সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের দুই উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছে। সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার ১৭টি ইউপিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুজন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের পাঁচ বিদ্রোহী প্রার্থী, জাতীয় পার্টির দুই, ও বিএনপির পাঁচসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। নৌকার এমন পরাজয়ে দলের মধ্যে সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করছেন জেলার একাধিক নেতা।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম বলছেন ভিন্ন কথা। দীর্ঘদিন ধরে সুনামগঞ্জ সদরে আওয়ামী লীগের কোনো সাংসদ না থাকায় তৃণমূলে সমর্থন কমেছে। তারই ফল ইউপি নির্বাচনে পড়েছে। তিনি বলেন, সুনামগঞ্জ সদরে দীর্ঘদিন বিএনপি নেতা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। এ ছাড়া চার মেয়াদে আওয়ামী লীগের কোনো সাংসদ নেই সদরে। এই অবস্থায় সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তৃণমূল সমর্থকরাও দলের প্রতি বিমুখ। নতুন কর্মীও তৈরি হচ্ছে না। এসব বিষয় কেন্দ্রের দায়িত্বশীলদের অবহিত করা হয়েছে। এসব কারণে নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের পরাজয় হয়েছে।
তবে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের এমন ভরাডুবিতে জেলার নেতারা একে অন্যের ওপর দায় চাপাচ্ছেন। সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক সেলিম আহমেদ বলেন, নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-কোন্দলের কারণে নৌকার অবমাননা হচ্ছে। বিদ্রোহীরা জয়ী হয়েছেন। কাউকে দোষারোপ করে লাভ নেই। সর্বপ্রথম নিজেদের ইমান ঠিক করতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল হুদা মুকুট বলেন, নৌকার এমন ভরাডুবির একমাত্র কারণ দলের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব। জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাঁদের পছন্দমতো অযোগ্য প্রার্থীর হাতে নৌকা তুলে দিয়েছেন। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলা কমিটির সবার সম্মতিতে প্রার্থী বাছাই করা দরকার। কিন্তু এই ক্ষেত্রে তা করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার ইউপি নির্বাচনের ফলাফল দেখে শিক্ষা নেওয়া উচিত। ভবিষ্যতে যেসব ইউপিতে নির্বাচন রয়েছে, সেগুলোতে যেন যোগ্যদের হাতে নৌকা তুলে দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে জেলা কমিটির সবার মতামত নেওয়া জরুরি। তাহলে এমন ভরাডুবি হবে না।
তবে দীর্ঘদিন সুনামগঞ্জ সদরে আওয়ামী লীগের কোনো সাংসদ না থাকাও নৌকাডুবির কারণ বলে স্বীকার করছেন নুরুল হুদা মুকুট।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন বলেন, দল মনোনীত প্রার্থীদের বাইরেও প্রতিটা ইউপিতে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল। ফলে নৌকার ভোট ভাগ হয়ে গেছে। এ জন্যই আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। তবে তিনিও দলের সমন্বয়হীনতার কথা স্বীকার করেছেন। এনামুল কবির ইমন বলেন, ‘আমাদের মধ্যেও সমন্বয়ের কিছু অভাব রয়েছে। শীর্ষস্থানীয় নেতারা নৌকার প্রার্থীদের জন্য ভোট চাননি। নির্বাচনী মাঠে কাজ করেননি।
১৭ ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত জগলুল হায়দার ও রিয়াজুল ইসলাম জয়ী হয়েছেন। বিএনপি দলগতভাবে নির্বাচন করেনি। তবে দলটির নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইউপি নির্বাচনে মাঠে ছিলেন। বিএনপির ৫ প্রার্থী ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁরা হলেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউপিতে আব্দুল ওয়াদুদ, মোল্লাপাড়ায় মো. নুরুল হক, রঙ্গারছর ইউপিতে মো. আব্দুল হাই, শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউপিতে সুফি মিয়া ও পশ্চিম বীরগাঁও ইউপিতে লুৎফুর রহমান জায়গীরদার খোকন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান হয়েছেন শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউপিতে মাসুক মিয়া ও সদর উপজেলার কোরবাননগর ইউপিতে মো. আবুল বরকত।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী পাঁচ প্রার্থী চেয়ারম্যান হয়েছেন। তাঁরা হলেন মোহনপুর ইউপিতে মো. মঈন উল হক, সুরমায় আমির হোসেন রেজা, পাথারিয়ায় শহীদুল ইসলাম, জয়কলসে আব্দুল বাছিত সুজন ও শিমুলবাক ইউপিতে শাহীনুর রহমান। আর জাতীয় পার্টি থেকে চেয়ারম্যান হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর ইউপিতে রশিদ আহম্মেদ ও গৌরারং ইউপিতে মো. শওকত আলী।
সুনামগঞ্জের দুই উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হয়েছে। সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার ১৭টি ইউপিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুজন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের পাঁচ বিদ্রোহী প্রার্থী, জাতীয় পার্টির দুই, ও বিএনপির পাঁচসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। নৌকার এমন পরাজয়ে দলের মধ্যে সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করছেন জেলার একাধিক নেতা।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম বলছেন ভিন্ন কথা। দীর্ঘদিন ধরে সুনামগঞ্জ সদরে আওয়ামী লীগের কোনো সাংসদ না থাকায় তৃণমূলে সমর্থন কমেছে। তারই ফল ইউপি নির্বাচনে পড়েছে। তিনি বলেন, সুনামগঞ্জ সদরে দীর্ঘদিন বিএনপি নেতা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। এ ছাড়া চার মেয়াদে আওয়ামী লীগের কোনো সাংসদ নেই সদরে। এই অবস্থায় সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তৃণমূল সমর্থকরাও দলের প্রতি বিমুখ। নতুন কর্মীও তৈরি হচ্ছে না। এসব বিষয় কেন্দ্রের দায়িত্বশীলদের অবহিত করা হয়েছে। এসব কারণে নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের পরাজয় হয়েছে।
তবে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের এমন ভরাডুবিতে জেলার নেতারা একে অন্যের ওপর দায় চাপাচ্ছেন। সুনামগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক সেলিম আহমেদ বলেন, নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-কোন্দলের কারণে নৌকার অবমাননা হচ্ছে। বিদ্রোহীরা জয়ী হয়েছেন। কাউকে দোষারোপ করে লাভ নেই। সর্বপ্রথম নিজেদের ইমান ঠিক করতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নুরুল হুদা মুকুট বলেন, নৌকার এমন ভরাডুবির একমাত্র কারণ দলের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব। জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাঁদের পছন্দমতো অযোগ্য প্রার্থীর হাতে নৌকা তুলে দিয়েছেন। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলা কমিটির সবার সম্মতিতে প্রার্থী বাছাই করা দরকার। কিন্তু এই ক্ষেত্রে তা করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার ইউপি নির্বাচনের ফলাফল দেখে শিক্ষা নেওয়া উচিত। ভবিষ্যতে যেসব ইউপিতে নির্বাচন রয়েছে, সেগুলোতে যেন যোগ্যদের হাতে নৌকা তুলে দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে জেলা কমিটির সবার মতামত নেওয়া জরুরি। তাহলে এমন ভরাডুবি হবে না।
তবে দীর্ঘদিন সুনামগঞ্জ সদরে আওয়ামী লীগের কোনো সাংসদ না থাকাও নৌকাডুবির কারণ বলে স্বীকার করছেন নুরুল হুদা মুকুট।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন বলেন, দল মনোনীত প্রার্থীদের বাইরেও প্রতিটা ইউপিতে একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল। ফলে নৌকার ভোট ভাগ হয়ে গেছে। এ জন্যই আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। তবে তিনিও দলের সমন্বয়হীনতার কথা স্বীকার করেছেন। এনামুল কবির ইমন বলেন, ‘আমাদের মধ্যেও সমন্বয়ের কিছু অভাব রয়েছে। শীর্ষস্থানীয় নেতারা নৌকার প্রার্থীদের জন্য ভোট চাননি। নির্বাচনী মাঠে কাজ করেননি।
১৭ ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত জগলুল হায়দার ও রিয়াজুল ইসলাম জয়ী হয়েছেন। বিএনপি দলগতভাবে নির্বাচন করেনি। তবে দলটির নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইউপি নির্বাচনে মাঠে ছিলেন। বিএনপির ৫ প্রার্থী ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁরা হলেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউপিতে আব্দুল ওয়াদুদ, মোল্লাপাড়ায় মো. নুরুল হক, রঙ্গারছর ইউপিতে মো. আব্দুল হাই, শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপাশা ইউপিতে সুফি মিয়া ও পশ্চিম বীরগাঁও ইউপিতে লুৎফুর রহমান জায়গীরদার খোকন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান হয়েছেন শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পাগলা ইউপিতে মাসুক মিয়া ও সদর উপজেলার কোরবাননগর ইউপিতে মো. আবুল বরকত।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী পাঁচ প্রার্থী চেয়ারম্যান হয়েছেন। তাঁরা হলেন মোহনপুর ইউপিতে মো. মঈন উল হক, সুরমায় আমির হোসেন রেজা, পাথারিয়ায় শহীদুল ইসলাম, জয়কলসে আব্দুল বাছিত সুজন ও শিমুলবাক ইউপিতে শাহীনুর রহমান। আর জাতীয় পার্টি থেকে চেয়ারম্যান হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর ইউপিতে রশিদ আহম্মেদ ও গৌরারং ইউপিতে মো. শওকত আলী।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে