নাজিম আল শমষের, ঢাকা
প্রতিপক্ষ যদি হয় র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা বড় দল, কৌশল একটাই—রক্ষণ জমাট রাখা, সুযোগ বুঝে লং পাসে কাউন্টার অ্যাটাক দিয়ে প্রতিপক্ষকে ভড়কে দেওয়ার চেষ্টা। তাতে ফল হতে পারে, আবার না-ও হতে পারে।
দীর্ঘ একটা সময় এই কৌশলে সাবলীল ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এখনো কাউন্টার অ্যাটাক লাল-সবুজ দলের মূল অস্ত্র। লম্বা সময় ধরে একই কৌশলে খেলে বাংলাদেশি ফুটবলাররা বেশ অভ্যস্ত। ঢাকায় বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলতে এসে লেবানন কোচ নিকোলা জুরসেভিচও প্রশংসা করেছিলেন স্বাগতিকদের কাউন্টার অ্যাটাকনির্ভর ফুটবলের। লেবানন সেভাবে হয়তো নিজেদের প্রস্তুতও করেছিল। কিন্তু কে জানত, র্যাঙ্কিংয়ে ৭৯ ধাপ এগিয়ে থাকা প্রতিপক্ষের জন্য ভিন্ন কৌশল সাজিয়ে রাখবেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা!
কিংস অ্যারেনায় গত মঙ্গলবারের ম্যাচে শুরুর ১০ মিনিট লেবানন বেশ চাপেই রেখেছিল বাংলাদেশকে। সেই চাপ সামলে ধীরে বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পায়ে নেওয়ার শুরু জামাল ভূঁইয়াদের। মাঝমাঠে বলের দখল নিজেদের পায়ে রাখা, প্রতিপক্ষের অর্ধে ছোট ছোট পাস খেলে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের প্রেসিংয়ে প্রলুব্ধ করে জায়গা বের করা; ‘বিল্ডআপ’ ফুটবল নামে পরিচিত এই ধরনে বাংলাদেশ যে বেশ অভ্যস্ত হয়ে গেছে, তা চিন্তার বাইরে ছিল লেবাননিজ কোচের।
গত বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ দলের কোচ হয়ে আসা স্প্যানিশ হাভিয়ের কাবরেরা কয়েক ম্যাচ পরই নিজের এই ধরন পাকাপোক্ত করার কাজে মনোযোগ দেন। বিল্ডআপ ফুটবল নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ হয়েছে গত মার্চে সৌদি আরবের অনুশীলন ক্যাম্পে। নিবিড় সেই অনুশীলনের ফল বাংলাদেশ পেয়েছে জুনে বেঙ্গালুরু সাফে। যেখানে বাংলাদেশের আক্রমণ শুরুটা হতো গোলরক্ষকের পা থেকে।
লেবানন ম্যাচেও প্রথমার্ধে নিজেদের ডি-বক্স থেকে সতীর্থদের বেশ ঝুঁকিপূর্ণ কিছু পাস বাড়িয়েছেন গোলরক্ষক মিতুল মারমা। স্নায়ুচাপ সামলে দ্বিতীয়ার্ধেও একই পাস দিতে দেখা যায় বদলি গোলরক্ষক মেহেদি হাসান শ্রাবণকেও। বাংলাদেশি গোলরক্ষককে পাস বাড়াতে দেখে প্রেসিংয়ের জন্য ছুটে গেছে লেবাননের আক্রমণভাগ। এতে মাঝমাঠে যে ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়েছে, সেটাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করে গেছে বাংলাদেশের মাঝমাঠ। স্মরণকালে এতটা কার্যকর মাঝমাঠ সম্ভবত কাবরেরার আমলেই দেখছে বাংলাদেশের ফুটবল।
শুরুর সময়টাতে কাবরেরা বাংলাদেশকে খেলাতেন ৪-৪-২ ডায়মন্ড শেপে। প্রয়োজনবোধে কৌশল পাল্টে কখনো সেটা ৪-৩-২-১ পিরামিড শেপে। প্রতিপক্ষের খেলার ধরন বুঝে দলকে একাধিক ধরনে খেলতে অভ্যস্ত করেছেন স্প্যানিশ কোচ। গোলরক্ষকের পা হয়ে রক্ষণের ডান প্রান্ত দিয়ে বেশির ভাগ সময় খেলা গড়ার চেষ্টা থাকে বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের।
গোলরক্ষকের পা থেকে ছোট পাসে খেলার ‘বিল্ডআপ’ ধরনে জামালদের শুরুটা অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে। মেলবোর্নের অ্যামি পার্কের মাঠ আর অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বমানের প্রেসিংয়ে সেই ম্যাচে জামালরা পেরে উঠতে না পারলেও দমেও যাননি। সেই ম্যাচে কোচ কাবরেরার কী বার্তা ছিল, সেটা জানালেন ডিফেন্ডার রহমত মিয়া, ‘কোচের কথা ছিল, তোমরা হারো, তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু এই কৌশলে তোমাদের চেষ্টা করতেই হবে। আমরা তাই এই কৌশলেই বেশি মনোযোগ দিয়েছি। হোক বা না হোক, কোচ আমাদের খেলার উন্নতির চেষ্টা করে যাচ্ছেন।’
লেবাননের বিপক্ষে বাংলাদেশ যেভাবে খেলেছে, ইউরোপিয়ান ফুটবলে এই কৌশলে খেলে অভ্যস্ত বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার সিটির মতো দলগুলো। বার্সার জাভি হার্নান্দেজ, ম্যানসিটির পেপ গার্দিওলার মতো কাবরেরা নিজেও একজন স্প্যানিশ। জাতীয় দলের কোচ হওয়ার আগে কাজ করেছেন বার্সা একাডেমিতে। তাই বাংলাদেশের কৌশলে বার্সেলোনার ট্যাকটিকসের প্রচ্ছন্ন প্রভাব।
তবে নিচ থেকে শুরু করতে গেলে ঝুঁকি কিন্তু থেকেই যায়। গোলরক্ষকের একটি ভুল পাসে প্রতিপক্ষের আক্রমণভাগ পেয়ে যেতে পারে গোলের সহজ সুযোগ। কোচ সেই ভুলের প্রতিষেধক নিয়েও কাজ করছেন বলে জানালেন বাংলাদেশ মিডফিল্ডার সোহেল রানা। বললেন, ‘ভুল হওয়ার ঝুঁকি আছে। অনেক সময় প্রতিপক্ষ আমাদের সবাইকে মার্ক করে ফেলতে পারে। যদি সেটা হয়, দেখা গেল গোলরক্ষক একজন ডিফেন্ডারকে বল বাড়াল। ডিফেন্ডার আবারও বল ফেরত পাঠালে গোলরক্ষক খেলল লং শট। তখন নিচের চাপটা কমে যাবে।’
ঝুঁকি থাকুক কিংবা সাফল্য—বাংলাদেশ দল এই মুহূর্তে কাবরেরার কৌশলে নিজেদের উজাড় করে দিচ্ছে বলে জানালেন মিডফিল্ডার মো. হৃদয়। তাঁর দাবি, ‘খেলায় প্রতি সেকেন্ডই একটা চ্যালেঞ্জ। কোচ যেভাবে চাচ্ছেন, আমরা যদি সেরাটা দিতে পারি, তাহলে সব সময়ই একটা ইতিবাচক ফল আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’
প্রতিপক্ষ যদি হয় র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা বড় দল, কৌশল একটাই—রক্ষণ জমাট রাখা, সুযোগ বুঝে লং পাসে কাউন্টার অ্যাটাক দিয়ে প্রতিপক্ষকে ভড়কে দেওয়ার চেষ্টা। তাতে ফল হতে পারে, আবার না-ও হতে পারে।
দীর্ঘ একটা সময় এই কৌশলে সাবলীল ছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এখনো কাউন্টার অ্যাটাক লাল-সবুজ দলের মূল অস্ত্র। লম্বা সময় ধরে একই কৌশলে খেলে বাংলাদেশি ফুটবলাররা বেশ অভ্যস্ত। ঢাকায় বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলতে এসে লেবানন কোচ নিকোলা জুরসেভিচও প্রশংসা করেছিলেন স্বাগতিকদের কাউন্টার অ্যাটাকনির্ভর ফুটবলের। লেবানন সেভাবে হয়তো নিজেদের প্রস্তুতও করেছিল। কিন্তু কে জানত, র্যাঙ্কিংয়ে ৭৯ ধাপ এগিয়ে থাকা প্রতিপক্ষের জন্য ভিন্ন কৌশল সাজিয়ে রাখবেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা!
কিংস অ্যারেনায় গত মঙ্গলবারের ম্যাচে শুরুর ১০ মিনিট লেবানন বেশ চাপেই রেখেছিল বাংলাদেশকে। সেই চাপ সামলে ধীরে বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পায়ে নেওয়ার শুরু জামাল ভূঁইয়াদের। মাঝমাঠে বলের দখল নিজেদের পায়ে রাখা, প্রতিপক্ষের অর্ধে ছোট ছোট পাস খেলে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের প্রেসিংয়ে প্রলুব্ধ করে জায়গা বের করা; ‘বিল্ডআপ’ ফুটবল নামে পরিচিত এই ধরনে বাংলাদেশ যে বেশ অভ্যস্ত হয়ে গেছে, তা চিন্তার বাইরে ছিল লেবাননিজ কোচের।
গত বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ দলের কোচ হয়ে আসা স্প্যানিশ হাভিয়ের কাবরেরা কয়েক ম্যাচ পরই নিজের এই ধরন পাকাপোক্ত করার কাজে মনোযোগ দেন। বিল্ডআপ ফুটবল নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ হয়েছে গত মার্চে সৌদি আরবের অনুশীলন ক্যাম্পে। নিবিড় সেই অনুশীলনের ফল বাংলাদেশ পেয়েছে জুনে বেঙ্গালুরু সাফে। যেখানে বাংলাদেশের আক্রমণ শুরুটা হতো গোলরক্ষকের পা থেকে।
লেবানন ম্যাচেও প্রথমার্ধে নিজেদের ডি-বক্স থেকে সতীর্থদের বেশ ঝুঁকিপূর্ণ কিছু পাস বাড়িয়েছেন গোলরক্ষক মিতুল মারমা। স্নায়ুচাপ সামলে দ্বিতীয়ার্ধেও একই পাস দিতে দেখা যায় বদলি গোলরক্ষক মেহেদি হাসান শ্রাবণকেও। বাংলাদেশি গোলরক্ষককে পাস বাড়াতে দেখে প্রেসিংয়ের জন্য ছুটে গেছে লেবাননের আক্রমণভাগ। এতে মাঝমাঠে যে ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়েছে, সেটাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করে গেছে বাংলাদেশের মাঝমাঠ। স্মরণকালে এতটা কার্যকর মাঝমাঠ সম্ভবত কাবরেরার আমলেই দেখছে বাংলাদেশের ফুটবল।
শুরুর সময়টাতে কাবরেরা বাংলাদেশকে খেলাতেন ৪-৪-২ ডায়মন্ড শেপে। প্রয়োজনবোধে কৌশল পাল্টে কখনো সেটা ৪-৩-২-১ পিরামিড শেপে। প্রতিপক্ষের খেলার ধরন বুঝে দলকে একাধিক ধরনে খেলতে অভ্যস্ত করেছেন স্প্যানিশ কোচ। গোলরক্ষকের পা হয়ে রক্ষণের ডান প্রান্ত দিয়ে বেশির ভাগ সময় খেলা গড়ার চেষ্টা থাকে বাংলাদেশের ডিফেন্ডারদের।
গোলরক্ষকের পা থেকে ছোট পাসে খেলার ‘বিল্ডআপ’ ধরনে জামালদের শুরুটা অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে। মেলবোর্নের অ্যামি পার্কের মাঠ আর অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বমানের প্রেসিংয়ে সেই ম্যাচে জামালরা পেরে উঠতে না পারলেও দমেও যাননি। সেই ম্যাচে কোচ কাবরেরার কী বার্তা ছিল, সেটা জানালেন ডিফেন্ডার রহমত মিয়া, ‘কোচের কথা ছিল, তোমরা হারো, তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু এই কৌশলে তোমাদের চেষ্টা করতেই হবে। আমরা তাই এই কৌশলেই বেশি মনোযোগ দিয়েছি। হোক বা না হোক, কোচ আমাদের খেলার উন্নতির চেষ্টা করে যাচ্ছেন।’
লেবাননের বিপক্ষে বাংলাদেশ যেভাবে খেলেছে, ইউরোপিয়ান ফুটবলে এই কৌশলে খেলে অভ্যস্ত বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার সিটির মতো দলগুলো। বার্সার জাভি হার্নান্দেজ, ম্যানসিটির পেপ গার্দিওলার মতো কাবরেরা নিজেও একজন স্প্যানিশ। জাতীয় দলের কোচ হওয়ার আগে কাজ করেছেন বার্সা একাডেমিতে। তাই বাংলাদেশের কৌশলে বার্সেলোনার ট্যাকটিকসের প্রচ্ছন্ন প্রভাব।
তবে নিচ থেকে শুরু করতে গেলে ঝুঁকি কিন্তু থেকেই যায়। গোলরক্ষকের একটি ভুল পাসে প্রতিপক্ষের আক্রমণভাগ পেয়ে যেতে পারে গোলের সহজ সুযোগ। কোচ সেই ভুলের প্রতিষেধক নিয়েও কাজ করছেন বলে জানালেন বাংলাদেশ মিডফিল্ডার সোহেল রানা। বললেন, ‘ভুল হওয়ার ঝুঁকি আছে। অনেক সময় প্রতিপক্ষ আমাদের সবাইকে মার্ক করে ফেলতে পারে। যদি সেটা হয়, দেখা গেল গোলরক্ষক একজন ডিফেন্ডারকে বল বাড়াল। ডিফেন্ডার আবারও বল ফেরত পাঠালে গোলরক্ষক খেলল লং শট। তখন নিচের চাপটা কমে যাবে।’
ঝুঁকি থাকুক কিংবা সাফল্য—বাংলাদেশ দল এই মুহূর্তে কাবরেরার কৌশলে নিজেদের উজাড় করে দিচ্ছে বলে জানালেন মিডফিল্ডার মো. হৃদয়। তাঁর দাবি, ‘খেলায় প্রতি সেকেন্ডই একটা চ্যালেঞ্জ। কোচ যেভাবে চাচ্ছেন, আমরা যদি সেরাটা দিতে পারি, তাহলে সব সময়ই একটা ইতিবাচক ফল আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে