সম্পাদকীয়
ডিবি পুলিশের হঠাৎ মনে হলো, কোটা সংস্কার আন্দোলনের কয়েকজন নেতাকে নিরাপত্তা দেওয়া দরকার। তাঁদের অবস্থানের জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা যেত। সেটা না করে এই নেতাদের তুলে আনা হলো ডিবি অফিসে। সেখানেই তাঁদের রাখা হলো ‘নিরাপদে’। তাঁরা নিজেরা কি এই আতিথেয়তা চেয়েছিলেন? কিন্তু ডিবি অফিসেই তো থাকতে হলো তাঁদের। আইন তো বলে না যে নিরাপদ হেফাজতের অর্থ মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়!
একসময় এই ডিবি কার্যালয় থেকেই ছাত্রনেতারা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন; অর্থাৎ পুলিশের ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চের নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে তাঁরা স্বেচ্ছায় আন্দোলন প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছেন।
সাদা চোখে দেখলে এর মধ্যে কোনো গল্প নেই। কিন্তু একটু সন্দেহের চোখে দেখলে স্পষ্ট হবে, এই ঘোষণা ‘স্বেচ্ছায়’ দিতে হলে ডিবি কার্যালয়ের সহায়তার কোনো প্রয়োজন নেই। ডিবি অফিসে বসে এই ঘোষণা কেউ দেবে না।
ডিবির কার্যালয় মাঝে মাঝেই যেসব ঘটনার জন্ম দেয়, তা নিয়ে বহু আগে থেকেই হাসাহাসি হয়। হঠাৎ দেখা গেল বিরোধীদলীয় কোনো নেতাকে ধরে আনা হচ্ছে ডিবি অফিসে, তারপর তাঁকে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে খাবার টেবিলে। ডিবি অফিসে যাচ্ছেন নায়িকা, গায়কেরা। সবার সংকটের সমাধান যেন রয়েছে ডিবি অফিসে।
যাঁরা ডিবি অফিসে যাচ্ছেন, তাঁদের সবাই স্বেচ্ছায় যাচ্ছেন না। তাঁদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তারপর যখন ডিবি অফিসের খাবার টেবিলে তাঁদের দেখা যায়, তখন মনে হয়, এ কেমন রসিকতা? ডিবি অফিস তো কোনো গেস্টহাউস কিংবা রেস্তোরাঁ নয় যে সেই অফিসে ধরে নিয়ে যাওয়া মানুষকে কীভাবে আপ্যায়ন করা হবে, তা দেখতে হবে জাতিকে!
গত ২৮ জুলাই রোববার কোটা আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের সঙ্গে এক টেবিলে বসে নাশতা করার কয়েকটি ছবি ফেসবুকে দেন সদ্য সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই ওদের ডিবি কার্যালয়ে এনে তাদের সঙ্গে কথা বললাম।’
খুব ভালো কথা। কিন্তু তাঁরা যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন, এ তথ্যটি কোথা থেকে পাওয়া গেল? তাঁরা নিজেরাই কি ডিবিপ্রধানকে বলেছেন যে ‘আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি? আমাদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যান!’ ঘটনাটা সে রকম হওয়ার কত শতাংশ সম্ভাবনা আছে? দেশের কতজন মানুষ সেই গল্প বিশ্বাস করবে? অনেকেই মজা করে ডিবি অফিসকে ‘ভাতের হোটেল’ নামে অভিহিত করছেন। এটা মোটেই ডিবি অফিসের মর্যাদা বাড়াচ্ছে না।
আদালত বলেছেন, ‘ডিবি অফিসে ধরে নিয়ে যাবেন, তারপর খাবার টেবিলে বসাবেন। এভাবে জাতির সঙ্গে মশকরা করবেন না।’ আদালতের বলা ‘মশকরা’ শব্দটি এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সত্যিই তো, ডিবি অফিস কেন মশকরা করার জায়গা হয়ে উঠবে? ১৪ দলের বৈঠকেও ডিবিপ্রধান হারুনকে নিয়ে সমালোচনা হয়েছে।
ডিবিপ্রধান পরিবর্তিত হয়েছে। নতুন প্রধানকে বলব ডিবি অফিসটাকে নতুন করে আর রেস্তোরাঁ বানাবেন না।
ডিবি পুলিশের হঠাৎ মনে হলো, কোটা সংস্কার আন্দোলনের কয়েকজন নেতাকে নিরাপত্তা দেওয়া দরকার। তাঁদের অবস্থানের জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা যেত। সেটা না করে এই নেতাদের তুলে আনা হলো ডিবি অফিসে। সেখানেই তাঁদের রাখা হলো ‘নিরাপদে’। তাঁরা নিজেরা কি এই আতিথেয়তা চেয়েছিলেন? কিন্তু ডিবি অফিসেই তো থাকতে হলো তাঁদের। আইন তো বলে না যে নিরাপদ হেফাজতের অর্থ মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়!
একসময় এই ডিবি কার্যালয় থেকেই ছাত্রনেতারা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন; অর্থাৎ পুলিশের ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চের নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে তাঁরা স্বেচ্ছায় আন্দোলন প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছেন।
সাদা চোখে দেখলে এর মধ্যে কোনো গল্প নেই। কিন্তু একটু সন্দেহের চোখে দেখলে স্পষ্ট হবে, এই ঘোষণা ‘স্বেচ্ছায়’ দিতে হলে ডিবি কার্যালয়ের সহায়তার কোনো প্রয়োজন নেই। ডিবি অফিসে বসে এই ঘোষণা কেউ দেবে না।
ডিবির কার্যালয় মাঝে মাঝেই যেসব ঘটনার জন্ম দেয়, তা নিয়ে বহু আগে থেকেই হাসাহাসি হয়। হঠাৎ দেখা গেল বিরোধীদলীয় কোনো নেতাকে ধরে আনা হচ্ছে ডিবি অফিসে, তারপর তাঁকে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে খাবার টেবিলে। ডিবি অফিসে যাচ্ছেন নায়িকা, গায়কেরা। সবার সংকটের সমাধান যেন রয়েছে ডিবি অফিসে।
যাঁরা ডিবি অফিসে যাচ্ছেন, তাঁদের সবাই স্বেচ্ছায় যাচ্ছেন না। তাঁদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তারপর যখন ডিবি অফিসের খাবার টেবিলে তাঁদের দেখা যায়, তখন মনে হয়, এ কেমন রসিকতা? ডিবি অফিস তো কোনো গেস্টহাউস কিংবা রেস্তোরাঁ নয় যে সেই অফিসে ধরে নিয়ে যাওয়া মানুষকে কীভাবে আপ্যায়ন করা হবে, তা দেখতে হবে জাতিকে!
গত ২৮ জুলাই রোববার কোটা আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের সঙ্গে এক টেবিলে বসে নাশতা করার কয়েকটি ছবি ফেসবুকে দেন সদ্য সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছিলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। তাই ওদের ডিবি কার্যালয়ে এনে তাদের সঙ্গে কথা বললাম।’
খুব ভালো কথা। কিন্তু তাঁরা যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন, এ তথ্যটি কোথা থেকে পাওয়া গেল? তাঁরা নিজেরাই কি ডিবিপ্রধানকে বলেছেন যে ‘আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি? আমাদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যান!’ ঘটনাটা সে রকম হওয়ার কত শতাংশ সম্ভাবনা আছে? দেশের কতজন মানুষ সেই গল্প বিশ্বাস করবে? অনেকেই মজা করে ডিবি অফিসকে ‘ভাতের হোটেল’ নামে অভিহিত করছেন। এটা মোটেই ডিবি অফিসের মর্যাদা বাড়াচ্ছে না।
আদালত বলেছেন, ‘ডিবি অফিসে ধরে নিয়ে যাবেন, তারপর খাবার টেবিলে বসাবেন। এভাবে জাতির সঙ্গে মশকরা করবেন না।’ আদালতের বলা ‘মশকরা’ শব্দটি এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সত্যিই তো, ডিবি অফিস কেন মশকরা করার জায়গা হয়ে উঠবে? ১৪ দলের বৈঠকেও ডিবিপ্রধান হারুনকে নিয়ে সমালোচনা হয়েছে।
ডিবিপ্রধান পরিবর্তিত হয়েছে। নতুন প্রধানকে বলব ডিবি অফিসটাকে নতুন করে আর রেস্তোরাঁ বানাবেন না।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে