জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ১২টি ভাষায় কবিতা পাঠ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। গত শুক্রবার বিকেলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই কবিতা পাঠের উদ্বোধন করেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। উদ্বোধনী বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে নিজের দুটি কবিতা পাঠ করেন কবি।

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি এর আয়োজন করে। ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষার কবিতায় বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক কবিতা পাঠ, আবৃত্তি ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। সভাপতিত্ব করেন বিরিশিরি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক গীতিকার সুজন হাজং।

বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর ১২টি ভাষায় কবিতা পাঠ করেন চাকমা ভাষার কবি মৃত্তিকা চাকমা, মণিপুরি ভাষার কবি এ কে শেরাম, ত্রিপুরা ভাষার কবি বরেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, গারো ভাষার কবি মতেন্দ্র মানখিন, রাখাইন ভাষার কবি মং এখেন মংমং, সাঁওতাল ভাষার কবি সুবোধ এম বাস্কে, মারমা ভাষার কবি রিপ্রুচাই মারমা, কোচ ভাষার কবি যুগলকিশোর কোচ, কুডুখ ভাষার কবি স্বপন এক্কা, হাজং ভাষার কবি সোহেল হাজং, বানাই ভাষার কবি রিপন বানাই এবং সাদ্রী ভাষার কবি সনজিৎ কুমার সিংহ। 
মালা মার্থা আরেংয়ের সঞ্চালনায় কবি নির্মলেন্দু গুণের বিখ্যাত কবিতা ‘আজ আমি কারো রক্ত চাইতে আসিনি’  চাকমা ভাষায় আবৃত্তি করেন আনন্দ জ্যোতি চাকমা ও ইংরেজি ভাষায় আবৃত্তি করেন কবি আনিস মুহম্মদ, কবি মুহাম্মদ সামাদের ‘মুজিব’ কবিতাটি ত্রিপুরা ভাষায় আবৃত্তি করেন লীনা ত্রিপুরা, হাজং ভাষায় কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদার ‘টুঙ্গীপাড়ার খোকা বাবু’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন রীতাশ্রী হাজং।

সংস্কৃতি সচিব বলেন, একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে ও  পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর হাজং, গারো ও অন্য জাতিসত্তার সদস্যরা। 
আজকে তাদের নিজস্ব ভাষার কবিতায় বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধানিবেদনই প্রমাণ করে আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শোকের মাসে এরকম একটি আয়োজনে যুক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত।

প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদাসহ অনেকে।