আজকের পত্রিকা ডেস্ক
সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন গালফ রাষ্ট্রসমূহ, ইসরায়েল, মিসর ও তুরস্কের সঙ্গে সমন্বয় করেই প্রায় সাত দশক ধরে পরিচালিত হয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক নীতি। গত কয়েক বছরে সেই সমন্বয়ে ফাটল ধরেছে। রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলার পর তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার হামলাকে নিন্দা করে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এ পর্যন্ত চারটা নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়েছে, ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশ সেই সব প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। তবে দুবার প্রস্তাবের পক্ষে, দুবার বিপক্ষে ভোট দিয়ে ভারসাম্য রক্ষা করে ইউএইও। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ওই অঞ্চলের ইসরায়েল ছাড়া কোনো দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞাও নামমাত্র।
মধ্যপ্রাচ্যের যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের এভাবে অবন্ধুসুলভ হয়ে ওঠার কারণ অনুসন্ধান করা হয়েছে এশিয়া টাইমসের এক বিশ্লেষণে। জন পি রুহেলের সেই বিশ্লেষণে বলা হয়, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা (২০০৯-২০১৭) যুগে যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যপ্রাচ্যনীতি একটা নতুন পর্বে প্রবেশ করে। ডোনাল্ড ট্রাম্প (২০১৭-২০২০) এসে তা খানিকটা উল্টে দেয়। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (২০২১-) প্রশাসন আগের ২টার মধ্যে সমন্বয় না করে একটা নতুন পর্বে ঢোকার চেষ্টা করে।
আর ওবামা যুগ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক, সামরিক, নিরাপত্তাবিষয়ক সম্পর্ক জোরদার করে রাশিয়া ও চীন। অর্থাৎ সৌদি আরব, ইউএই, ইসরায়েল, ইরান, সিরিয়া, তুরস্কসহ ওই অঞ্চলের দেশগুলো এককভাবে মার্কিন নির্ভরতা কমিয়ে, নিজেদের নিরাপত্তা ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বহুমুখী করে।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন, রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ইরান পরমাণু চুক্তি হয়, যা জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিব প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসেপিওএ) নামে পরিচিত। ওবামা প্রশাসনের নেতৃত্বে সম্পাদিত ওই চুক্তি রিয়াদ, তেল আবিব, দুবাইসহ ওই অঞ্চলের দেশগুলোকে উদ্বিগ্ন করে। কারণ, এতে করে আন্তর্জাতিক বাজারে তেহরানের লেনদেন বাড়বে, যা মধ্যপ্রাচ্যে দেশটিকে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে সহায়তা করবে। ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়েও ইসরায়েলের সঙ্গে ওবামা প্রশাসনের সম্পর্ক আন্তরিকতাশূন্য হয়ে পড়ে।
অবশ্যই ট্রাম্প প্রশাসন ইরান চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে বেরিয়ে যায়, যা এখন পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন বাইডেন। জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী মেনে নেন ট্রাম্প। কিন্তু ইতিমধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়ে নেয় ইসরায়েল।
বাইডেন প্রশাসন সম্পর্কিত পড়ুন:
সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন গালফ রাষ্ট্রসমূহ, ইসরায়েল, মিসর ও তুরস্কের সঙ্গে সমন্বয় করেই প্রায় সাত দশক ধরে পরিচালিত হয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক নীতি। গত কয়েক বছরে সেই সমন্বয়ে ফাটল ধরেছে। রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলার পর তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার হামলাকে নিন্দা করে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এ পর্যন্ত চারটা নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়েছে, ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশ সেই সব প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। তবে দুবার প্রস্তাবের পক্ষে, দুবার বিপক্ষে ভোট দিয়ে ভারসাম্য রক্ষা করে ইউএইও। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ওই অঞ্চলের ইসরায়েল ছাড়া কোনো দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞাও নামমাত্র।
মধ্যপ্রাচ্যের যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের এভাবে অবন্ধুসুলভ হয়ে ওঠার কারণ অনুসন্ধান করা হয়েছে এশিয়া টাইমসের এক বিশ্লেষণে। জন পি রুহেলের সেই বিশ্লেষণে বলা হয়, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা (২০০৯-২০১৭) যুগে যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যপ্রাচ্যনীতি একটা নতুন পর্বে প্রবেশ করে। ডোনাল্ড ট্রাম্প (২০১৭-২০২০) এসে তা খানিকটা উল্টে দেয়। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (২০২১-) প্রশাসন আগের ২টার মধ্যে সমন্বয় না করে একটা নতুন পর্বে ঢোকার চেষ্টা করে।
আর ওবামা যুগ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক, সামরিক, নিরাপত্তাবিষয়ক সম্পর্ক জোরদার করে রাশিয়া ও চীন। অর্থাৎ সৌদি আরব, ইউএই, ইসরায়েল, ইরান, সিরিয়া, তুরস্কসহ ওই অঞ্চলের দেশগুলো এককভাবে মার্কিন নির্ভরতা কমিয়ে, নিজেদের নিরাপত্তা ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বহুমুখী করে।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন, রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ইরান পরমাণু চুক্তি হয়, যা জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিব প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসেপিওএ) নামে পরিচিত। ওবামা প্রশাসনের নেতৃত্বে সম্পাদিত ওই চুক্তি রিয়াদ, তেল আবিব, দুবাইসহ ওই অঞ্চলের দেশগুলোকে উদ্বিগ্ন করে। কারণ, এতে করে আন্তর্জাতিক বাজারে তেহরানের লেনদেন বাড়বে, যা মধ্যপ্রাচ্যে দেশটিকে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে সহায়তা করবে। ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়েও ইসরায়েলের সঙ্গে ওবামা প্রশাসনের সম্পর্ক আন্তরিকতাশূন্য হয়ে পড়ে।
অবশ্যই ট্রাম্প প্রশাসন ইরান চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে বেরিয়ে যায়, যা এখন পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন বাইডেন। জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী মেনে নেন ট্রাম্প। কিন্তু ইতিমধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়ে নেয় ইসরায়েল।
বাইডেন প্রশাসন সম্পর্কিত পড়ুন:
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৮ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৮ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৮ দিন আগে