কুমিল্লার দেবিদ্বারে ইউপি নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় আসামিরা জামিনে বেরিয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মামলা না তুলে নিলে বাদীকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। এজন্য গত মঙ্গলবার রাতে বাদী মো. ইউনুস মিয়া এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ইউছুফপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে ৯ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত সদস্য আনোয়ার হোসেন বিজয় মিছিল নিয়ে পাশের বাড়ির পরাজিত সদস্য প্রার্থী আবুল কালামের সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পাঁচজন নারী-পুরুষকে গুরুতর আহত করেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাঁরা জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।

ওই ঘটনায় পরদিন সাবেক সদস্য আবুল কালামের চাচা মো. ইউনুস মিয়া বাদী হয়ে ২১ জনকে আসামি করে দেবিদ্বার থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে আসামিরা জামিনে এসে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন।

মামলার বাদী মো. ইউনুস মিয়া বলেন, ‘বিজয়ী আনোয়ার মিয়ার পরিবারের সদস্যরা নির্বাচনী পূর্বশত্রুতার জের ধরে আমার ভাতিজা আবুল কালামের বাড়িতে এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় কুপিয়ে আমার ভাতিজাসহ পাঁচজনকে আহত করে। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় মামলা করি।ওই মামলার আসামিরা জামিনে এসে আমাকে মামলা তুলে নিতে আনোয়ার ও দেলোয়ার হোসেন দেলু হুমকি দিয়ে আসছে এবং মামলা তুলে না নিলে প্রাণনাশেরও হুমকি দেন। আমি আটজনকে অভিযুক্ত করে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে দেবিদ্বার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। বর্তমান আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।’

দেবিদ্বার থানার এসআই সোহেল রানা বলেন, ‘উপজেলার ইউছুফপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার ঘটনার মামলার বাদী ইউনুস মিয়াকে বিবাদী পক্ষের লোকজন হুমকি-দমকি দেওয়ার বিষয়ে গতকাল বিকেলে থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’