বিয়ানীবাজারে বিপণিবিতানে পোশাকের গলাকাটা দাম

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২২, ০৭: ৪৯
আপডেট : ২৪ এপ্রিল ২০২২, ১০: ৫৬

বিয়ানীবাজারে জমে উঠতে শুরু করেছে ঈদবাজার। মার্কেট ও বিপণিবিতানগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে ক্রেতাদের ভিড়। এই সুযোগে বিক্রেতারা গলাকাটা দাম নিচ্ছেন ক্রেতাদের কাছ থেকে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রায় সব দোকানেই পোশাকের অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে। আবার, পোশাক কেনার পর সেটি পরিবর্তন করতে চাইলে বাড়তি মূল্য দিতে হচ্ছে। প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই বলেও অভিযোগ তাঁদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদুল ফিতরের সুযোগ কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা কাপড়-জুতার দাম হাঁকেন কেনা দামের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেট জেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, ১ হাজার টাকায় কেনা কাপড়ের দাম চাওয়া হয় ৫ হাজার টাকা। ভোক্তাদের সঙ্গে দর-কষাকষি করে তা বিক্রি হয় কখনো ৪ হাজার টাকায় আবার কখনো ১ হাজার ৫০০ টাকায়। বছরের পর বছর ধরে বিয়ানীবাজারে কাপড়ের বাজারে এভাবেই চলছে বেচাকেনা। ফলে কাপড় কিনতে গিয়ে ঠকতে হয় সাধারণ ক্রেতাদের। দর-কষাকষি না করতে পেরে অনেকেই দ্বিগুণ অথবা তিন গুণ দামে কাপড় কিনে ঠকেন।

আবার অনেকে একাধিক দোকান যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে দর-কষাকষি করে যথাযথ দামে কাপড় কিনতে পারলেও ব্যয় হয় অতিরিক্ত সময় ও শ্রম। কাপড়ের দোকানে পণ্যের গায়ে কোড হিসেবে সাংকেতিক মূল্য লেখা থাকায় কেউ তা বুঝতে পারেন না।

পৌরশহরের জামান প্লাজা, আব্দুস সাত্তার শপিং কমপ্লেক্স, আল-আমিন সুপার মার্কেট, আজির প্লাজাসহ বিভিন্ন বিপণি বিতানেও গলাকাটা দামে বিক্রি করা হচ্ছে পোশাক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক নূর বলেন, কাপড়ের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে অভিযোগ আসছে। অচিরেই অভিযান পরিচালিত হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত