আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা লাভলী বেগম। ছেলের জন্মনিবন্ধন সংশোধনের জন্য তিন দিন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়েছেন। তিন দিন যেতে হয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। এভাবে ঘোরার পর গত বৃহস্পতিবার তিনি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দপ্তরে বসে ছিলেন, কাউন্সিলর এলে স্বাক্ষর করা সনদ পাবেন বলে।
চট্টগ্রামে জন্মনিবন্ধন সংশোধন নিয়ে এমন বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা। এক অফিস থেকে অন্য অফিসে ধরনা দিয়েও সমাধান পাচ্ছেন না আবেদনকারীরা। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এই ভোগান্তি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, আগে ওয়ার্ড অফিসে গেলেই জন্মনিবন্ধন ও সংশোধন করা যেত। এখন ইউএনও কার্যালয় থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে পর্যন্ত ধরনা দিতে হচ্ছে।
জানা গেছে, গত বছরের শেষের দিকে সার্ভার জটিলতায় কিছুদিন স্বয়ংক্রিয় জন্মনিবন্ধন বন্ধ ছিল। পরে নতুন সার্ভার চালু করার পর মাস খানেক ধরে ভোগান্তি কিছুটা লাঘব হয়েছে। কিন্তু জন্মনিবন্ধনের তথ্য সংশোধন দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না। সম্প্রতি ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন স্কুল ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় অভিভাবকেরা ছুটছেন অফিস থেকে অফিসে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমান জন্মনিবন্ধনের সার্ভারটি স্বয়ংক্রিয়। কিন্তু জন্মনিবন্ধনের সংশোধনের নিয়মটা আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকানো। ফলে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন। আগে সংশোধনের জন্য সিটি করপোরেশনের নিজ ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভায় সংশোধন করা যেত। নতুন নিয়মে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে সংশোধনের আবেদন করলে তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) শুনানি সাপেক্ষে সংশোধন করা যায়।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. ওসমান ভূঁইয়া বলেন, ‘সারা দেশে জন্মনিবন্ধন সংশোধনে সাধারণ মানুষ কিছুটা ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন। তবে আমাদের চিন্তাভাবনা আছে, যাতে আরও সহজ করা যায়।’ তিনি জানান, বর্তমানে জন্মনিবন্ধন সংশোধনে ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভাকে ইউএনও কার্যালয় এবং সিটি করপোরেশনকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালকের (ডিডিএলজি) কার্যালয়ের অনুমোদন নিতে হয়।
গত বৃহস্পতিবার চসিক ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ড থেকে আসা সাবিনা ইয়াসমিন জানান, তাঁর মেয়ের জন্মনিবন্ধন সংশোধনের জন্য প্রায় দেড় মাস আগে আবেদন করে গত ২ ডিসেম্বর পেয়েছেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. নাজমুল হক ডিউক জানান, ৪৫ দিন পর জন্মনিবন্ধন সংশোধন করতে হলে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালকের অনুমোদন নিতে হয়।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহিদুল আলম বলেন, ‘সাধারণ মানুষের মতো আমরাও কষ্টে আছি। প্রতিদিন অনেক লোক আসেন জন্মনিবন্ধন সংশোধনের জন্য। এ কাজেও আমাদের সময় দিতে হয়।’
চলতি বছরের ১৮ আগস্ট জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্ট্রার জেনারেলের জারি করা নির্দেশিকা থেকে জানা গেছে, বিভাগীয় পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যবিশিষ্ট, জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট, সিটি করপোরেশনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ১০ সদস্য, উপজেলা পর্যায়ে ১৬ সদস্য ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ৭ সদস্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স রয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা লাভলী বেগম। ছেলের জন্মনিবন্ধন সংশোধনের জন্য তিন দিন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়েছেন। তিন দিন যেতে হয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। এভাবে ঘোরার পর গত বৃহস্পতিবার তিনি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দপ্তরে বসে ছিলেন, কাউন্সিলর এলে স্বাক্ষর করা সনদ পাবেন বলে।
চট্টগ্রামে জন্মনিবন্ধন সংশোধন নিয়ে এমন বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা। এক অফিস থেকে অন্য অফিসে ধরনা দিয়েও সমাধান পাচ্ছেন না আবেদনকারীরা। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এই ভোগান্তি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, আগে ওয়ার্ড অফিসে গেলেই জন্মনিবন্ধন ও সংশোধন করা যেত। এখন ইউএনও কার্যালয় থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে পর্যন্ত ধরনা দিতে হচ্ছে।
জানা গেছে, গত বছরের শেষের দিকে সার্ভার জটিলতায় কিছুদিন স্বয়ংক্রিয় জন্মনিবন্ধন বন্ধ ছিল। পরে নতুন সার্ভার চালু করার পর মাস খানেক ধরে ভোগান্তি কিছুটা লাঘব হয়েছে। কিন্তু জন্মনিবন্ধনের তথ্য সংশোধন দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না। সম্প্রতি ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন স্কুল ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় অভিভাবকেরা ছুটছেন অফিস থেকে অফিসে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমান জন্মনিবন্ধনের সার্ভারটি স্বয়ংক্রিয়। কিন্তু জন্মনিবন্ধনের সংশোধনের নিয়মটা আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকানো। ফলে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন। আগে সংশোধনের জন্য সিটি করপোরেশনের নিজ ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভায় সংশোধন করা যেত। নতুন নিয়মে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে সংশোধনের আবেদন করলে তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) শুনানি সাপেক্ষে সংশোধন করা যায়।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. ওসমান ভূঁইয়া বলেন, ‘সারা দেশে জন্মনিবন্ধন সংশোধনে সাধারণ মানুষ কিছুটা ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন। তবে আমাদের চিন্তাভাবনা আছে, যাতে আরও সহজ করা যায়।’ তিনি জানান, বর্তমানে জন্মনিবন্ধন সংশোধনে ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভাকে ইউএনও কার্যালয় এবং সিটি করপোরেশনকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালকের (ডিডিএলজি) কার্যালয়ের অনুমোদন নিতে হয়।
গত বৃহস্পতিবার চসিক ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ড থেকে আসা সাবিনা ইয়াসমিন জানান, তাঁর মেয়ের জন্মনিবন্ধন সংশোধনের জন্য প্রায় দেড় মাস আগে আবেদন করে গত ২ ডিসেম্বর পেয়েছেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. নাজমুল হক ডিউক জানান, ৪৫ দিন পর জন্মনিবন্ধন সংশোধন করতে হলে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালকের অনুমোদন নিতে হয়।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহিদুল আলম বলেন, ‘সাধারণ মানুষের মতো আমরাও কষ্টে আছি। প্রতিদিন অনেক লোক আসেন জন্মনিবন্ধন সংশোধনের জন্য। এ কাজেও আমাদের সময় দিতে হয়।’
চলতি বছরের ১৮ আগস্ট জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্ট্রার জেনারেলের জারি করা নির্দেশিকা থেকে জানা গেছে, বিভাগীয় পর্যায়ে বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যবিশিষ্ট, জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট, সিটি করপোরেশনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ১০ সদস্য, উপজেলা পর্যায়ে ১৬ সদস্য ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ৭ সদস্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স রয়েছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে