চাঁদা না দেওয়ায় সেচ বন্ধ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৭: ১০
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৫: ২৮

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে গভীর নলকূপের অপারেটর চাঁদা না দেওয়ায় সেচকাজ বন্ধ রেখেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তি। তিন মাস আগে নাচোল থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো প্রতিকার পাননি অপারেটর। এ ঘটনায় সেচকাজ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ কৃষক।

তবে এ নিয়ে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) আগামী সোমবার একটি শুনানির দিন ধার্য করেছে।

অভিযোগে জানা গেছে, নাচোল উপজেলার ভবানীপুর মৌজায় বিএমডিএর আওতাধীন ২ নম্বর গভীর নলকূপের ২০১৯ সালে অপারেটর হিসেবে জেলার গোবড়াতলা ইউপির ধাইনগর গ্রামের মনিরুল ইসলাম নিয়োগ পান। গত বছরের ১৫ নভেম্বর ধাইনগর এলাকার তাজেবুর রহমান, এনামুল, মোহাব্বত আলী অপারেটর মনিরুলের কাছে অযৌক্তিকভাবে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মনিরুলকে ডিপের সেচকাজ বন্ধ রাখতে বলেন তাজেবুর রহমান।

মনিরুল ইসলাম পরের দিন ডিপ চালু করলে তাজেবুর রহমান (তুফানি) দেশি অস্ত্র নিয়ে ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পর অপারেটর মনিরুল ইসলাম তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নাচোল বিএমডিএ কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ মনিরুল ইসলামকে সেচকাজ চলমান রাখার নির্দেশ দেয়।

এক সপ্তাহ আগে মনিরুল বোরো বীজতলায় সেচ দিতে গেলে তাজেবুর আবারও মনিরুল ইসলামের কাছে চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা না দেওয়ায় তাজেবুর রহমান গভীর নলকূপের সেচকাজ বন্ধ করে দেন। বর্তমানে ওই নলকূপে সেচকাজ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ কৃষকেরা।

এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর তাজেবুর রহমান ডিপের ঘরে প্রবেশ করে ডিপের হিসাবের খাতা, ডিপের মিটার ভাঙচুরসহ ৩০ হাজার টাকা জোর করে মনিরুলের কাছ থেকে নিয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে নাচোল থানায় এ নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ডিপ অপারেটর মনিরুল ইসলাম।

এ বিষয়ে ডিপ অপারেটর মনিরুল ইসলাম বলেন, তাজেবুর রহমান তুফানসহ তাঁর লোকজন চাঁদা দাবি করেন তাঁর কাছে। তিনি চাঁদা না দেওয়ায় ডিপের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন তাজেবুর।

এ বিষয়ে ভবানীপুর মৌজার কৃষক জালাল উদ্দিন বলেন, তাজেবুর রহমান অন্যায়ভাবে মনিরুল ইসলামের ওপর অত্যাচার করছে। পুনরায় ডিপের চালক হওয়ার জন্য নানা টালবাহানা করছে তাজেবুর রহমান তুফানি।

তাজেবুর রহমান তুফানি বলেন, মনিরুল ইসলাম সঠিকভাবে ডিপের আয়-ব্যয় দেখাতে পারছেন না। তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি করছি।’

এ বিষয়ে মহব্বত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এর আগে ওই ডিপের অপারেটর ছিল আমার ছেলে কসিমুউদ্দিন দুলাল। আমার ছেলে সেই সময় ডিপের ব্যাটারি বাবদ ২০ হাজার টাকা পায়। কিন্তু সেই টাকা না দেওয়ায় কিছু ঝামেলা চলছে।

এ বিষয়ে নাচোল বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী শাহ মুনজুরুল আলম বলেন, শুনানির জন্য আগামী সোমবার উভয় পক্ষকে ডাকা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত