আমনের ক্ষতি পোষাতে বোরো চাষে ব্যস্ত কৃষক

কয়রা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৩২
Thumbnail image

কয়রায় তীব্র শীত উপেক্ষা করেই কৃষকেরা বোরোর চারা রোপণ করছেন। কৃষকেরা বলছেন, এবার অসময়ের বৃষ্টিতে হওয়া আমনের ক্ষতি পোষাতে বোরো ধানের চাষ শুরু করেছেন তাঁরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে কয়রা উপজেলায় ৪ হাজার ২৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২২৬ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও ২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে উচ্চফলনশীল (উফশী) বোরোর আবাদ করা হবে।

আরও জানা গেছে, বোরো ধানের আবাদে উৎসাহিত করতে সরকারি ভাবে ১ হাজার ৫০২ কৃষককে ২ কেজি করে হাইব্রিড বীজ ধান ও ৫০০ কৃষককে ৫ কেজি করে উফশী বীজ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সকালে উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের কৃষক আমিনুর রহমান বলেন, ‘গত আমন মৌসুমে চার বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম। কিন্তু ভাদ্র মাসে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে জদুর বিলসহ কয়রা উপজেলার প্রায় সবগুলো বিল ডুবে যায়। সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। কয়েক দিনের মধ্যে অন্যান্য বিলের পানি নেমে গেলেও পানিতে ডুবে থাকে জদুর বিল। প্রায় এক মাস পর এ বিলের পানি নামে। পানি নেমে যাওয়ার পর কিছু ধানগাছ বেঁচে ছিল। কিন্তু তাতে ধানের ফলন ঠিকমতো হয়নি। এ কারণে বোরো চাষ করছি।’

একই এলাকার কৃষক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমন মৌসুমে দুই বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিলাম। দুই বিঘায় ধান পেয়েছি সাত মন। এই পরিমাণ ধান দিয়ে আমার পরিবারের তিন মাসও চলবে না। তাই বাধ্য হয়ে প্রথমবারের মতো বোরো চাষ করছি।’

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আমার ব্লকে ২২০-২৩০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হচ্ছে। এখানে উফশী জাতের বোরোর আবাদ বেশি হচ্ছে। পানি সেচের ব্যবস্থা করা গেলে মহারাজপুর ইউনিয়নের আরও অনেক জমিতে বোরোর চাষ করা যেতো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘অতিবৃষ্টির কারণে দুবার কৃষকের বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। আমনের ফলন ভালো না হওয়ায় কৃষকেরা বোরো চাষে আগ্রহী হচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। আমনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বোরো ধান চাষে উৎসাহিত করতে সরকারিভাবে কৃষকদের বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত