কয়রা প্রতিনিধি
কয়রায় তীব্র শীত উপেক্ষা করেই কৃষকেরা বোরোর চারা রোপণ করছেন। কৃষকেরা বলছেন, এবার অসময়ের বৃষ্টিতে হওয়া আমনের ক্ষতি পোষাতে বোরো ধানের চাষ শুরু করেছেন তাঁরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে কয়রা উপজেলায় ৪ হাজার ২৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২২৬ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও ২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে উচ্চফলনশীল (উফশী) বোরোর আবাদ করা হবে।
আরও জানা গেছে, বোরো ধানের আবাদে উৎসাহিত করতে সরকারি ভাবে ১ হাজার ৫০২ কৃষককে ২ কেজি করে হাইব্রিড বীজ ধান ও ৫০০ কৃষককে ৫ কেজি করে উফশী বীজ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সকালে উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের কৃষক আমিনুর রহমান বলেন, ‘গত আমন মৌসুমে চার বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম। কিন্তু ভাদ্র মাসে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে জদুর বিলসহ কয়রা উপজেলার প্রায় সবগুলো বিল ডুবে যায়। সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। কয়েক দিনের মধ্যে অন্যান্য বিলের পানি নেমে গেলেও পানিতে ডুবে থাকে জদুর বিল। প্রায় এক মাস পর এ বিলের পানি নামে। পানি নেমে যাওয়ার পর কিছু ধানগাছ বেঁচে ছিল। কিন্তু তাতে ধানের ফলন ঠিকমতো হয়নি। এ কারণে বোরো চাষ করছি।’
একই এলাকার কৃষক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমন মৌসুমে দুই বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলাম। দুই বিঘায় ধান পেয়েছি সাত মন। এই পরিমাণ ধান দিয়ে আমার পরিবারের তিন মাসও চলবে না। তাই বাধ্য হয়ে প্রথমবারের মতো বোরো চাষ করছি।’
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আমার ব্লকে ২২০-২৩০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হচ্ছে। এখানে উফশী জাতের বোরোর আবাদ বেশি হচ্ছে। পানি সেচের ব্যবস্থা করা গেলে মহারাজপুর ইউনিয়নের আরও অনেক জমিতে বোরোর চাষ করা যেতো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘অতিবৃষ্টির কারণে দুবার কৃষকের বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। আমনের ফলন ভালো না হওয়ায় কৃষকেরা বোরো চাষে আগ্রহী হচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। আমনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বোরো ধান চাষে উৎসাহিত করতে সরকারিভাবে কৃষকদের বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়েছে।’
কয়রায় তীব্র শীত উপেক্ষা করেই কৃষকেরা বোরোর চারা রোপণ করছেন। কৃষকেরা বলছেন, এবার অসময়ের বৃষ্টিতে হওয়া আমনের ক্ষতি পোষাতে বোরো ধানের চাষ শুরু করেছেন তাঁরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে কয়রা উপজেলায় ৪ হাজার ২৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২২৬ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও ২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে উচ্চফলনশীল (উফশী) বোরোর আবাদ করা হবে।
আরও জানা গেছে, বোরো ধানের আবাদে উৎসাহিত করতে সরকারি ভাবে ১ হাজার ৫০২ কৃষককে ২ কেজি করে হাইব্রিড বীজ ধান ও ৫০০ কৃষককে ৫ কেজি করে উফশী বীজ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সকালে উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের কৃষক আমিনুর রহমান বলেন, ‘গত আমন মৌসুমে চার বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম। কিন্তু ভাদ্র মাসে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে জদুর বিলসহ কয়রা উপজেলার প্রায় সবগুলো বিল ডুবে যায়। সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। কয়েক দিনের মধ্যে অন্যান্য বিলের পানি নেমে গেলেও পানিতে ডুবে থাকে জদুর বিল। প্রায় এক মাস পর এ বিলের পানি নামে। পানি নেমে যাওয়ার পর কিছু ধানগাছ বেঁচে ছিল। কিন্তু তাতে ধানের ফলন ঠিকমতো হয়নি। এ কারণে বোরো চাষ করছি।’
একই এলাকার কৃষক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমন মৌসুমে দুই বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলাম। দুই বিঘায় ধান পেয়েছি সাত মন। এই পরিমাণ ধান দিয়ে আমার পরিবারের তিন মাসও চলবে না। তাই বাধ্য হয়ে প্রথমবারের মতো বোরো চাষ করছি।’
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আমার ব্লকে ২২০-২৩০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হচ্ছে। এখানে উফশী জাতের বোরোর আবাদ বেশি হচ্ছে। পানি সেচের ব্যবস্থা করা গেলে মহারাজপুর ইউনিয়নের আরও অনেক জমিতে বোরোর চাষ করা যেতো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘অতিবৃষ্টির কারণে দুবার কৃষকের বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। আমনের ফলন ভালো না হওয়ায় কৃষকেরা বোরো চাষে আগ্রহী হচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। আমনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বোরো ধান চাষে উৎসাহিত করতে সরকারিভাবে কৃষকদের বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়েছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে