এক দিনপরই ইংরেজি নববর্ষ। নববর্ষে পর্যটক-দর্শনার্থীদের বরণ করতে প্রস্তুত সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা। থার্টি ফার্স্ট নাইটে পর্যটকদের পদভারে মুখর হলে করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

প্রতি বছর শীতের আগমনে পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। বিজয় দিবস, বড়দিন, ইংরেজি নববর্ষের আনন্দ উপভোগ করতে দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা আসেন এখানে। এবারও পর্যটন মৌসুম শুরু হয়েছে। এবার আগত পর্যটকদের বিনোদনে যুক্ত হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার একর আয়তন নিয়ে বঙ্গোপসাগরের অথৈ জলে জেগে ওঠা চর বিজয় এবং সুন্দরবনে নৌ-ভ্রমণ।

কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত উপভোগে আসা আট হাজার পর্যটকদের রাতযাপনের জন্য ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। তবে পর্যটক বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগকারীরাও প্রতিনিয়ত আসতে শুরু করেছেন কুয়াকাটায়। থার্টি-ফাস্ট নাইটে এ বছর কাঙ্ক্ষিত পর্যটকের আশা ব্যবসায়ীদের। কাঙ্ক্ষিত পর্যটক আগমন ঘটলে করোনার দুই বছরের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আসা ব্যবসায়ীদের। হোটেল-মোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশন কুয়াকাটার সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, ‘কুয়াকাটায় সর্বমোট ১৬০টি আবাসিক হোটেল-মোটেল রয়েছে। অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে আমাদের। এখন পর্যটক আসছে কুয়াকাটা আগের মতো উৎসবে পরিণত হচ্ছে। আমাদের ও ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ হয়েছে।’

মোতালেব শরীফ বলেন, ‘পর্যটকদের জন্য দর্শনীয় স্থানে সাইট ট্যুর, পর্যটকদের অ্যাভিয়েশন এবং যাতায়াত ব্যবস্থার কাউন্টার সহজ করলে কক্সবাজারের সঙ্গে তুলনামূলক আগাতে পারবে কুয়াকাটা।’

কুয়াকাটা পর্যটন মোটেল অ্যান্ড ইয়ুথ ইনের পরিচালক শাহজাহান কবির বলেন, ‘আমাদের পর্যটন মোটেলে ৮০টির ওপরে কক্ষ রয়েছে সেগুলো আগেই অগ্রিম বুকিং হয়েছে। এখন অনেক ফোন আসছে, কিন্তু কাউকে রুম দিতে পারছি না।’

কুয়াকাটা জোন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল খালেক বলেন, ‘সৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণে ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।’