মার্কেটে উপচে পড়া ভিড়

জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর
Thumbnail image

জামালপুরে ঈদের কেনাকাটা শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে। শহরের প্রধান প্রধান মার্কেটে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিরাপত্তাকর্মীদের। শহরের প্রতিটি বিপণিবিতান ও শোরুমে ক্রেতাদের ব্যাপক সমাগম দেখা গেছে। পুলিশ প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, ঈদ সামনে রেখে জেলাজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

জামালপুর শহরের প্রধান প্রধান মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, সব কটি বিপণিবিতান এবং শপিং মলে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। শোরুমে পছন্দের পোশাক কিনতে ভিড় করছেন মানুষ। শহরের কথাকলি মার্কেট, জবেদ মার্কেট, তালুকদার মার্কেটসহ প্রতিটি মার্কেটে ক্রেতা-বিক্রেতারা বেচাকেনা নিয়ে ব্যস্ত। শপিং মলগুলোতে বেচাকেনা জমজমাট। ক্রেতারা জানিয়েছেন, প্রতিটি জিনিসের দাম বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। শিশুদের পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি বেড়েছে।

শহরের বোসপাড়ার মনিকা আক্তার দুই বাচ্চা নিয়ে এসেছেন পছন্দের পোশাক কিনতে। কিন্তু যে টাকার বাজেট নিয়ে এসেছেন দাম চাওয়া হচ্ছে দ্বিগুণ। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকেই ঘুরছি। বাচ্চাদের যেটা পছন্দ হচ্ছে সেটা দামে মিলছে না। আর দামে মিললে বাচ্চাদের পছন্দ হচ্ছে না।’

মুকন্দবাড়ির মুরাদ হোসেন স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঈদের পোশাক কিনতে এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে ছোটাছুটি করছেন। দামে বনিবনা হচ্ছে না বলে কিনতেও পারছেন না। তিনি বলেন, ‘নিম্নবৃত্ত এবং মধ্য বৃত্তদের ঈদ মানেই মরণ।

যে টাকা বেতন আর বোনাস পেয়েছেন তাতে বাচ্চাদের কাপড় চোপড় কিনতে শেষ হয়ে যাচ্ছে। তার ঘরে ৪ সন্তান। এরপর ঈদে বাড়তি চাপ থাকে। বাড়িতে মা ভাই বোনদের দিতে হয়।

কাচারীপাড়া মর্জিনা বেগম বলেন, ‘সব জিনিসের দাম বেড়েছে। ঈদে যে টাকার বাজেট তাতে কোনো কিছুই মেলাতে পারছি না। বাচ্চাদের পোশাক ৩-৪ হাজার টাকার নিচে ভালোটা পাওয়া যায় না। এবারের ঈদ বাজারে শাড়ি, কামিজ, শার্ট প্যান্ট, পাঞ্জাবি পায়জামার চাহিদা অনেক বেশি।’ 
তালুকদার মার্কেটের পোশাক বিক্রেতা জুনায়েদ বলেন, ‘গত দুই বছর করোনার জন্য ঈদ মার্কেট বন্ধ ছিল। বেচাকেনা করতে পারিনি। এবার পুরোদমে ব্যবসা চলছে। ক্রেতাদের ভিড় সামাল দিতে পারছি না। নারী ও শিশুদের চাপ বেশি। শিশুদের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে।

পাবনা বস্ত্রালয়ের মালিক বলেন, ‘শাড়ি থেকে শুরু করে সালোয়ার কামিজের থান কাপড় বিক্রি হচ্ছে বেশি। ক্রেতারা তাদের পছন্দের কাপড় কিনে নিচ্ছেন। ’ ফুলবাড়িয়া গ্রামের সুলতানা পারভিন বলেন, ‘ঢাকা থেকে এসেছি বাবা মা ভাই বোনদের নিয়ে ঈদ করব। সকাল থেকে বেরিয়ে বাবার জন্য পাঞ্জাবি, পায়জামা, লুঙ্গি, মার জন্য শাড়ি, জুতা, ভাই বোনদের জন্যও কিনেছি। দাম সাধ্যের মধ্যেই ছিল।’

সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের আড়ংহাটি গ্রামের ঝিনুক ছেলে মেয়ের কেনা করছেন। তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেছি। সবার জন্য কেনাকাটা শেষ করেছি। এখন ছেলের জন্য পাঞ্জাবি পায়জামা আর আমার জন্য কিছু কিনব।’

জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে জেলা জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শহর থেকে প্রতিটি উপজেলায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শহরের যানজট নিরসনেও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত