রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহী-আমনুরা পথে নিয়মিত যাতায়াত করেন একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা শফিকুল হক। গত সপ্তাহেও বাসে ভাড়া গুনেছেন ১০০ টাকা। নতুন ভাড়া নির্ধারণের পর গতকাল সোমবার কাউন্টারে তাঁর কাছে নেওয়া হয়েছে ৯৩ টাকা, যা আগের চেয়ে কম।
শফিকুল বলেন, রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরার দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার। প্রতি কিলোমিটারে আগের ১ টাকা ৪২ পয়সা হিসাব করলে ভাড়া ছিল ৭৪ টাকা। কিন্তু নেওয়া হতো ১০০ টাকা। ২৭ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির পরও নতুন চার্টে আমনুরার ভাড়া এখন ৯৩ টাকা।
গতকাল সকালে রাজশাহীর শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে বিভিন্ন রুটের কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাউন্টারগুলোতে আগে ভাড়ার কোনো চার্টই ছিল না। ফলে একরকম ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করা হতো। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর ভাড়া বাড়ানো হলে কাউন্টারে কাউন্টারে একটা করে চার্ট দেওয়া হয়। এতে রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলা এবং আশপাশের জেলাগুলোতে যাওয়ার বাসের ভাড়া কমেছে!
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো। তিনি বলেন, ‘বড় বড় কোম্পানির বাসগুলোর ভাড়ার ব্যাপারে আমরা বলতে পারি না। তবে আমাদের সমিতির অধীনে যেসব বাস, সেগুলোর নতুন ভাড়া নির্ধারণ করে চার্ট দিয়েছি। আগেও বেশি ভাড়া নেওয়া হয়নি, এখনো হচ্ছে না।’
বাস টার্মিনালে কথা হয় বাঘার তাহেরপুরের ব্যবসায়ী শাহিন আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, আগে তিনি তাহেরপুর যাওয়া-আসা করতেন ৯৫ টাকা ভাড়ায়। সোমবার তিনি টিকিট কেটেছেন ৮৮ টাকায়।
শাহিন বলেন, ‘আজই প্রথম কাউন্টারে ভাড়ার চার্ট দেখছি। আগে তো চার্টই দেখিনি। এখন এই চার্ট কয়দিন থাকে, দেখা যাক!’
এক টাকা ৮০ পয়সা হিসাবে রাজশাহী থেকে ঢাকার বাসের ভাড়া ৪৬৪ টাকা। তবে রজনীগন্ধা পরিবহন নামের একটি লোকাল বাসের কাউন্টার মাস্টার মনিরুল ইসলাম বলেন, তাঁরা ভাড়া নিচ্ছেন ৪০০ টাকা। আগে নিতেন ৩৫০ টাকা। বিভিন্ন জায়গায় থেমে থেমে যায় বলে এই বাসের ভাড়া কম।
তবে দূরপাল্লার ভালো বাসগুলোর কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেছে, রাজশাহী থেকে ঢাকার ননএসি বাসের ভাড়া এখন ৬০০ টাকা বলে চার্ট টাঙিয়ে দেওয়া হয়। আগে এ রুটের ভাড়া নেওয়া হতো ৪৮০ টাকা। ঢাকা থেকে রাজশাহীর দূরত্ব ২৫৮ কিলোমিটার। বর্তমানে এ ভাড়া হওয়ার কথা ৪৬৪ টাকা। তবে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৬০০ টাকা।
টিকিট মাস্টাররা ননএসি বাসের ভাড়া যাত্রীদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু এসি বাসের ভাড়া বোঝানো হচ্ছে না। শুধু বলা হচ্ছে, এসি বাসের ভাড়া ননএসির দ্বিগুণ। এভাবে এসি বাসে রাজশাহী থেকে ঢাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা।
একতা ট্রান্সপোর্টের উত্তরবঙ্গের জেনারেল ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম সুমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৮০ পয়সা ভাড়া ননএসি বাসের জন্য। কিন্তু এসি বাসের ভাড়া কত হবে সেটা সরকার নির্ধারণ করে দেয়নি। প্রতিটি এসি আসনের জন্য সরকারকে ১৫০ টাকা কর দিতে হয়। অন্যান্য খরচও আছে। তাই আমরা ননএসির দ্বিগুণ ভাড়া নিয়ে থাকি এসি বাসের টিকিটে।
বিআরটিএর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক আবদুল খালেক বলেন, ‘এসি বাসের ভাড়া কত হবে, সেটা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। এটাও হয়ে যাবে। আর সেতুর টোলের জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে এক টাকা ৮০ পয়সা হিসাবের বেশি আদায় করা যাবে কি না, সে বিষয়ে নতুন প্রজ্ঞাপনে স্পষ্ট করা নেই। আমরা এ বিষয়টা জেনে নিয়ে ভাড়ার বিষয়টি তদারকি করব। কোনো বাসেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে দেওয়া হবে না।’
রাজশাহী-আমনুরা পথে নিয়মিত যাতায়াত করেন একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা শফিকুল হক। গত সপ্তাহেও বাসে ভাড়া গুনেছেন ১০০ টাকা। নতুন ভাড়া নির্ধারণের পর গতকাল সোমবার কাউন্টারে তাঁর কাছে নেওয়া হয়েছে ৯৩ টাকা, যা আগের চেয়ে কম।
শফিকুল বলেন, রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরার দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার। প্রতি কিলোমিটারে আগের ১ টাকা ৪২ পয়সা হিসাব করলে ভাড়া ছিল ৭৪ টাকা। কিন্তু নেওয়া হতো ১০০ টাকা। ২৭ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির পরও নতুন চার্টে আমনুরার ভাড়া এখন ৯৩ টাকা।
গতকাল সকালে রাজশাহীর শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে বিভিন্ন রুটের কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাউন্টারগুলোতে আগে ভাড়ার কোনো চার্টই ছিল না। ফলে একরকম ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করা হতো। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর ভাড়া বাড়ানো হলে কাউন্টারে কাউন্টারে একটা করে চার্ট দেওয়া হয়। এতে রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলা এবং আশপাশের জেলাগুলোতে যাওয়ার বাসের ভাড়া কমেছে!
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো। তিনি বলেন, ‘বড় বড় কোম্পানির বাসগুলোর ভাড়ার ব্যাপারে আমরা বলতে পারি না। তবে আমাদের সমিতির অধীনে যেসব বাস, সেগুলোর নতুন ভাড়া নির্ধারণ করে চার্ট দিয়েছি। আগেও বেশি ভাড়া নেওয়া হয়নি, এখনো হচ্ছে না।’
বাস টার্মিনালে কথা হয় বাঘার তাহেরপুরের ব্যবসায়ী শাহিন আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, আগে তিনি তাহেরপুর যাওয়া-আসা করতেন ৯৫ টাকা ভাড়ায়। সোমবার তিনি টিকিট কেটেছেন ৮৮ টাকায়।
শাহিন বলেন, ‘আজই প্রথম কাউন্টারে ভাড়ার চার্ট দেখছি। আগে তো চার্টই দেখিনি। এখন এই চার্ট কয়দিন থাকে, দেখা যাক!’
এক টাকা ৮০ পয়সা হিসাবে রাজশাহী থেকে ঢাকার বাসের ভাড়া ৪৬৪ টাকা। তবে রজনীগন্ধা পরিবহন নামের একটি লোকাল বাসের কাউন্টার মাস্টার মনিরুল ইসলাম বলেন, তাঁরা ভাড়া নিচ্ছেন ৪০০ টাকা। আগে নিতেন ৩৫০ টাকা। বিভিন্ন জায়গায় থেমে থেমে যায় বলে এই বাসের ভাড়া কম।
তবে দূরপাল্লার ভালো বাসগুলোর কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেছে, রাজশাহী থেকে ঢাকার ননএসি বাসের ভাড়া এখন ৬০০ টাকা বলে চার্ট টাঙিয়ে দেওয়া হয়। আগে এ রুটের ভাড়া নেওয়া হতো ৪৮০ টাকা। ঢাকা থেকে রাজশাহীর দূরত্ব ২৫৮ কিলোমিটার। বর্তমানে এ ভাড়া হওয়ার কথা ৪৬৪ টাকা। তবে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৬০০ টাকা।
টিকিট মাস্টাররা ননএসি বাসের ভাড়া যাত্রীদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু এসি বাসের ভাড়া বোঝানো হচ্ছে না। শুধু বলা হচ্ছে, এসি বাসের ভাড়া ননএসির দ্বিগুণ। এভাবে এসি বাসে রাজশাহী থেকে ঢাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা।
একতা ট্রান্সপোর্টের উত্তরবঙ্গের জেনারেল ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম সুমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতি কিলোমিটারে ১ টাকা ৮০ পয়সা ভাড়া ননএসি বাসের জন্য। কিন্তু এসি বাসের ভাড়া কত হবে সেটা সরকার নির্ধারণ করে দেয়নি। প্রতিটি এসি আসনের জন্য সরকারকে ১৫০ টাকা কর দিতে হয়। অন্যান্য খরচও আছে। তাই আমরা ননএসির দ্বিগুণ ভাড়া নিয়ে থাকি এসি বাসের টিকিটে।
বিআরটিএর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক আবদুল খালেক বলেন, ‘এসি বাসের ভাড়া কত হবে, সেটা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। এটাও হয়ে যাবে। আর সেতুর টোলের জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে এক টাকা ৮০ পয়সা হিসাবের বেশি আদায় করা যাবে কি না, সে বিষয়ে নতুন প্রজ্ঞাপনে স্পষ্ট করা নেই। আমরা এ বিষয়টা জেনে নিয়ে ভাড়ার বিষয়টি তদারকি করব। কোনো বাসেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে দেওয়া হবে না।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৯ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৯ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৯ দিন আগে