ভুট্টার চারায় সবুজ বালুচর

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫: ১৯
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ০৩

নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীতে জেগে ওঠা বালুচরে ভুট্টার চারা গাছের সবুজে ভরে গেছে। সবল চারা গাছ দেখে ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর উপজেলায় ১৩ হাজার ১৬০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। গত বছর চাষ হয়েছিল ১২ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে। অধিকাংশ ভুট্টাই চাষ হচ্ছে তিস্তার চর ও নদী তীরবর্তী বিস্তৃত এলাকায়।

সরেজমিনে উপজেলার তিস্তা নদীর বিভিন্ন চর এলাকা ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের বর্ষা মৌসুমে তিস্তার চরে আমন ধান চাষ হয় নাই। আমনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এলাকার চাষিরা তিস্তার চরে আগাম ভুট্টা চাষ করেছেন। ধু ধু বালুচরে এখন সবুজের সমারোহ।

স্থানীয় কৃষক মোশাররফ হোসেন জানান, ‘ধান, তামাক ও গম চাষ করলে যে লাভ হয়, তার চেয়ে দ্বিগুণ লাভ হয় ভুট্টায়। প্রতি বিঘায় ৪০ / ৪৫ মন পর্যন্ত ভুট্টা হয় এবং ব্যয় হয় প্রতি বিঘায় ১০ / ১২ হাজার টাকা। আর বিক্রি হয় বিঘা প্রতি প্রায় ৩০ / ৩২ হাজার টাকা। শুধু মাত্র ভুট্টা ঘরে তোলার সময় পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভুট্টা চাষে লাভবান হব।’

তিস্তার কিসামতে চর এলাকার কৃষক আহের আলী জানান, ‘এ বছর তিস্তার বালুচরে ২৮০ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। গত বছর চাষ করে ছিলাম ১৭০ শতক জমিতে। বীজ, সার ও শ্রমিকের খরচ হবে ৩০-৩৫ হাজার টাকা। প্রতি মণ ভুট্টা ৭২০-৯০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক বছর ধরে তিস্তার চরে ভুট্টা চাষ করছি। প্রথমে তেমন ফলন না পেলেও এবারে বাম্পার ফলন হয়েছে।’

বাইশপুকুর চর এলাকার কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘চরাঞ্চলে ভুট্টার আবাদ আসার আগে জমি অনাবাদি ছিল। অন্য ফসলের আশানুরূপ ফলন না হওয়ায় এসব জমিতে তেমন একটা ফসল ফলানো হয়নি। এখন ভুট্টার বাম্পার ফলনে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত