মিজানুর রহমান, তানোর
দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদার চেয়ে তিন থেকে চার লাখ টন কম উৎপাদিত হয়। সংরক্ষণের সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবেও নষ্ট হয় পেঁয়াজ। এই ঘাটতি মেটাতে বিদেশ থেকে করতে হয় আমদানি। রবি মৌসুমে অন্য ফসল বাদ দিয়ে পেঁয়াজের আবাদ বাড়ানো সম্ভব নয়, তাই সরকার গ্রীষ্মকাল অর্থাৎ খরিপ মৌসুমে পেঁয়াজ আবাদের কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
এই পেঁয়াজ চাষ করে ভালো ফলন পাচ্ছেন বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকেরা। মসলাজাতীয় ফসল পেঁয়াজ চাষে ঘুরছে অনেক কৃষকের ভাগ্যের চাকা।
রাজশাহীর তানোরের কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় খরিপ মৌসুমে দুই ধাপে মোট ১৫০ জন কৃষককে পেঁয়াজবীজ ও উপকরণ সরবরাহ করা হয়। সেই সঙ্গে ২০২২-২৩ অর্থবছরের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় জমিতে চাষ, সার প্রয়োগসহ সার্বিক বিষয়ে ব্যয় নির্বাহ করতে কৃষকদের ২ হাজার ৮০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এরপর চারা রোপণের পর অন্যান্য সহযোগিতা দিয়ে যায় কৃষি বিভাগ। এতে আলোর মুখ দেখতে শুরু করে প্রকল্পটি।
কৃষি বিভাগ জানায়, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ বৃদ্ধি করে আমদানিনির্ভরতা কমাতে তারা কাজ করে যাচ্ছে। তাদের সার্বিক সহযোগিতায় উৎপাদিত গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আকার, স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিমান অনেক উন্নত।
উপজেলার কলমা ইউনিয়নের পেঁয়াজচাষি আব্দুর রহিম বলেন, জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজে এখন গুটি আসতে শুরু করেছে। এন-৫৩ জাতের এই পেঁয়াজ ৬ থেকে ৮টিতেই ১ কেজি হয়। আকারে বড় হওয়ায় বিঘাপ্রতি ১৫০-২০০ মণ পেঁয়াজ হবে বলে আশা করছেন তিনি।
সরনজাই ইউনিয়নের কৃষক মামুনুর রশিদ বলেন, এই সময়ে পেঁয়াজ হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে এখন পেঁয়াজের দাম বেশ ভালো।
শুধু কৃষক আব্দুর রহিম ও মামুনুর রশিদ নন, তানোর উপজেলায় এখন গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকেছেন অনেকেই। ভালো ফলন পাওয়ায় কৃষকের আগ্রহও বাড়ছে।
উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, মসলাজাতীয় ফসল হিসেবে পেঁয়াজের ব্যবহার এক অপরিহার্য উপাদান।বাংলাদেশে বার্ষিক পেঁয়াজের চাহিদা ৩৫-৩৬ লাখ টন, কিন্তু উৎপাদিত হয় ৩২ লাখ টন। এ ছাড়া পচনশীল এই ফসল সঠিক সংরক্ষণের ব্যবস্থাপনার অভাবে নষ্ট হয়। এই ঘাটতি মেটাতে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়িয়ে দেন।
কামরুল ইসলাম আরও বলেন, রবি মৌসুমে অন্য ফসলকে বাদ দিয়ে পেঁয়াজের আবাদ বাড়ানো সম্ভব নয়, তাই সরকার গ্রীষ্মকাল অর্থাৎ খরিপ মৌসুমে পেঁয়াজ আবাদের কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পেঁয়াজের আমদানি কমাতে ভবিষ্যতে এই উপজেলায় আরও বেশি পরিমাণ জমিতে এমন পেঁয়াজ চাষ করা হবে।
এ নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বছর তানোর উপজেলায় ১৫০ বিঘা জমিতে ৯০০-১০০০ টন গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদিত হবে। এ লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে কৃষি অফিসের প্রত্যেক কর্মকর্তা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আশা করি, দেশের ঘাটতি মোকাবিলায় এই পেঁয়াজ অভূতপূর্ব অবদান রাখবে।’
তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ মনে করেন, বাইরে থেকে যাতে আমদানি করা না লাগে, সে জন্য গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ খুবই উপযোগী। ভবিষ্যতে এর পরিধি বাড়লে আমদানিনির্ভরতা কমে যাবে।
দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদার চেয়ে তিন থেকে চার লাখ টন কম উৎপাদিত হয়। সংরক্ষণের সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবেও নষ্ট হয় পেঁয়াজ। এই ঘাটতি মেটাতে বিদেশ থেকে করতে হয় আমদানি। রবি মৌসুমে অন্য ফসল বাদ দিয়ে পেঁয়াজের আবাদ বাড়ানো সম্ভব নয়, তাই সরকার গ্রীষ্মকাল অর্থাৎ খরিপ মৌসুমে পেঁয়াজ আবাদের কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
এই পেঁয়াজ চাষ করে ভালো ফলন পাচ্ছেন বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকেরা। মসলাজাতীয় ফসল পেঁয়াজ চাষে ঘুরছে অনেক কৃষকের ভাগ্যের চাকা।
রাজশাহীর তানোরের কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় খরিপ মৌসুমে দুই ধাপে মোট ১৫০ জন কৃষককে পেঁয়াজবীজ ও উপকরণ সরবরাহ করা হয়। সেই সঙ্গে ২০২২-২৩ অর্থবছরের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় জমিতে চাষ, সার প্রয়োগসহ সার্বিক বিষয়ে ব্যয় নির্বাহ করতে কৃষকদের ২ হাজার ৮০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এরপর চারা রোপণের পর অন্যান্য সহযোগিতা দিয়ে যায় কৃষি বিভাগ। এতে আলোর মুখ দেখতে শুরু করে প্রকল্পটি।
কৃষি বিভাগ জানায়, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ বৃদ্ধি করে আমদানিনির্ভরতা কমাতে তারা কাজ করে যাচ্ছে। তাদের সার্বিক সহযোগিতায় উৎপাদিত গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আকার, স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিমান অনেক উন্নত।
উপজেলার কলমা ইউনিয়নের পেঁয়াজচাষি আব্দুর রহিম বলেন, জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজে এখন গুটি আসতে শুরু করেছে। এন-৫৩ জাতের এই পেঁয়াজ ৬ থেকে ৮টিতেই ১ কেজি হয়। আকারে বড় হওয়ায় বিঘাপ্রতি ১৫০-২০০ মণ পেঁয়াজ হবে বলে আশা করছেন তিনি।
সরনজাই ইউনিয়নের কৃষক মামুনুর রশিদ বলেন, এই সময়ে পেঁয়াজ হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে এখন পেঁয়াজের দাম বেশ ভালো।
শুধু কৃষক আব্দুর রহিম ও মামুনুর রশিদ নন, তানোর উপজেলায় এখন গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকেছেন অনেকেই। ভালো ফলন পাওয়ায় কৃষকের আগ্রহও বাড়ছে।
উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, মসলাজাতীয় ফসল হিসেবে পেঁয়াজের ব্যবহার এক অপরিহার্য উপাদান।বাংলাদেশে বার্ষিক পেঁয়াজের চাহিদা ৩৫-৩৬ লাখ টন, কিন্তু উৎপাদিত হয় ৩২ লাখ টন। এ ছাড়া পচনশীল এই ফসল সঠিক সংরক্ষণের ব্যবস্থাপনার অভাবে নষ্ট হয়। এই ঘাটতি মেটাতে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়িয়ে দেন।
কামরুল ইসলাম আরও বলেন, রবি মৌসুমে অন্য ফসলকে বাদ দিয়ে পেঁয়াজের আবাদ বাড়ানো সম্ভব নয়, তাই সরকার গ্রীষ্মকাল অর্থাৎ খরিপ মৌসুমে পেঁয়াজ আবাদের কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। পেঁয়াজের আমদানি কমাতে ভবিষ্যতে এই উপজেলায় আরও বেশি পরিমাণ জমিতে এমন পেঁয়াজ চাষ করা হবে।
এ নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বছর তানোর উপজেলায় ১৫০ বিঘা জমিতে ৯০০-১০০০ টন গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদিত হবে। এ লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে কৃষি অফিসের প্রত্যেক কর্মকর্তা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। আশা করি, দেশের ঘাটতি মোকাবিলায় এই পেঁয়াজ অভূতপূর্ব অবদান রাখবে।’
তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ মনে করেন, বাইরে থেকে যাতে আমদানি করা না লাগে, সে জন্য গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ খুবই উপযোগী। ভবিষ্যতে এর পরিধি বাড়লে আমদানিনির্ভরতা কমে যাবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে