুই-তিনবার ফসল উৎপাদন করা যাচ্ছে। ফলে তিনি লাভবান হচ্ছেন।
খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, লবণাক্ততা ও পানিসংকটের কারণে খুলনা অঞ্চলের জমি অনাবাদি থাকে। এ ছাড়া খুলনার বেশ কিছু সরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ওই সব প্রতিষ্ঠানের জমি অব্যবহৃত রয়েছে।
অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠানে ফাঁকা জমি পড়ে রয়েছে। চলতি মৌসুমে ওই সব অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, নদী এবং খালের পানি এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে সেচ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জমি চাষের জন্য প্রস্তুত শুরু হয়েছে। খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার তেঁতুলতলা এলাকার চাষি সাঈদের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, পানিতে অতর্কিত লবণাক্ততা এবং পানিসংকটের কারণে তাঁর জমি অন্যান্য বছর অনাবাদি পড়ে থাকে। এবার তিনি চাষের জন্য প্রস্তুত করছেন। তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় তিনি জমিতে ফসল করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
খুলনা মহানগরীর পাবলিক হল, খুলনার বন্ধ হওয়া আটটি পাটকলের জমি, খুলনা টেক্সটাইল মিলের জমিতে এবার চাষ করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক। খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের মাঠে এবার সবজি চাষ করা হবে। এ ব্যাপারে দপ্তরের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে এসব জমি চাষ করা হবে।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান জানান, খুলনার বিভাগের অনাবাদি সব জমি চাষের আওতায় আনতে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। সার, বীজ ও কীটনাশক সরবরাহ করা হচ্ছে। সব জমি চাষের আওতায় আনার জন্য কাজ করা হচ্ছে।
খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় পানিসংকট ও লবণাক্ততার কারণে ৯৫ হাজার ৩২৮ হেক্টর জমি অনাবাদি রয়েছে। এ জমির মধ্যে ১২ হাজার ৯৭৯ হেক্টর জমি চাষাবাদের
আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের পরিত্যক্ত জমিও চাষাবাদের আওতায় আনা হচ্ছে।
খুলনা বিভাগের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে দুই অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা অঞ্চলে রয়েছে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও নড়াইল। অন্যদিকে যশোর অঞ্চলে রয়েছে যশোর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা। এই ১০ জেলায় ১২ লাখ ২২ হাজার ৫৫১ হেক্টর আবাদযোগ্য জমি রয়েছে।
এর মধ্যে খুলনা অঞ্চলে মোট চাষযোগ্য জমি ৫ লাখ ২৩ হাজার ৫৯১ হেক্টর। অনাবাদি ৯৫ হাজার ২০৩ হেক্টর। ১২ হাজার ৮৮৪ হেক্টর জমি চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। অপরদিকে যশোর অঞ্চলে মোট চাষযোগ্য জমি ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৯৬০ হেক্টর। অনাবাদি রয়েছে ১২৫ হেক্টর জমি। চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ৯৫ হেক্টর জমি।
ডুমুরিয়া উপজেলার শিবনগর এলাকার কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, ‘লোনা পানির কারণে একসময় আমার অনেক জমি বছরের পর বছর পতিত থাকত। এখন ওই জমিগুলোতে নতুন জাতের ধান চাষ করছি।’ একই উপজেলার বরাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা আলামিন শেখ বলেন, শোভনা, খর্ণিয়া, আটলিয়া, রুদাঘরাসহ প্রতিটি ইউনিয়নে ধান ও শাকসবজির আবাদ অনেক বেড়েছে। এ ছাড়া মৎস্য ঘেরের আইল ও বসতবাড়ির আঙিনায় বেড়েছে সিজন ও অফসিজন সবজির চাষ।
তেরখাদা উপজেলার বাসিন্দা হেমায়েত উদ্দিন বলেন, জলাবদ্ধতা থাকায় এ উপজেলায় অনেক জমি পতিত থাকত। কিন্তু এখন ডোবা বা জলাবদ্ধ বিলে ভাসমান সবজির চাষ হচ্ছে। অনেকে ডোবা-বিলে ঘের করে আইলে সবজির চাষ এবং ঘেরে মাছ ও ধান চাষ করছেন। রূপসা উপজেলার কৃষক হামিদ আলী জানান, তাঁর পাঁচ বিঘা কৃষিজমি রয়েছে। এর মধ্যে দুই বিঘা জমিতে একটি ফসল উৎপাদন করা যেত। এখন অনুকূল পরিবেশ তৈরি হওয়ায় সেখানে দুই-তিনবার ফসল উৎপাদন করা যাচ্ছে। ফলে তিনি লাভবান হচ্ছেন।
খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, লবণাক্ততা ও পানিসংকটের কারণে খুলনা অঞ্চলের জমি অনাবাদি থাকে। এ ছাড়া খুলনার বেশ কিছু সরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ওই সব প্রতিষ্ঠানের জমি অব্যবহৃত রয়েছে।
অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠানে ফাঁকা জমি পড়ে রয়েছে। চলতি মৌসুমে ওই সব অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, নদী এবং খালের পানি এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে সেচ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জমি চাষের জন্য প্রস্তুত শুরু হয়েছে। খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার তেঁতুলতলা এলাকার চাষি সাঈদের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, পানিতে অতর্কিত লবণাক্ততা এবং পানিসংকটের কারণে তাঁর জমি অন্যান্য বছর অনাবাদি পড়ে থাকে। এবার তিনি চাষের জন্য প্রস্তুত করছেন। তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় তিনি জমিতে ফসল করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
খুলনা মহানগরীর পাবলিক হল, খুলনার বন্ধ হওয়া আটটি পাটকলের জমি, খুলনা টেক্সটাইল মিলের জমিতে এবার চাষ করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক। খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের মাঠে এবার সবজি চাষ করা হবে। এ ব্যাপারে দপ্তরের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে এসব জমি চাষ করা হবে।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান জানান, খুলনার বিভাগের অনাবাদি সব জমি চাষের আওতায় আনতে ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। সার, বীজ ও কীটনাশক সরবরাহ করা হচ্ছে। সব জমি চাষের আওতায় আনার জন্য কাজ করা হচ্ছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে