আব্দুর রহিম পায়েল, গঙ্গাচড়া
‘গরিব মাইনষের কি শীত আছে? পেটে তো খায়। শীতোত ঘরোত বসি থাকলে তো পেট চইলবার নয়। শহরোত রাজমিস্ত্রির কামোত যাওচি।’
গতকাল বৃহস্পতিবার হাড় কাঁপানো শীতের সকালে সড়কে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন গঙ্গাচড়া সদরের ধামুর গ্রামের নির্মাণশ্রমিক নিরাবরণ রায়। তিনি কাজ করতে যাচ্ছিলেন জেলা শহরে।
উপজেলার জনজীবন গত কয়েক দিনের কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছে। কিন্তু নিরাবরণের মতো খেটে খাওয়া দিনমজুর ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষকে সকালের তীব্র কুয়াশা উপেক্ষা করেই ছুটতে হচ্ছে জীবিকার সন্ধানে।
গতকাল সকালে পথে বের হয়ে দেখা গেছে, কেউ মোটরসাইকেলে, কেউ বাইসাইকেলে, কেউ রিকশা-ভ্যানে করে আবার কেউ হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। কথা হয় গজঘণ্টা ইউনিয়নের জয়দেব গ্রামের মকসুদার রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ভোরবেলা মাইয়া-ছাওয়া সবাই ওটি ভুই থাকি সবজি তুলি আঁটি বান্দিচি। ওইগুলা নিয়া রংপুর শহরোত যাইচোল বেচপার তকনে।’
নোহালী ইউনিয়নের পশ্চিম কচুয়া গ্রামের কার্তিক চন্দ্র জানান, তিনি রংপুর শহরের একটি ক্লিনিকে কাজ করেন। সকাল ৭টায় তাঁকে সেখানে পৌঁছতে হয়। শীত-বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই সময় মেনে চলেন তিনি।
এদিকে শীতে সরকারের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ করা হলেও সাধারণ গরিব মানুষ তা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। কোলকোন্দ ইউনিয়নের ঘোন্টারী গ্রামের আজিজার রহমান বলেন, ‘সরকার থাকি বলে ম্যালা কমবোল দেওচে। হামরা তো তায় চোকে দেকনো না। শীতোত হাত-পাও কাহিল হয়া গেইচে।’
লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লা আল হাদী বলেন, ‘এ পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো কম্বল অত্র ইউনিয়নে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। তবে শুনেছি, একটি আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের মাঝে কয়েকটি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুনিমুল হক জানান, এবার অসহায় শীতার্তের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪ হাজার ২৩০টি কম্বল। যা আশ্রয়ণ ও আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দাদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে।
মুনিমুল হক বলেন, উপজেলার ২০টি আবাসন ও আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩ হাজার অসহায় পরিবার বসবাস করছে। এ ছাড়াও উপজেলায় ছিন্নমূল ও অসহায় দরিদ্র পরিবার রয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশের ওপরে (প্রায় ১০ হাজার)। বরাদ্দকৃত কম্বল অসহায় শীতার্তদের জন্য যথেষ্ট নয়। আরও কম্বলের চাহিদার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
‘গরিব মাইনষের কি শীত আছে? পেটে তো খায়। শীতোত ঘরোত বসি থাকলে তো পেট চইলবার নয়। শহরোত রাজমিস্ত্রির কামোত যাওচি।’
গতকাল বৃহস্পতিবার হাড় কাঁপানো শীতের সকালে সড়কে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন গঙ্গাচড়া সদরের ধামুর গ্রামের নির্মাণশ্রমিক নিরাবরণ রায়। তিনি কাজ করতে যাচ্ছিলেন জেলা শহরে।
উপজেলার জনজীবন গত কয়েক দিনের কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছে। কিন্তু নিরাবরণের মতো খেটে খাওয়া দিনমজুর ও শ্রমিক শ্রেণির মানুষকে সকালের তীব্র কুয়াশা উপেক্ষা করেই ছুটতে হচ্ছে জীবিকার সন্ধানে।
গতকাল সকালে পথে বের হয়ে দেখা গেছে, কেউ মোটরসাইকেলে, কেউ বাইসাইকেলে, কেউ রিকশা-ভ্যানে করে আবার কেউ হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। কথা হয় গজঘণ্টা ইউনিয়নের জয়দেব গ্রামের মকসুদার রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ভোরবেলা মাইয়া-ছাওয়া সবাই ওটি ভুই থাকি সবজি তুলি আঁটি বান্দিচি। ওইগুলা নিয়া রংপুর শহরোত যাইচোল বেচপার তকনে।’
নোহালী ইউনিয়নের পশ্চিম কচুয়া গ্রামের কার্তিক চন্দ্র জানান, তিনি রংপুর শহরের একটি ক্লিনিকে কাজ করেন। সকাল ৭টায় তাঁকে সেখানে পৌঁছতে হয়। শীত-বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই সময় মেনে চলেন তিনি।
এদিকে শীতে সরকারের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ করা হলেও সাধারণ গরিব মানুষ তা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। কোলকোন্দ ইউনিয়নের ঘোন্টারী গ্রামের আজিজার রহমান বলেন, ‘সরকার থাকি বলে ম্যালা কমবোল দেওচে। হামরা তো তায় চোকে দেকনো না। শীতোত হাত-পাও কাহিল হয়া গেইচে।’
লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লা আল হাদী বলেন, ‘এ পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো কম্বল অত্র ইউনিয়নে বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। তবে শুনেছি, একটি আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের মাঝে কয়েকটি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুনিমুল হক জানান, এবার অসহায় শীতার্তের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪ হাজার ২৩০টি কম্বল। যা আশ্রয়ণ ও আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দাদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে।
মুনিমুল হক বলেন, উপজেলার ২০টি আবাসন ও আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩ হাজার অসহায় পরিবার বসবাস করছে। এ ছাড়াও উপজেলায় ছিন্নমূল ও অসহায় দরিদ্র পরিবার রয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশের ওপরে (প্রায় ১০ হাজার)। বরাদ্দকৃত কম্বল অসহায় শীতার্তদের জন্য যথেষ্ট নয়। আরও কম্বলের চাহিদার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে