দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় সরকারি অনুমোদন ছাড়াই গড়ে উঠেছে ২৬টি ইটভাটা। সরকারি বিধি না মেনেই এসব ইটভাটায় দেদার কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই তিন ফসলি জমিতে গড়ে তোলা ইটভাটাগুলো কীভাবে চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এলাকাবাসীর মনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামের আল সালেহ মামুন, ইদবার আলী, আনারুল ইসলাম, স্বরূপপুর গ্রামের আবু বক্কর অবৈধভাবে সাদিপুর গ্রামের তিন ফসলি জমিতে এবং জনবসতি এলাকায় ৪টি ইটভাটা স্থাপন করেছেন। পার্শ্ববর্তী স্বরূপপুর গ্রামে তিনটি ইটভাটা করেছেন আব্দুস সাত্তার, বজলুর রহমান ও নুরুল ইসলাম নামের তিন ব্যক্তি।
আরও জানা গেছে, দৌলতপুর হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার আবাদি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ করেছেন ইয়াছিন আলী ও আব্দুল্লাহ, খান পাড়ায় ৩টি ইটভাটা নির্মাণ করেছেন জল্লাদ খান নামের এক ব্যক্তি। দৌলতপুর কলেজ ও দাখিল মাদ্রাসার পাশে আব্দুল হান্নান ও চক দৌলতপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পেছনে রমজান আলী, দৌলতপুর থানার পূর্ব পাশে অর্পিত সম্পত্তিতে নজরুল ইসলাম, রিফাইতপুর জোয়াদ্দার পাড়া গ্রামে শহিদুল ইসলাম ওলি, পার্শ্ববর্তী গলাকাটি মোড়ে ঝুমুর আলী, আব্দুস সালাম ও নজরুল ইসলাম, বড়গাদিয়ায় হাবলু মোল্লা, খলিশাকুন্ডিতে কামাল হোসেন, জয়রামপুরে কান্টু মোল্লা, ডাংমড়কায় কুষ্টিয়া প্রাগপুর সড়কের সঙ্গে আবুল কালাম আজাদ, ফজলুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম ফসলি জমিতে অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন করেছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এসব ইটভাটার মাটি ও ইট শতাধিক শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলি বা স্টিয়ারিং গাড়ি দিয়ে পরিবহন করা হয়। উপজেলার বিভিন্ন সরু সড়ক দিয়ে মাটি ও ইট বোঝায় করে চলাচল করে এসব যানবাহন। ফলে একদিকে সড়কগুলোর যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি প্রায়ই ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে।
সাদিপুর গ্রামের কৃষক মেহেরুল বলেন, ‘আমাদের আবাদি জমির চারপাশে ইটভাটা গড়ে তোলায় ওই সব জমিতে কোনো ফসলের আবাদই আগের মতো ভালো হচ্ছে না। প্রশাসনের কাছে এ নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ দিলেও কোনো কাজ হয়নি।’ ফলে এই দুই গ্রামের রাস্তাঘাট ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে।
একাধিক এলাকাবাসী বলেন, ‘উপজেলার ২৬টি ইটভাটা ব্যবসায়ী দিনে ও রাতের আঁধারে ড্রাম ট্রাক ও শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলিতে করে বিভিন্ন জায়গা থেকে মাটি এনে ইটভাটায় ব্যবহার করছেন। সড়কগুলোতে এসব অবৈধ যানবাহনের কারণে ঘটা সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকেই মারা গেছেন আবার অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। তা ছাড়া এসব ইটভাটা থেকে নির্গত ধোয়ায় পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়েছে। অধিকাংশ ইটভাটা জনবসতি এলাকায় হওয়ায় এসব এলাকার সাধারণ মানুষ শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ইটভাটাগুলোর লাইসেন্স না থাকলেও পরিবেশ অধিদপ্তর, কুষ্টিয়া অজ্ঞাত কারণে ভাটা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ।’
দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, ‘ইটভাটার ধোয়ায় দূষিত বাতাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করায় শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি ও নানা ধরনের চর্মরোগে আক্রান্ত হবেন। বর্তমানে এ এলাকার অনেকেই এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।’
পরিবেশ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার উপপরিচালক আতাউর রহমান বলেন, ‘কোনো ইটভাটা মালিকই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেননি। খুব শিগগিরই এসব অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল জাব্বার বলেন, ‘ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। দু-এক দিনের মধ্যে তা আরও জোরদার করা হবে।’
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় সরকারি অনুমোদন ছাড়াই গড়ে উঠেছে ২৬টি ইটভাটা। সরকারি বিধি না মেনেই এসব ইটভাটায় দেদার কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই তিন ফসলি জমিতে গড়ে তোলা ইটভাটাগুলো কীভাবে চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এলাকাবাসীর মনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামের আল সালেহ মামুন, ইদবার আলী, আনারুল ইসলাম, স্বরূপপুর গ্রামের আবু বক্কর অবৈধভাবে সাদিপুর গ্রামের তিন ফসলি জমিতে এবং জনবসতি এলাকায় ৪টি ইটভাটা স্থাপন করেছেন। পার্শ্ববর্তী স্বরূপপুর গ্রামে তিনটি ইটভাটা করেছেন আব্দুস সাত্তার, বজলুর রহমান ও নুরুল ইসলাম নামের তিন ব্যক্তি।
আরও জানা গেছে, দৌলতপুর হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার আবাদি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ করেছেন ইয়াছিন আলী ও আব্দুল্লাহ, খান পাড়ায় ৩টি ইটভাটা নির্মাণ করেছেন জল্লাদ খান নামের এক ব্যক্তি। দৌলতপুর কলেজ ও দাখিল মাদ্রাসার পাশে আব্দুল হান্নান ও চক দৌলতপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পেছনে রমজান আলী, দৌলতপুর থানার পূর্ব পাশে অর্পিত সম্পত্তিতে নজরুল ইসলাম, রিফাইতপুর জোয়াদ্দার পাড়া গ্রামে শহিদুল ইসলাম ওলি, পার্শ্ববর্তী গলাকাটি মোড়ে ঝুমুর আলী, আব্দুস সালাম ও নজরুল ইসলাম, বড়গাদিয়ায় হাবলু মোল্লা, খলিশাকুন্ডিতে কামাল হোসেন, জয়রামপুরে কান্টু মোল্লা, ডাংমড়কায় কুষ্টিয়া প্রাগপুর সড়কের সঙ্গে আবুল কালাম আজাদ, ফজলুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম ফসলি জমিতে অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন করেছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এসব ইটভাটার মাটি ও ইট শতাধিক শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলি বা স্টিয়ারিং গাড়ি দিয়ে পরিবহন করা হয়। উপজেলার বিভিন্ন সরু সড়ক দিয়ে মাটি ও ইট বোঝায় করে চলাচল করে এসব যানবাহন। ফলে একদিকে সড়কগুলোর যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি প্রায়ই ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে।
সাদিপুর গ্রামের কৃষক মেহেরুল বলেন, ‘আমাদের আবাদি জমির চারপাশে ইটভাটা গড়ে তোলায় ওই সব জমিতে কোনো ফসলের আবাদই আগের মতো ভালো হচ্ছে না। প্রশাসনের কাছে এ নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ দিলেও কোনো কাজ হয়নি।’ ফলে এই দুই গ্রামের রাস্তাঘাট ও পরিবেশ মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে।
একাধিক এলাকাবাসী বলেন, ‘উপজেলার ২৬টি ইটভাটা ব্যবসায়ী দিনে ও রাতের আঁধারে ড্রাম ট্রাক ও শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলিতে করে বিভিন্ন জায়গা থেকে মাটি এনে ইটভাটায় ব্যবহার করছেন। সড়কগুলোতে এসব অবৈধ যানবাহনের কারণে ঘটা সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকেই মারা গেছেন আবার অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। তা ছাড়া এসব ইটভাটা থেকে নির্গত ধোয়ায় পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়েছে। অধিকাংশ ইটভাটা জনবসতি এলাকায় হওয়ায় এসব এলাকার সাধারণ মানুষ শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ইটভাটাগুলোর লাইসেন্স না থাকলেও পরিবেশ অধিদপ্তর, কুষ্টিয়া অজ্ঞাত কারণে ভাটা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ।’
দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌহিদুল হাসান তুহিন বলেন, ‘ইটভাটার ধোয়ায় দূষিত বাতাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করায় শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি ও নানা ধরনের চর্মরোগে আক্রান্ত হবেন। বর্তমানে এ এলাকার অনেকেই এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।’
পরিবেশ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার উপপরিচালক আতাউর রহমান বলেন, ‘কোনো ইটভাটা মালিকই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেননি। খুব শিগগিরই এসব অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল জাব্বার বলেন, ‘ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। দু-এক দিনের মধ্যে তা আরও জোরদার করা হবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে