মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা
মোংলা সমুদ্রবন্দর ঘিরে খুলনা অঞ্চলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনা করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি বিমানবন্দরে তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল প্রায় তিন দশক আগে। এ জন্য বাগেরহাটের রামপালে দুই দফায় অনেক জমিও অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু এখন সম্ভাব্যতা যাচাই করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে বিমানবন্দরটি এই মুহূর্তে লাভজনক হবে না। ফলে বিমানবন্দরটি তৈরি না করে প্রকল্পটি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাই চাহিদা থাকার পরও আপাতত বিমানবন্দর পাচ্ছে না খুলনা অঞ্চলের মানুষ।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের কারণে বিভিন্ন এলাকায় বিমানবন্দরের চাহিদা তৈরি হয়েছে। মানুষ এখন স্বাচ্ছন্দ্যে কম সময়ে ভ্রমণ করতে চায়। তবে এখনই দেশে নতুন কোনো বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা সরকারের নেই।’
জানা গেছে, শর্ট টেক অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং বন্দর হিসেবে বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার ফয়লায় খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৯৯৬ সালে। ১৯৯৮ সালে প্রকল্পের জন্য ৪১ দশমিক ৩০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ এবং উন্নয়নকাজ শুরু হয়। ২০১১ সালের ৫ মার্চ খানজাহান আলী বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে আরও ৬২৬ দশমিক ৬৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ২০১৫ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পটির অনুমোদন মেলে। একই বছরের জুলাইয়ে ফের শুরু হয় প্রকল্পটির কাজ। পরে ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রকল্পটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে (পিপিপি) আওতায় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে গ্রহণের জন্য নীতিগত অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে তখন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫৪৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, পিপিপিতে খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে বেবিচক। মূলত, পিপিপির আওতায় তৈরির পর বিমানবন্দরটি কতটা লাভজনক হবে, সেটি যাচাই করা হয়েছে।
গত জানুয়ারিতে বেবিচকের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনাসংক্রান্ত বৈঠকে খানজাহান আলী বিমানবন্দরের বিষয়টি তোলা হয়। বৈঠকে জানানো হয়, সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন অনুযায়ী কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে বিমানবন্দরটি নির্মাণ করে লাভজনক করা সম্ভব হবে না। পরামর্শ হিসেবে বলা হয়, পিপিপিতে নির্মাণ করলে পরবর্তী সময়ে লাভজনক করতে হলে
সরকারের পক্ষ থেকে কিছু ভর্তুকি দিতে হবে অথবা যাত্রীদের প্রতি টিকিটে অতিরিক্ত গুনতে হবে। সব বিবেচনায় প্রকল্পটি আপাতত স্থগিত রাখা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাত্রী চাহিদার ভিত্তিতে দূরত্ব ও সড়কপথের অবস্থা বিবেচনা করে নতুন এবং বন্ধ থাকা বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এ মুহূর্তে নতুন বিমানবন্দর তৈরির পরিবর্তে চালু থাকা বিমানবন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে জোর দেওয়া হয়েছে।’
বর্তমানে দেশে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও পাঁচটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর সচল রয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে আন্তর্জাতিক। আর বরিশাল, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী ও কক্সবাজার হচ্ছে অভ্যন্তরীণ। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ থেকে আন্তর্জাতিক মানে নেওয়া হচ্ছে কক্সবাজার ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর চারটি দেশের সীমানার কাছাকাছি।
তাই এ বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক হিসেবে কৌশলগত সুবিধা নিতে পারে। দেশের আরও পাঁচটি বিমানবন্দর বন্ধ দীর্ঘদিন ধরে। সেগুলো হচ্ছে ঈশ্বরদী, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, শমসেরনগর ও কুমিল্লা বিমানবন্দর। এসব বিমানবন্দর চালু করা যায় কি না সেটি খতিয়ে দেখছে বেবিচক।
বেবিচকের তথ্য বলছে, ১৯৯১ সালে অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী ছিল তিন লাখ। কোভিড মহামারির আগে ২০১৯ সালে ছিল ২৫ লাখ। অন্যদিকে ১৯৯১ সালে আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১১ লাখ, যা ২০১৯ সালে বেড়ে ৮৬ লাখে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯৯ সালে আকাশপথে আনুমানিক ৭০ হাজার মেট্রিক টন কার্গো পরিবহন করা হয়। ২০১৯ সালে এর পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৫৮ হাজার টন। করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে প্রবৃদ্ধি কিছুটা শ্লথ হয়ে আসে।
মোংলা সমুদ্রবন্দর ঘিরে খুলনা অঞ্চলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনা করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি বিমানবন্দরে তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল প্রায় তিন দশক আগে। এ জন্য বাগেরহাটের রামপালে দুই দফায় অনেক জমিও অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু এখন সম্ভাব্যতা যাচাই করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে বিমানবন্দরটি এই মুহূর্তে লাভজনক হবে না। ফলে বিমানবন্দরটি তৈরি না করে প্রকল্পটি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাই চাহিদা থাকার পরও আপাতত বিমানবন্দর পাচ্ছে না খুলনা অঞ্চলের মানুষ।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের কারণে বিভিন্ন এলাকায় বিমানবন্দরের চাহিদা তৈরি হয়েছে। মানুষ এখন স্বাচ্ছন্দ্যে কম সময়ে ভ্রমণ করতে চায়। তবে এখনই দেশে নতুন কোনো বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা সরকারের নেই।’
জানা গেছে, শর্ট টেক অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং বন্দর হিসেবে বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার ফয়লায় খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় ১৯৯৬ সালে। ১৯৯৮ সালে প্রকল্পের জন্য ৪১ দশমিক ৩০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ এবং উন্নয়নকাজ শুরু হয়। ২০১১ সালের ৫ মার্চ খানজাহান আলী বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে আরও ৬২৬ দশমিক ৬৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ২০১৫ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পটির অনুমোদন মেলে। একই বছরের জুলাইয়ে ফের শুরু হয় প্রকল্পটির কাজ। পরে ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রকল্পটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে (পিপিপি) আওতায় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে গ্রহণের জন্য নীতিগত অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে তখন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫৪৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, পিপিপিতে খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে বেবিচক। মূলত, পিপিপির আওতায় তৈরির পর বিমানবন্দরটি কতটা লাভজনক হবে, সেটি যাচাই করা হয়েছে।
গত জানুয়ারিতে বেবিচকের বার্ষিক কর্মপরিকল্পনাসংক্রান্ত বৈঠকে খানজাহান আলী বিমানবন্দরের বিষয়টি তোলা হয়। বৈঠকে জানানো হয়, সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন অনুযায়ী কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে বিমানবন্দরটি নির্মাণ করে লাভজনক করা সম্ভব হবে না। পরামর্শ হিসেবে বলা হয়, পিপিপিতে নির্মাণ করলে পরবর্তী সময়ে লাভজনক করতে হলে
সরকারের পক্ষ থেকে কিছু ভর্তুকি দিতে হবে অথবা যাত্রীদের প্রতি টিকিটে অতিরিক্ত গুনতে হবে। সব বিবেচনায় প্রকল্পটি আপাতত স্থগিত রাখা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এ প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যাত্রী চাহিদার ভিত্তিতে দূরত্ব ও সড়কপথের অবস্থা বিবেচনা করে নতুন এবং বন্ধ থাকা বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এ মুহূর্তে নতুন বিমানবন্দর তৈরির পরিবর্তে চালু থাকা বিমানবন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে জোর দেওয়া হয়েছে।’
বর্তমানে দেশে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও পাঁচটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর সচল রয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে আন্তর্জাতিক। আর বরিশাল, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী ও কক্সবাজার হচ্ছে অভ্যন্তরীণ। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ থেকে আন্তর্জাতিক মানে নেওয়া হচ্ছে কক্সবাজার ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর চারটি দেশের সীমানার কাছাকাছি।
তাই এ বিমানবন্দরটি আন্তর্জাতিক হিসেবে কৌশলগত সুবিধা নিতে পারে। দেশের আরও পাঁচটি বিমানবন্দর বন্ধ দীর্ঘদিন ধরে। সেগুলো হচ্ছে ঈশ্বরদী, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, শমসেরনগর ও কুমিল্লা বিমানবন্দর। এসব বিমানবন্দর চালু করা যায় কি না সেটি খতিয়ে দেখছে বেবিচক।
বেবিচকের তথ্য বলছে, ১৯৯১ সালে অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী ছিল তিন লাখ। কোভিড মহামারির আগে ২০১৯ সালে ছিল ২৫ লাখ। অন্যদিকে ১৯৯১ সালে আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১১ লাখ, যা ২০১৯ সালে বেড়ে ৮৬ লাখে দাঁড়িয়েছে। ১৯৯৯ সালে আকাশপথে আনুমানিক ৭০ হাজার মেট্রিক টন কার্গো পরিবহন করা হয়। ২০১৯ সালে এর পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৫৮ হাজার টন। করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে প্রবৃদ্ধি কিছুটা শ্লথ হয়ে আসে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২০ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে